সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নতুন ভূমিকায় শঙ্খদীপ

কখনও দাবার বোর্ডে মগ্ন আবার কখনও টিভি নাইন এর পর্দায় দেখা যায় তাঁকে ক্রাইম রিপোর্টার হয়ে লাইভ দিতে। আবার কখনও সিএন নিউজ চ্যানেলে দৌড়ে হাঁফিয়ে কাজ করছে সে একসময় পহার্ডকোর সাংবাদিক হয়ে। আর তারপর হঠাৎ করেই গৌহাটির সেই চ্যানেল এন কে বাংলার পর্দায় দেখা গেলো তাকে হাসি মুখে কারুর ইন্টারভিউ নিতে কিম্বা লাইভ দিতে। তারপর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যাওয়া তার একদিন এই মিডিয়ার মাঠ থেকে। খোঁজ খবর নেই একদম তার আর একদম। আবার দেখলাম আজ বহুদিন পর সময় খবরের পর্দায় এবার আর রিপোর্টার হয়ে নয় কিন্তু একদম সোজা অ্যাঙ্কর হয়ে গেছে ও। এটাই বোধহয় একটু ঠিকঠাক জায়গা ওর। ধুলো আর ভীড় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে খবর করে ক্লান্ত হয়ে গিয়ে গ্ল্যামার কমবে না আর ওর একদমই এইবার এই নতুন ভূমিকায়।


 একদম টিভি চ্যানেলের জন্য বেশ ঝকঝকে মুখ দেখে ওর বায়োডাটা দেখে নিলাম ওকে সেই এনকে বাংলা চ্যানেলে। সেই চ্যানেল বাজারে আসার আগে রোজ কত ফোন যে আসতো আমার কাছে সবার সাথে ওর ফোনও আসত প্রায় প্রতিদিনই। সেই বিখ্যাত পৃথা, সৌরজ্যোতি, রক্তিমা বর্তমানে অন্য চ্যানেলে কর্মরত 
এনকে ছেড়ে,সেই সুদীপ্ত এখন আর নেই সেই চ্যানেলে, সেই টিএমসি বিটের রনজয়, সেই সুস্মিত, সেই বিখ্যাত দীপংকর বর্তমানে ট্রান্সফার হয়ে উত্তরবঙ্গে চলে যেতে হবে পরিবার ছেড়ে আমি কাজ দিলাম ওকে ডেকে তারপরে তো কত ঘটনা ঘটলো আমার সাথে ওর। আজ ওর কাজ নেই আর সেই এন কে বাংলায়। সেই জাগৃতি, সাগরিকা আর মহুয়া। সত্যিই বেশ ভালোই ছিল কিন্তু সেই দিনগুলো। বেশ কর্মময় জীবন একটা এমন বেকার জীবন নয়। 

সেই আরও কতজন যে ফোন করতো আমায় সেই নতুন চ্যানেল আসার সময়। আমি সবাইকে বলতাম খবর পেলে জানাবো নিশ্চয়ই। তারপর খবর হলো, চ্যানেল হলো, কাজের সুযোগ দিলে কাজ করবে সেটা জানানো হলো। কাজের সুযোগ হলো তারপর আমি ছেড়ে দিয়ে চলে এলাম সেই এনকে চ্যানেল। শুনলাম বহুদিন ওর মা অসুস্থ ছিলেন তাই মনে হয় ও অফিস আসতে পারেনি পড়ে কাজ ছেড়ে দেয় ও এনকে বাংলার। সে সব কথা থাক আজ বরং।

আজ বহুদিন পর ওকে সময় খুব সম্ভবত গ্রাউন্ড চ্যানেল হবে সেই চ্যানেলের পর্দায় খবর পড়তে দেখে কেমন মনটা বেশ ভালো হয়ে গেলো আমার বহুদিন পর ওকে দেখে। সেই শঙ্খদীপ। সেই আমাদের হিরো সুপার হিরো স্টার রিপোর্টার শঙ্খদীপ। সেই টিভি নাইনে কাজ করা ক্রাইম বিট করা সাংবাদিক শঙ্খদীপ। সেই সি এন চ্যানেলে কাজ করা সাংবাদিক শঙ্খদীপ। সেই এনকের সুন্দর শাহরুখ খান স্টাইলের রিপোর্টার শঙ্খদীপ। বর্তমানে সময় চ্যানেলে কর্মরত রিপোর্টার হয়ে নয় অ্যাঙ্কর হয়ে। একদম নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে অভিনয় করছে সে বেশ ভালই। যা দেখে মনে হলো কতদিন পর যে ওকে দেখলাম আমি টিভির পর্দায়। আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে সেই দাবাড়ু, জেনারেল রিপোর্টার, ক্রাইম বিট করা রিপোর্টার, আর বর্তমানে অ্যাঙ্কর শঙ্খদীপ এর কথা।

কেমন ঝকঝকে একটা প্রাণবন্ত রেসের মাঠে দৌড়ে বেড়ানো তাজা ঘোড়া। আমার দেখে মনে হলো একে সুযোগ দিলে কেমন হয়। দেখতে শুনতে বেশ ভালই। বেশ হাসিখুশি মুখ। এই কলকাতা মিডিয়ার সাংবাদিকদের অনেককে চেনে ও। হয়তো নতুন চ্যানেলেও কাজ করবে ভালোই। প্রথম প্রথম সেটাই ছিল কিন্তু ধীরে ধীরে কেমন ভুল ভাঙলো আমার কেনো জানিনা। তারপর তো ওর বাড়ির সমস্যায় ও মিডিয়া ছেড়ে দিয়ে উধাও হয়ে গেছিলো বহুদিন। আজ বহুদিন পর ওকে বুম হাতে নয় টিভির পর্দায় খবর পড়তে দেখে কেমন যেনো ভালই লাগলো আমার।

 যাক আবার তাহলে ফিরে এসেছে ও এই মিডিয়ায়। যে মিডিয়ার কাজ আমরা ছেড়ে দেবো বলেই ছেড়ে দিয়ে চলে আসতে পারি না একটা নেশা আমাদের টানে। ওকেও বোধহয় সেই নেশার টান ওকে ফিরিয়ে আনলো আবার এই খবরের মাঠে। তবে এই বার এক অন্য ভুমিকায়। সেই যাত্রাপালার নাম ভূমিকায় যেনো সেই শঙ্খদীপ। ওর শ্রীবৃদ্ধি ও উন্নতি কামনা করি। ভালো থাকিস ভাই। খবর পড়ে আর খবর করে ভালো থাকিস। কত চেনামুখ দেখলাম ওর ছবির সাথে। সত্যিই তো এই চেনা মুখদের সাথে তো আমারও একদিন চাকরির জীবন কেটেছে এইভাবেই দৌড়ে ছুটে খবর ধরিয়ে আর খবর করিয়ে। ভালো থাকিস শঙ্খদীপ। 

নতুন ভূমিকায় শঙ্খদীপ - অভিজিৎ বসু।
ষোলো ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...