জনি মেরা নাম। সত্যিই আজ জনির জন্মদিন। সেই হাওড়া থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে সেক্টর ফাইভের কলেজ মোড়ে অফিস আসতো ও। যে কোনো কাজ যে কোনো ভাবেই করে দিত বেশ। যে কোনও জায়গায় অ্যাসাইনমেন্টে পাঠিয়ে বেশ ভালই কাজ উৎরে দিত ও। খুব বড়ো বড়ো চ্যানেলে কাজ না করলেও ছোটো চ্যানেলে কাজ করত ও কিন্তু কাজ জানতো ভালোই।
সেই এন কে বাংলা চ্যানেলে কাজ করতে এলো জনি। বেশ হাসিখুশি ছেলেটি। লেবার দিতে কোনও অসুবিধা নেই ওর। ডিউটি দিলেও এই ডিউটি করবো না এখন আসবো না বলে বাবুদের ধরে ম্যানেজ করা ওর স্বভাবে নেই। সেই বাবু ধরে ভালো শিফট নিয়ে ডিউটি করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেনি ও কোনওদিন এই গৌহাটির চ্যানেলে।
আজ সেই ক্যামেরাম্যান জনির জন্মদিন। মনে হলো ওকে নিয়ে দু চার কথা লিখে ফেলি আমি। সেই যে চ্যানেলে বেশিরভাগ লোকজন জোগাড় হলো আমার হাতধরেই সেই চ্যানেল ছেড়ে দেবার মত পরিস্থিতি তৈরি করা হলো ও আমি ছেড়ে দেবার পর কেউ আর বিশেষ আমায় প্রয়োজন নেই বলে যোগাযোগ রাখেনি একদমই। যাঁরা নিয়মিত রাত অবধি যে সব রিপোর্টার আমায় ফোন করে গল্প করতো তারাও কেমন হঠাৎ করেই ভুলেই গেলো যেনো নিজে থেকেই।
এটাই তো স্বাভাবিক ঘটনা জীবনের পথে। কিন্তু সেই সময় একজন যে রিপোর্টার নয় যার সাথে আগে আমি কোনো হাউসে কাজ করিনি সেই জনি আমায় ফোনে খবর নিয়েছে দাদা কি খবর গো। তুমি কেমন আছো কি করছ। শোনো দাদা শুনছি এই একটা চ্যানেল আসবে তুমি দেখো দাদা একটু। আমি একটু কাজে ব্যস্ত আছি স্টুডিওতে ও তখন এনকে বাংলা ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছে ও সিএন চ্যানেলে। আমি পরে রাতে ফোন করছি দাদা। এইভাবেই নানা খবর দিয়েছে আর আমার খবর নিয়েছে।
যাঁদের সাথে আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি একসাথে তাদের কারুর মনে না পড়লেও যার সাথে কাজ করিনি আমি কোনোদিন সে কিন্তু হাসিমুখে খবর নিয়েছে আমার। সত্যিই অসাধারণ এই জীবন আর জীবনের জলছবি। যে ছবিতে জনি মেরা নাম বোধহয় একটু অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকে। আর তাই আজ ওর জন্মদিনে আমার শুভেচ্ছা ভালো থাকিস ভাই। এইভাবেই মানুষের সাথে সম্পর্ক রেখে চলিস। শুধুই নিজের স্বার্থে নয় সম্পর্ক তো টিকে থাকে ভালোবাসায়
সেটাই বোধহয় আজ উবে গেছে আমাদের এই সমাজ আর সংসার থেকে। শুধুই হিসেব করে মেপে সম্পর্ক স্থাপন করা। জনি মেরা নাম এর জন্মদিনে আমার এই শুভেচ্ছা।
জনি মেরা নাম - অভিজিৎ বসু।
ষোলো ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন