সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আমাদের সবার প্রিয় জয়ন্ত দা

বাংলা সাংবাদিকতার এই উজ্জ্বল ময়দানে ছুটে বেড়ানো ঘুরে বেড়ানো যে সব রাজনৈতিক স্ট্রাইকার এর নাম লিখতেই হয় তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন সেই আমাদের বিখ্যাত জয়ন্ত চৌধুরী দা। সেই ইটিভির জয়ন্ত দা। সেই খুব সম্ভবতঃ খবর এখনের জয়ন্ত দা। সেই বর্তমানের জয়ন্ত দা। সেই কলকাতা টিভির পিসিআর রুমে বসা খবর চেক করার জন্য সেই হাসিমুখের জয়ন্ত দা। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক জয়ন্ত দা। সেই ইটিভির নানা ঝড় ঝাপটা হাসিমুখে সামলানো সেই জয়ন্ত দা। সেই সিঙ্গুরের মাঠে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার নেওয়া অন্দোলন এর সময় সেই জয়ন্ত দা। সেই এই বাংলার রাজনীতির নানা ঘটনার সাক্ষী জয়ন্ত দা। বাম, কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি, নকশাল, ফরোয়ার্ড ব্লক, আর এস পি, যে কোনোও দলের নাড়ী নক্ষত্র সব জানা সাংবাদিক জয়ন্ত দা। সেই আমায় বার বার সিঙ্গুর নিয়ে কিছু লিখতে বলা জয়ন্ত দা। সেই আমার বিরূদ্ধে তৃণমূল নেতাদের রেগে যাওয়া ও আমার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করার কথা শুনে সেটাকে হাসিমুখে আটকে দেওয়া আমার সিনিয়র ও আমার দাদা সেই সাংবাদিক জয়ন্ত দা। 


আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় সেই জয়ন্ত চৌধুরীর কথা। সেই আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে জয়ন্ত দার কথা। সেই গত তিরিশ বছর বা তার বেশি সময়ের আগে ঘটে যাওয়া যে কোনোও রাজনৈতিক ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেওয়া বিখ্যাত সাংবাদিক সেই জয়ন্ত চৌধুরী দা। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইটিভির তৎকালীন বস সিদ্ধার্থ সরকারকে ফুলের তোড়া নিয়ে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া সেই জয়ন্ত দা। সেই কোনও এক ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁকে খোঁজ করা। আর সেই আনন্দবাজার বা বর্তমানে কর্মরত জয়ন্ত ঘোষাল নয় জয়ন্ত চৌধুরীকে খুঁজে খবর দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই আমাদের সবার ভালবাসার জে সি।আর সবার দাদা। আজ এই রাতে হঠাৎ করেই মনে হলো তাঁর কথা লিখে ফেলি কিছু।

 আসলে আজকাল এই দ্রুত গতিতে ছুটে চলা টিভি আর প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যাণে সাংবাদিকতা যে ভাবে যে পদ্ধতিতে চলছে সেই আদিকালে কাজ করা সেই মোবাইলহীন আর হোয়াটসঅ্যাপের জমানা শুরুর আগে কত কষ্ট করে যে খবর পেয়ে সেটা করতে হয়েছে সেই কথা আজ আর বলে বোঝানো যাবে না কিছুতেই। বোঝানো যাবে না সেই আমলের বিখ্যাত সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের জীবন ও জীবিকার কথাকেও। তাদের সাধারণ মানের জীবন ধারণের কথাকেও। সেই কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূলের জন্ম থেকে সব গল্পই আছে তাঁর খবরের ঝুলিতে। যে ঝুলি খুলে মাঝে মাঝেই তিনি হাসিমুখে কিছু লজেন্স বিলির মত আমাদের কাছে বিলি করেন আর আমরা তার স্বাদ আস্বাদন করে আহা আহা বলি। সত্যিই অসাধারণ এই তাঁর খবরের ঝুলি। 

 হয়তো এই মা মাটি আর মানুষের আমলে আরও একটু বেশি ওপরে ওঠা ক্ষমতা সম্পন্ন সাংবাদিক হতেই পারতেন তিনি কিন্তু সেটা বোধহয় তাঁর একদম পছন্দের নয়। আর তাই কিছুটা হলেও মেপে মেপে পা ফেলেই কাটিয়ে দিলেন তাঁর দীর্ঘ প্রায় চল্লিশ বছরের এই বিখ্যাত উজ্জ্বল বর্ণময় এই সাংবাদিক জীবন। একদম চুপ চাপ ফুলে ছাপ এর মতই হাসি মুখে। কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এটা আমার বেশ ভালো লাগে। আর তাই তো তাঁর কথা লিখবো ভেবেও কিছুটা হলেও ভয়ে পিছিয়ে আসি আমি এই রাত দুপুরে। কি লিখতে কি লিখে ফেলবো আর ফোনে বলবেন তিনি অভিজিৎ এটা এই ঘটনা হয়েছিল একটু সংশোধন করে দিও তুমি‌ কিন্তু। 

সেই সিঙ্গুরের তাপসী মালিকের মৃত্যুর দিনে মালা দিতে গিয়ে চাষীদের বিক্ষোভের মুখে পড়া তৃণমূলের সেই সময় এর বিখ্যাত নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর। আর সেই ছবি খবর ইটিভির রাত নটার খবরে দেখানো। তারপর কতজন যে জয়ন্তদাকে ফোন করে সেই খবর নেন আর সেটা তিনি আমায় বলেন অভিজিৎ এই খবরটা তুমি করেছো। আমি সবাইকে বলেছি সেই কথা। সত্যিই বেশ ভালো লাগে আমার সেই সময়।

 আসলে সেই সময় তো আর খবর হলে খবর দেখাতে কোনও বাধা ছিল না আমাদের ইটিভির চ্যানেলের। আর তাই বোধহয় সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগের আজকের বাতিল হয়ে যাওয়া সাংবাদিকরা মন প্রাণ খুলেই খবর করতে পারতেন তাঁরা অকুতোভয়ে। যতই ৩৪ বছরের শক্তিশালী বাম আমল থাক না রাজ্যে। খবর করা নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। যা এই আধুনিক সাংবাদিকতার যুগে দেখা যায়। সেটা নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো কী বলেন। 

তবু সেই পুরোনো দিনের স্মৃতি ঝলমল দিনগুলোর কথা মনে পড়লে বেশ ভালই লাগে আমার। সত্যিই অসাধারণ ছিল সেই ফেলে আসা অতীত দিনের সাংবাদিকতার স্মৃতি। যে অতীত দিনের মরিচ ঝাঁপির স্মৃতির উত্তাপ অনুভব করে আজও জয়ন্ত দা কেমন হাসি মুখেই খবরের পিছনে পড়ে থাকেন। কি রাজনৈতিক ব্যাখ্যা মূলক প্রতিবেদন লিখে আমাদের উপহার দেন। আর আমরা যারা তাঁর লেখার ফ্যান তাঁর ফ্যান তারা সব বলি এইজন্য বোধহয় আমাদের জেসি। হ্যাঁ, হয়তো ওই সাদা বাড়ীর সিঁড়িতে পা দেওয়া হয়নি তাঁর। হয়তো আরও ক্ষমতা দখল করে বাস করা হয়নি তাঁর এই সাংবাদিকতার পেশায় কাজ করে। তবু তিনি যে বিন্দাস জীবন কাটিয়ে দিলেন সেটাই বা কম কী।

 কিন্তু আমার আফশোষ একটাই আমি ভেবেছিলাম কলকাতা টিভি ছেড়ে চলে আসার পর একটা ফোনে যোগাযোগ করে বলবেন তিনি অভিজিৎ কী হলো তোমার। বয়স হলো অনেক আর কি এইভাবে জীবন নিয়ে চাকরি নিয়ে পাগলামো করে ভাই। না, সেই ফোনটা আর আসেনি আমার কাছে আজও। আমি মাঝে মাঝেই ফোন করে ফেলি তাঁকে। অনেক কথা হয় পুরোনো দিনের। ব্যস্ত মানুষ হিসেবে অনেক সময় নস্ট করি আমি তাঁর। তবু এই আজকের দিনে এই বাংলা মিডিয়ার একজন ভালো মানুষ, ভালো স্ট্রাইকার যিনি যে কোনো উপায়ে গোল করতে পারেন হাসিমুখে খবরের ময়দানে, তাঁর কথা লিখে ফেললাম আমি আজ। ভালো থাকবেন আপনি দাদা। ভুল লিখলে ক্ষমা করে দেবেন আপনি। 

আমাদের সবার প্রিয় জয়ন্ত দা - অভিজিৎ বসু।
পনেরো ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...