সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

হারিয়ে যাওয়া ঝুমা

আজ সেই ঝুমার কথা। আজ সেই হঠাৎ করেই আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়া এঁদোপুকুরের হাসি মুখের ঝুমার কথা। সেই বুটার ছোটোবেলার সঙ্গী, বুটার ছোটো থেকে বড়ো হবার সময় ওর মাকে ছেড়ে একা থাকার সময়ে ওর সাথে দিন কাটানো এক সঙ্গী, ওকে হাতে ধরে বাংলা শেখানোর চেষ্টা করা একমাত্র ভরসা করা সেই ঘরের দিদিমনি আমাদের পরিচিত ঝুমা। মেজমামা আমায় জোগাড় করে দিয়েছিল বাংলা দিদিমনি ঝুমাকে আমার মেয়েকে পড়াবে বলে।


 ওর সাথে আমাদের পরিবারের পরিচয় সেই কবে থেকেই। বেশ ভালই বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল অসম বয়সী এই দুই বন্ধুর সাথে। ঝুমা দিদিমনি আর বুটা ছাত্রী নয়। বুটা দিদিমনি আর ঝুমা ছিল ছাত্রী যেনো। একদম নিজের মত করে ভালোবেসে হাতে ধরে খাওয়ানো থেকে শুরু করে বাংলার অক্ষর পরিচয় করিয়ে দেওয়া ইংরাজি মাধ্যমে যেটা সব থেকে বড় কাজ ছিল সেই সময়। আর সেই কাজটাই হাসিমুখে করে যেতো ঝুমা একমনে নিষ্ঠার সঙ্গে ভালোবেসে না বকে আদর করেই। একদম ঘরের লোকের মতই। আমরাও কোনো দিন ওকে বাইরের কেউ বলে ভাবতেই পারিনি কোনো সময়। তাই উৎসব অনুষ্ঠানে ও ছিল আমাদের ঘরের অতিথি। 

 আর তাই বোধহয় আজও মনে পড়ে যায় এই ওর কথা শ্রীরামপুরে বাড়িতে একা একা রাতে শুয়ে। মনে হয় সত্যিই তো সেই কতদিন যে পোস্ট অফিস এর রাস্তায় গেলেই ওকে দেখতাম ধীর পায়ে হেঁটে যেতে রাস্তা দিয়ে। দেখা হলেই একগাল হেসে বলতো বাপিদা কেমন আছো তোমরা। মেয়ে ভালো আছে তো। সেই সন্ধ্যা হলেই এই বাড়ী,ওই বাড়ী টিউশন করতে যেতো ও একা একাই হেঁটে হেঁটে। সেই ওর কাঁধে সংসারের জোয়াল উঠেছিল কবে সেই খবর আর নেওয়া হয়নি কোনোদিন আমার ওর কাছে। নেওয়া হয়নি ওর দাদার অসুস্থ হবার খোঁজ খবর। ওর বাড়ির লোকের অসুস্থ হবার খবর।

বুটার জন্মদিন এর দিন পয়লা বৈশাখে প্রতি বছর সুন্দর উপহার নিয়ে হাজির হতো ও সেজেগুজে ঠিক সন্ধ্যা বেলায়। দিদিমনি ঝুমা নয় আমার মেয়ের ঠিক কাছের ভালোবাসার মানুষ হয়ে। মাকে না পেয়ে ওর কাছেই ছিল ওর যত আবদার আর দুষ্টুমি। স্কুল থেকে ফিরে ভাত না খাওয়া থেকে শুরু করে বাংলা না পড়ে ছাদে উঠে ঘুরে বেড়ানোর বায়না করা। আর মা অফিস থেকে ফিরে এলে সবকিছু লুকিয়ে ভালো মেয়ে হয়ে পড়তে বসে যাওয়া দুজনের। সত্যিই দিনগুলো বেশ ভালই কেটেছে ওর ছোটো বেলায় সেই সময়। 
আজ এই রাতের বেলায় হঠাৎ করেই ওর কথা মনে পড়ে গেলো আমার। সেই ওর একদিন হঠাৎ করেই ফোন করে ফেলা আমায়। দ্বিধা আর কিছুটা জড়তা নিয়ে একটা কথা বলা আমায় যা ও কোনওদিন বলেনি আমায় কোনওদিন বলেনি সেই সাহায্যের কথা। কিছু অর্থ সাহায্যের প্রয়োজন ছিল খুব। দু একদিন সময় নিয়ে যদি সেটা হয় ওর খুব উপকার হয় সেটাও জানিয়েছিল ও আমায়। যে কোনোও উপায়ে ও এই অবস্থা থেকে বেরোতে চাইছিল প্রাণপণে। কিন্তু না পারলো না। একদিন ও সবাইকে ছেড়ে চলে গেলো দূরে অনেক দূরে। হঠাৎ করেই সেই খবর পেলাম আমি একদিন। 

দিন কয়েক পরে একদিন দেখলাম ভজার চশমার দোকানে বাগা বসে আছে ওর সম্পর্কের দাদা। কেমন নির্বিকার। দেখলাম ভজাও কেমন চুপচাপ। একটা আচমকা মৃত্যুতেও যেনো কিছুই হয়নি কারুর। বাগার আমার কাছে এসে বলা বাপি ঝুমার খবর জানিস তো তুই সব শুনেছিস নিশ্চয়ই। আমি আর উত্তর দিতে পারলাম না কোনোও সেদিন। ওর সেই লাস্ট মোবাইল এর মেসেজটা বোধহয় আজও রয়ে গেছে আমার কাছে। যেটা আমি আর মুছে ফেলতে পারিনি আজও। মোবাইল ফোনে ওর সেই চেনা নম্বরটা আর ডিলিট করা হয়নি আমার। 

সেই ওর সবাইকে ছেড়ে চলে যাওয়া, ভালোবাসার পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার আগে ওর গলার স্বরটা আজও মনে আছে আমার এতদিন পরেও। কিন্তু আমি পারিনি সেদিন ওকে সাহায্য করতে কিছুই। আমার সেই অবস্থাও ছিল না সেই সময়। এরজন্য আমার অপরাধবোধ হয় আজও। এরজন্য নিজেকে কেমন ছোটো মনে হয় ওর কাছে। সেদিন কোর্টের মাঠে বসে হীরুর মুখেই শুনলাম ওর কথা। ওর বাড়ির নানা ধরনের সমস্যার কথা। সেসবকে গায়ে না মেখেই কেমন একাই লড়ে যাচ্ছিল একা একাই ও নিজেই এই ধূলি ধূসর পৃথিবীতে। রক্তের সম্পর্কহীন মানুষদের পাশে নিয়েই। তবু বোধহয় একটা অসম লড়াইতে ও হেরেই গেলো একদম। 

আজ বুটার পাশে ওর ছবিগুলো দেখে, সেই ফেলে আসা দিনের নানা স্মৃতিচিহ্ন দেখে ওর কথা মনে পড়ে গেলো আমার এই নিশুতি রাতের অন্ধকারে। সেই একটা একদম একা লড়াই করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা একটি মেয়ে। আমার মেয়ের ছোটবেলার খেলার সঙ্গী সাথী একজন বন্ধু কেমন করে যে হারিয়ে গেলো কে জানে। কিছুতেই কোনো ভাবেই আমার সেই হারিয়ে যাওয়া ঝুমাকে আমি সাহায্য করতে পারিনি। এই অপরাধবোধ আর বেদনাবোধ কেমন করে যেন তাড়িয়ে ফেরে আমায়। 

সেই বুটার ছোটো থেকে বড়ো হয়ে যাওয়া। ওর সেই ছোট বেলার দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায় আমার। সেই বিকেল হলেই দৌড়ে দৌড়ে ঝুমার ছুটে আসা। স্কুল থেকে গাড়ি থেকে নামার পর বুটাকে ঘরে এনে খেতে দেওয়া। তারপর ওকে নিয়ে গল্প করতে করতে পড়তে বসা। সত্যিই কিছু কিছু মানুষ বোধহয় এমন হঠাৎ করেই কাউকে কিছুই না জানিয়ে হারিয়ে যায়। কাউকে কোনো নোটিশ না দিয়েই।

আজ তাই আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে শুধুই সেই হারিয়ে যাওয়া চুপচাপ হাসিমুখের সেই ঝুমার কথা। যে সারাজীবন ধরেই চুপিসারে কাটিয়ে দিলো নিজের জীবন। আর একদিন চুপিসারেই চলে গেল আমাদের সবাইকে ছেড়ে দূরে অনেক দূরে। নিজের কথা না ভেবেই। ভালো থেকো তুমি ঝুমা। 

হারিয়ে যাওয়া ঝুমা - অভিজিৎ বসু।
দশ ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি নিজের ক্যামেরায় তোলা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...