সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ইটিভির বিখ্যাত অ্যাঙ্কর অয়ন

সেই গম্ভীর মুখে ইটিভি বাংলার বিখ্যাত খবর আমার বাংলার সেই খবর পড়া বিখ্যাত অয়ন। সেই দৌড়ে ঝাঁপিয়ে নিউজ এইট্টিন এর পর্দায় খবর পড়া বাংলার বিখ্যাত দাপুটে অ্যাঙ্কর সেই হাসিমুখের অয়ন। সেই বারাসাত এর সরকারী এসি বাসে উঠে এয়ারপোর্ট থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত অফিস আসার সময় ওকে দেখে আমার উচ্ছলতা আর প্রগলভতা বেড়ে যাওয়া সেই অয়ন। আর আমি ওকে ভয়ে ভয়ে ডাকার চেস্টা করা আর ওর ঘাড় ঘুরিয়ে গম্ভীর গলায় বলা, কী খবর ভালো তো। ব্যাস তারপর বাস থেকে নেমে দুজন দু পথে চলে যাওয়া সেই অয়ন। 


সেই হায়দরাবাদ এর বিখ্যাত আমার বাংলা খবরের উত্তম কুমার আর সুচিত্রার জুটি সেই অয়ন ভট্টাচার্য্য আর কাকলী গোস্বামী। সেই খুব সম্ভবতঃ ফোকাস বাংলা অফিসে সিভি দিতে গিয়ে একঝলক ওকে দেখতে পাওয়া সেই বড়ো পদে চাকরী করা খুব সম্ভবতঃ অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর সেই অয়ন। বাংলা মিডিয়ার নানা ঝড় ঝাপটা সামলে একদম রাহুল দ্রাবিড় স্টাইলে বুক চিতিয়ে ঠিক করে ব্যাট করে নট আউট হয়ে হাসিমুখে দীর্ঘদিন ধরে ক্রিজে টিকে থাকা সেই অয়ন।

 আজও সেই ভয় নিয়ে দুরু দুরু বুকে শুধু সেই ইটিভির আমার বাংলার খবর এর একজন সাধারণ রিপোর্টার হিসেবে ওর কথা লেখার সাহস করলাম আমি। সেই অয়ন, কাকলী, মধুবন, সেই অদিতি কত যে স্মৃতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই ফাল্গুনের কাক ডাকা নিঃস্তব্ধ সকালে লাল পলাশের মতই টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে সেইসব স্মৃতির কোলাজ। যার উত্তাপে এই সকালে নিজেকে মেলে ধরতে বড়ো সাধ হয় আমার। আর তাই আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় সেই বাংলার বিখ্যাত জনপ্রিয় অ্যাঙ্কর সেই অয়ন ভট্টাচার্য এর কথা। আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে সেই বিখ্যাত অ্যাঙ্কর এর কথা।

যাঁর কথা লেখার মত গল্প আর অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা নেই আমার এই দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের মিডিয়ার জীবনে। বর্তমানে তো এর মিডিয়ায় নেই টোটো চালক হয়ে গেছি আমি বিন্দাস এলোমেলো এলেবেলে জীবনে। শুধু দুর থেকে নক্ষত্রলোকে বিরাজ করা এই সব মানুষদের দুর থেকে টিভির পর্দায় দেখা আছে।আর মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা আছে। সেই সুন্দর একদম ঝকঝকে আপটুডেট সুন্দর মুখের একটা অ্যাঙ্কর গমগমে গলায় টানটান উত্তেজনা নিয়ে খবর পড়ছে চোখ ফেরানো যাচ্ছে না কিছুতেই। সেই আমলে খবরের দুনিয়ায় এত টিআরপির দাপাদাপি ছিল না সেই সময় এখনকার মতো। তবু সেই আদ্দিকালে অয়ন আর কাকলীর জুটি বেঁধে খবর পড়া আজও অনেকেই মনে রাখেন হয়তো। 

অনেকেই বলবেন ওই সব টিপি দেখে খবর পড়ার যুগ এর সলিল সমাধি হয়েছে কবেই দাদা সেই সব কথা ভুলে যান দাদা আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন আপনি। এখন অন্য যুগ চলছে এই খবরের দুনিয়ায়। সেই ছুটে, দৌড়ে, হাঁফিয়ে, নেচে, কুঁদে, হাত পা নেড়ে, চিৎকার করে, দরকার হলে স্টুডিওতে মারামারি করে খবর পড়ার যুগ আপনাদের সেই বসে খবর পড়ার দিন শেষ। দিন যে বদলে গেছে খবরের দুনিয়ায় বদল হয়েছে অনেক। তবু বদল হলেও কেমন করে যেনো সেই বিখ্যাত বাংলা মিডিয়ার সেরা মুখের অ্যাঙ্কর অয়ন এর কথা মনে পড়ে গেলো আমার আজ। 

সেই হায়দরাবাদ এর সংসার, সেই আমার বাংলার স্টুডিও। সেই মেকআপ নিয়ে হাতে কাগজ নিয়ে দেখতে দেখতে গম্ভীর মুখে হেঁটে চলে যাওয়া স্টুডিওতে। সেই নিরালা নির্জন ছিমছাম শান্ত স্টুডিও। ঝাঁ চকচকে জীবন আর ঝাঁ চকচকে স্টুডিও হাজির হয়নি তখনও এই খবরের দুনিয়ায়। বেশ ভালই ছিল কিন্তু সেই পুরোনো দিনগুলো কি বলেন। যে দিন গুলোর কথা আমার মাঝে মাঝেই মনে পড়ে যায়। মনে হয় সত্যিই তো সেই সব দিনের স্মৃতি রোমন্থন করে বেশ ভালই লাগে আমার। আর সেই তার জোরেই আজ আমি অয়ন ভট্টাচার্য এর কথা লিখে ফেললাম আমার সাদা জীবনের কালো কথায়। সেই আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে।

 যে গভীর গোপন ভালোবাসার কথা এই বসন্তের কোকিল এর মন কেমন করা ডাক এর মতোই ছড়িয়ে পড়ে চরাচরে বসন্তের মন কেমন করা এই আলসেমির ভোরে। যে ভোর আজ আমার কাছে আজ কেমন আলসেমির একটা ভোর। ফেলে আসা জীবনের আলসেমি কাটিয়ে কিছুতেই আর সামনে এগিয়ে চলতে পারিনা আমি কিছুতেই। দূরে কাক ডাকে, কোকিল ডাকে, ঘরের জানলায় দাঁড়িয়ে থাকা নিম গাছের পাতায় পাতা ঝরা ভোরের ঠাণ্ডা হাওয়া মাখা সকাল। সেই সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে হাতড়ে বেড়াই আমার ফেলে আসা অতীত দিনের কিছু স্মৃতি আর স্মৃতির মরিচঝাঁপিতে বারবার ঝাঁপ দিতে বড়ো ইচ্ছা হয় আমার। 

দূরে ঘুঘুর মন কেমন করা ডাক, পলাশের টুপটাপ করে নিঃশব্দে খসে পড়া, বসন্তের মন কেমন করা কুয়াশা মাখা ভোর কাটিয়ে সকাল হয় ধীরে ধীরে আর আমি একা একাই পড়ে থাকি বিছানায় আলসেমি মেখে আর ফেলে আসা অতীত দিনের স্মৃতিকে বুকে জড়িয়ে আগলে। আপনি ভালো থাকবেন অয়ন বাবু। এমন হাসিমুখে দাপিয়ে খবর পড়ে যাবেন। আমরা দর্শকরা সেটা দেখে আনন্দ পাবো। ভালো থাকবেন আপনি। আমার প্রনাম নেবেন আপনি। টোটো চালকের প্রনাম। ভুল হলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। 

ইটিভির বিখ্যাত অ্যাঙ্কর অয়ন - অভিজিৎ বসু।
তেইশ ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...