ফুলমনি মুর্মু আর লক্ষ্মী টুডু ভাবতেই পারেনি যে তাদের ঘরের উঠোনে কল থেকে পরিশ্রুত খাওয়ার পানীয় জল পাবে তারা কোনোওদিন। প্রায় চার বছর পর তারা জল পেলেন নিজের ঘরের সামনে উঠোনে দাঁড়িয়ে। যেটা আজ একদিন তাদের কাছে স্বপ্ন ছিল এতদিন ধরেই, সেটাই বাস্তব হলো আজ।
হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের কেন্দা পাহাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা জল পেলেন আজ শুধু দেউচা পাঁচামির কয়লা খনি প্রকল্পের দৌলতেই। না হলে হয়তো এই ভাবেই জীবন কেটে যেতো তাদের। পরিশ্রুত পানীয় জল না পেয়েই। এই হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দেওয়ানগঞ্জ আর হরিণসিঙা, তালবাঁধ, কেন্দাপাহাড়ি, চান্দা সহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ১৪০০ ঘরে জলের সংযোগ করাই ছিল বেশ কিছু দিন ধরেই। কিন্তু সমস্যা ছিল সেই সব ঘরে ঘরে জলের দেখা মিলত না কিছুতেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই দেউচা পাঁচামি প্রকল্প। যে প্রকল্প ঘোষণা হতেই হৈ চৈ আর হুল্লোড় পড়ে গেছে গোটা এলাকায়। আর এই কয়লা প্রকল্পের সফল রূপায়ণ করতে গিয়ে এলাকার আদি বাসীদের মন রক্ষা করতে ও এই পাথুরে এলাকায় উন্নয়ন করতে বদ্ধপরিকর এই মা মাটি আর মানুষের সরকার। আর তাই চার বছর ধরে যে গ্রামে জল পৌঁছে দিতে পারেনি জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। সেই সব গ্রামের প্রায় ৬০০ ঘরে জল পৌঁছে গেলো আজ বহুদিন পর অনেক কষ্টে। অবশেষে জল পেলো ফুলমণি আর লক্ষ্মীরা। তাদের মুখে আজ খুশির জোয়ার।
বলা যায় এই সব আদিবাসীদের ঘরে ঘরে আজ জল পৌঁছে দিলো এই কয়লাই। যে কয়লা খনির সন্ধান পাওয়া গেছে এইসব এলাকায়। যে কয়লা আর পাথর বেচেই সরকার উন্নয়ন করতে চায় গোটা আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায়। আর করতে চায় কর্মসংস্থান। আর তার প্রাথমিক পর্যায়ে দিনরাত এক করে কাজ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা সেই জল পৌঁছে দিলেন দীর্ঘ চারবছর পর এই ফুলমণি আর লক্ষ্মীদের ঘরে ঘরে। যে পরিশ্রুত পানীয় জল পেয়ে খুশি তারাও। তাদের মুখে আজ খুশির হাসি। ভাগ্যিস দেউচা পাঁচামিতে কয়লাখনির সন্ধান মিলেছিল। তাই তো তাদের ঘরে জল এলো একদম পরিশ্রুত পানীয় জল, সরকারী জল বলে কথা।
কয়লা জল দিলো ফুলমণি আর লক্ষ্মীদের - অভিজিৎ বসু।
একুশে ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য নিজের মোবাইল ফোনে তোলা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন