সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ফিরে এলো তাপসী মালিক

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ সিঙ্গুরের মাঠের কথা। সেই জমি আন্দোলনের কথা। যে জমি আন্দোলনের স্মৃতি সৌধের বিজয় স্তম্ভ উদ্বোধন হলো মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে দিন কয়েক আগে আরামবাগে। যে জমির জন্য অনেক লড়াই, সংগ্রাম, আন্দোলন এর সাক্ষী গোটা রাজ্য, কিছুটা হলে আমিও। 


আসলে সি পি এমের জমি দখলের রাজনীতিকে কাউন্টার করতে গিয়ে বিরোধী দল তৃণমূলও বুঝতে পারে নি যে এই বিরোধিতা তাকে অক্সিজেন সাপ্লাই করবে একদিন অদূর ভবিষ্যতে। যে অক্সিজেন নিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করবে রাজ্যের। আসলে আন্দোলন যখন তৈরি হয়, যারা আন্দোলন করেন কিছু পাওয়ার আশায় করেন। কি সেটা হয়তো বুঝতে পারা যায় না প্রথমে। পরে ধীরে ধীরে জোরদার হয় আন্দোলন। জোরদার হয় লড়াই। তার সুফল মেলে অনেক পরে ধীরে সুস্থে।

প্রথম দিনটার শুরু তো সেই টাটার কর্তা রবিকান্ত যেদিন সাদা গাড়ি নিয়ে গ্রামে ঢুকতে গেলেন সেদিন। হাতে গোনা কজন সাংবাদিক আমরা উপস্থিত সেদিন। মাটির রাস্তায় সাদা গাড়ি ধুলো উড়িয়ে এসে দাঁড়ালো রাস্তার পাশে টাটার লোকদের গাড়ি। জমি দেখতে এসেছেন তারা। ব্যাস আরকি খবর আগুনের মত ছড়িয়ে পড়লো বাজেমেলিয়ার গ্রামে। মাটির রাস্তায় শুয়ে পড়ে সেই প্রথম দিন মহিলারা বুঝিয়ে দিলেন বিনা যুদ্ধে নাহি দিবো সুচগ্র মেদিনী। সত্যিই তো কেনই বা বাপ ঠাকুর্দার জমি একলপ্তে অন্যর হাতে তুলে দেবেন তারা। একই মগের মুলুক নাকি। যতই পার্টি বলুক আর সাদা পাঞ্জাবি পাজামা পরা নেতারা গ্রামে ঘুরে বলুক জমি দিয়ে দাও তোমরা কারখানা হবে গো।

কেমন একটা যেনো চিনচিনে ব্যাথা বুকের মাঝে জেগে ওঠে সিঙ্গুরের গ্রামের মানুষদের মধ্যে। বুকের গভীরে চেপে বসে জেদ, তৈরি হয়ে যায় ইচ্ছুক আর অনিচ্ছুক দুটি দলের দুটি ভাগ। একদল বলে জমি দিয়ে কারখানা করা হোক। অন্য দল বলে না জমি নেওয়া যাবে না কোনো ভাবেই। সত্যিই তো এই দু পক্ষের দড়ি টানাটানি আর লড়াই এর মাঝে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা জোর কদমে। সিঙ্গুর বিডিও অফিসে চেক বিলির সেই রাতের কথা। প্রতিদিনের দৌড় আর দৌড়। হিসেব করে দৌড় নয়, খবরের জন্য বেহিসেবী দৌড় আমার। সত্যিই তো আমার এই বাতিল জীবনের শেষ প্রান্তে এসে ভাবি সেই দৌড়ের কথা। যে দৌড়ে সামিল হয়েও রাজনীতির কুশীলবদের হাতের ক্রীড়নক হতে হয় নি আমায় কোনো দিন। 

কত কথা আজ মনে পড়ে যায়। সিঙ্গুরের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের রাস্তার পাশে ক্যাম্প করে জমি পাহারা দেওয়া মুকুল রায় এর কথা। রাতের অন্ধকারে গ্রাম এর মাঝে জমি পাহারা দিয়ে রাত জাগা সুব্রতদার মজার অভিজ্ঞতার কথা। আর সেই যে মাঠে নেমে পুলিশের এলোপাথাড়ি লাঠির বাড়ি খেয়েও দাঁতে দাঁত চেপে যে লড়াই করার সাহস দেখালো সিঙ্গুরের গ্রামের মানুষরা সেদিন তো আন্দোলনের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অর্ধেক অক্সিজেন পেয়ে গেলেন তিনি শাসকদল কে হারিয়ে হাসি মুখে। তাপসী মালিক, রাজকুমার ভুলের মৃত্যু আন্দোলনকে আরো জোরদার করলো। আরো বেশি করে অক্সিজেন দিলো।

যে আন্দোলনের স্মৃতি সৌধ বিজয় স্তম্ভ তৈরি হলো তার ইতিহাস অনেক দীর্ঘ। কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হলো জমি। পুলিশের নজর এড়িয়ে পৌঁছনো যাবে না গ্রামে। আন্দোলনকে ভেঙে দিতে হবে যে করে হোক। কিন্তু মেধা পাটেকর গ্রামে পৌঁছে গেলেন আমাদের সাহায্য নিয়ে অনায়াসেই। চাষীদের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন জমি দখল করতে দেওয়া যাবে না কোনো ভাবেই। গ্রেফতার হলেন পুলিশের হাতে মেধা পাটেকর। আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ছে। ধীরে ধীরে লোক বাড়ছে সিঙ্গুরে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে লোক ভরে উঠলো। তারা সবাই সিঙ্গুরে আসতে শুরু করলো। জমজমাট হয়ে গেল সিঙ্গুরের রাস্তাঘাট।

শাসক দল ততো দিনে বুঝে গেলো হাওয়া খারাপ। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আর সমঝোতার সূত্র বের করতে হবে না হলে কারখানা করা যাবে না কিছুতেই। আলোচনা হলো রাজভবনে আশায় বুক বাঁধলো অনেকে কারখানার আশায় জমিদাতারা। কিন্তু না, হলো না কারখানা। আইনের বেড়া টপকে সিঙ্গুরের জমি দখল করতে পারলো না টাটারা। চলে গেলো তারা সিঙ্গুর ছেড়ে। জয় হলো আন্দোলনের। সেই জয় এর স্মৃতি স্তম্ভ, সৌধ নির্মাণ করা হলো এত দিন পরে স্বগর্বে, ঢাকঢোল পিটিয়ে। 

আসলে সাদা জীবনের কালো কথায় সেই সব দিন গুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। মনে হলো এসব কথা লিখে রাখা দরকার। যে আন্দোলনের স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হলো। সেই সিঙ্গুরের গ্রামের মানুষদের জন্য সত্যিই কি ভালো হলো কারখানা না হয়ে। কৃষি আর শিল্পের সংঘাতে কি সত্যিই লাভ হলো সিঙ্গুরের সাধারণ মানুষের। নাকি লড়াই করতে গিয়ে কৃষি জমি জিতে গেলো শিল্পকে গো হারা হারিয়ে দিয়ে।

নাকি শুধু মাত্রই একটা মামুলি আন্দোলন, জোর করে জমি নেওয়ার বিরুদ্ধে সবাইকে আহ্বান জানিয়ে আন্দোলন করা হলো সিঙ্গুরের মাটিতে। যে আন্দোলনের সুফল পেলো আন্দোলন করা একটি রাজনৈতিক দল। আর আজ এত দিন পর সেই আন্দোলনের স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করে স্যালুট জানালো তারা তাই। সেই দিনের চুপসে পড়া রাজনীতির ময়দানে ঘোর বিপাকে পড়া দলটি। 

রাজনীতির ঘোর প্যাঁচ না বুঝে এটা বলা যায় যে জমি রক্ষা আন্দোলন কারীদের লড়াইকে কুর্নিশ জানাই। যারা সেদিন দা, কাস্তে, হাতা, খুন্তি, নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছিল। শুধু নিজেদের বাপ ঠাকুর্দার ভিটে মাটি কে রক্ষা করতে। না হলে হয়তো আজকে তাদের গ্রামে এই বিজয় স্তম্ভ তৈরি হতো না।

ফিরে এলো তাপসী মালিক - অভিজিৎ বসু।
পনেরো ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক ও গুগল।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...