সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

টোটো ভাড়ার তালিকা

কলকাতা থেকে কতজন যে আমায় এই টোটো ভাড়ার চূড়ান্ত তালিকা পাঠালেন তার ইয়ত্তা নেই। সকাল থেকেই একদম শিলা বৃষ্টির মতই আকাশ পথে উড়ে উড়ে এলো এই টোটো ভাড়ার তালিকা আমার কাছে। ঠিক যেনো দীঘার সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়ছে ঢেউ। ঠিক যেনো মহাকাশে আটকে পড়া সুনীতার কাছে ছুটে যাওয়া যন্ত্রযান। যে তালিকায় লেখা কোন রুটে টোটো ভাড়ার কত ভাড়া সেটার উল্লেখ করা হয়েছে। খুব বেশী রোজগার নয় সারাদিনে এই টোটো চালকের তালিকায় যা লেখা আছে সেটা হলো ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মাত্র, সারাদিন বোলপুরে পর্যটকদের ঘুরিয়ে। আর কঙ্কালীতলা যেতে আসতে ৪০০- ৪৫০ টাকা ভাড়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেই তালিকায়।

 আর তাতেই সবাই তার নিজের কাজ ছেড়ে বোলপুরে টোটো চালক হতে আসছেন বলে লিখে বলছেন এই সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ আমায় বলেছেন দেখ ভাই এটা দেখ তুই বা তুমি যাঁর যা পছন্দ। এমন রোজগার হলে আমাদের টোটো চালক হতে আর আপত্তি নেই যে কোনোও। তাহলে আর অমন দুঃখ দুঃখ মুখ করে জনসমক্ষে বলা কেনো টোটো চালকের লেখা, টোটো চালকের জীবন, টোটোময় পদ্য নয়, গদ্যের একটা বিস্তৃত জীবন। যে জীবনে আমি আনন্দে নেই, নিরানন্দে আছি। সত্যিই কত জনের কত চিন্তা আমায় নিয়ে ভাবলেও বেশ ভালই লাগে আমার এই বুড়ো বয়সে। 

 আসলে আমার মনে হয় এই বাংলা মিডিয়ায় কাজ করা এক সাংবাদিক যে নিজের ইচ্ছায় স্বেচ্ছা অবসর নিয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো পাঁচ বছর প্রায়। যে নিজের মতো করেই বেঁচে আছে শিরদাঁড়া সোজা করে তার এলোমেলো, এলেবেলে আর বিন্দাস জীবন নিয়ে। টোটো চালিয়ে বা না চালিয়ে যেটা তার একান্তই নিজের ব্যাপার। যে শুধু এক মিডিয়ার খবর এর অফিসে চাকরি করার সময় এক মমতা ঘনিষ্ঠ দাদার আমল হঠাৎ করেই বদলে যাওয়ায় সেই ঝোড়ো হাওয়ায় এক দিদির আমল এসে পড়ায়। বসন্তে কালবৈশাখী ঝড় এর মতোই যে কাজ ছেড়ে দিয়ে টোটো চালিয়ে ঘুরে বেড়াবো বলে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে কোনকিছু আগুপিছু না ভেবেই।

 আর হঠাৎ করেই এই টোটো ভাড়ার তালিকা দেখেই চোখ কপালে উঠে যায় তথাকথিত কিছু সমাজে, সংসারে উচ্চ শ্রেণীতে বসা ফার্স্টক্লাস এসিতে বা চার্টার্ড প্লেনে ভ্রমণ করা মানুষজনের। যাঁরা সকাল সকাল গাড়ী নিয়ে গড়গড়িয়ে অফিস যান গায়ে সুগন্ধী মেখে আর সুন্দর মসৃণ গালে দাড়ি কেটে আফটার শেভ মেখে ঘুরে বেড়ান দামী জামাকাপড় পড়ে ঠান্ডা অফিস ঘরে। মাসের শেষের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা বসের খিস্তি শুনেও চুপ করে বেতন পান আর হজম করেন অনেক কিছুই। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এ তাদের স্যালারি ক্রেডিটেড এর মেসেজ আসে প্রতি মাসে। আর তারপর হাসি হাসি মুখ করে পরিবার নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় তাঁরা সব পার্টি করতে যান এদিক আর ওদিক। উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতই ছবিতে বেঁচে থাকেন যাঁরা সমাজে, সংসারে, অফিসে, হাটে, মাঠে, ময়দানে দৌড়ে দৌড়ে হাঁফিয়ে গিয়েও কেমন জিভ বের করেও।

কিন্তু আমার জীবন তো এখন কমা, সেমিকোলন আর ফুল স্টপ এর মতই ঝুলে আছে ওই বসন্তে লাল পলাশের হাসি মেখেই। দোয়েল আর কোকিলের ডাক শুনেই। ঠিক যেনো ওই খেলবো না, খেলবো না আর আব্বুলিশ আব্বুলিশ খেলা খেলে যাওয়া চুপটি করে একা একাই ঐ নিকোনো উঠোনে চু কিত কিত খেলার মতোই। দৌড়হীন একটা জীবন, যে জীবনের কোনোও তাড়া নেই, যে জীবনের কোনোও আওয়াজ নেই, যে জীবনের কোনো বসের কাছে গাল শোনা নেই, যে জীবনে কোনোও টোটো চালিয়ে প্রচুর হাজার হাজার টাকার রোজগার নেই আমার। যে জীবনে কেউ বসের বা ম্যানেজার এর গাল শুনেও লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করলেও কোনোও আওয়াজ নেই, বিকার নেই, আর সেসব দেখে হিংসাও নেই আমার কারুর প্রতি। 

একজন বিকারহীন, হিংসাহীন মানুষ হয়ে এলেবেলে হয়ে বেঁচে থাকা এই সমাজে, এই ধুলি ধূসর সংসারে। যে বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণ চেষ্টাও নেই আর আমার। শুধু এই জীবন কাটিয়ে দেবার একটা উদগ্র বাসনা আছে। যে জীবনে জড়িয়ে আছে ভোরের আলোয় কোকিলের আকুল করা কুহু কুহু বিরহী ডাক। যে জীবনে জড়িয়ে আছে দোয়েল,ফিঙে আর শ্যামার মনোলোভা নাচন। যে জীবনে আছে ফাল্গুনের নিঃস্তব্ধ সন্ধ্যায় জোছনার আলো মেখে খোয়াই এর প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো। যে জীবনে আছে মন খারাপ করা কোপাই এর ধার ধরে একা একাই হেঁটে বেড়ানো আনমনে। যে জীবনে আছে ঝোড়ো হাওয়ায় চৌ পাহাড়ির জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া নিজে নিজেই। যে জীবনে আছে মা কঙ্কালীতলায় সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বেলে আরতির টানে ছুটে যাওয়া।

 তাহলে আর কিসের জন্য এই টোটো ভাড়ার তালিকা দেখে হিংসায় দ্বীর্ণ হয়ে যাওয়া। হিংসায় জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া। ছারখার হয়ে যাওয়া আপনমনে। সেই ছাই হবার দিন তো এসে গেছে প্রায়। বসন্তের সমীরণে ছাই হয়ে যাবার দিন যে আর বেশি বাকি নেই। তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে যে তালিকায় লাভ ক্ষতির হিসেব নয়, যে তালিকায় প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির হিসেব নয়, যে তালিকায় শুধুই একটাই কথা লেখা থাকবে, শেষের সে দিন বড়ই ভয়ঙ্কর। যে দিন হিসেব নেওয়ার নয়, হিসেব দেওয়ার দিন। আমাদের কাজের হিসেব, আমাদের কর্মফলের হিসেব। যে তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে সকলের অলক্ষ্যে, গোপনে। 

টোটো ভাড়ার তালিকা - অভিজিৎ বসু।
আঠারো মার্চ,দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
টোটো চালকের ছবি আমার মোবাইলে তোলা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...