মন কেমন করা ভোরে ঘুম জড়ানো চোখে,
তোমার মুখে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে লেগে আছে মল্লিকার
প্রস্ফুটিত রূপ।
তোমার পুরু ওষ্ঠের কালো তিলের হাতছানি এড়াতে প্রাণপনে লড়াই করি আমি দিন ভোর।
ঠিক যেমন করে কাক-কোকিলের লড়াই বাঁধে নিম গাছের মাথায় দুপুর বেলায়।
যে মুখের মায়ায় আমি লুটায়ে পড়ি বার বার তোমার মল্লিকা বনে।
হাজার বছর বছর ধরে অপেক্ষা করি আমি শুধু তোমারই জন্য।
যে অপেক্ষার দিন, রাত, ঘন্টা, প্রহর গুনি আমি
সব সময়।
রাতের অন্ধকারে মাথার ওপর ব্যবিলনের ঘড়ির ঘড় ঘড়ে আওয়াজ।
দুলকি চালে চলা সিলিং ফ্যানের মাথা দুলিয়ে ঘুরে যাওয়া।
হালকা হাওয়ায় উড়ে যায় পাখির পালক, উড়ে যায় বসন্তের প্রলাপ বকা বিধুর আঁধার মাখা মন।
যে মনের মণিকোঠায় আজও অমলিন সেই মায়াময় হাসি, সেই কালো তিলের স্পর্শ।
সেই ভেজা ঠোঁটের মন কেমন করা কুহু কুহু ডাক।
আমি চুপটি করে বসে থাকি একা রাতের অন্ধকারে জানলার গারদ ধরে।
গারদের ঠাণ্ডা লোহার রডে চিবুক ঠেকিয়ে বসে থাকি শুধু তোমারই জন্য।
ঠাণ্ডা হাওয়ায় এলোমেলো হয়ে যায় বসন্তের প্রলাপ বকা ভোর।
যে ভোর বেলায় মল্লিকার গন্ধে মাতাল হয় আমার সারা শরীর, মন।
বসন্তের মল্লিকা - অভিজিৎ বসু।
দশ মার্চ, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন