সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

২৪ ঘণ্টার মৌমিতা

কিছু কিছু জনের ক্ষেত্রে লেখার সময় মনে হয় যদি কিছু ভুল হয় তাহলে কি হবে কে জানে বাবা। কিছুটা ভয় পেয়ে পিছিয়ে আস্তে হয় আমায় তাঁকে নিয়ে লিখতে বসেও। কলম থামিয়ে দিতে হয়। আবার তারপর কিছুটা ভরসা হয় কিছু কিছু আমার লেখায় তাঁর কমেন্টস দেখে ভরসা হয় তাহলে বাঁচোয়া আর কি বলেন আপনারা সব। নিশ্চয়ই আমায় মনে আছে এতদিন পরেও তার। সেই মহাকরণের বারান্দায় এই মন্ত্রীর ঘর থেকে ওই মন্ত্রীর ঘরে হাসতে হাসতেই প্রবেশ করা ক্যামেরা নিয়ে আর বুম নিয়ে। এতো বাধা ছিল না সেই সময় সাংবাদিকদের ঘোরাঘুরিতে এই মহাকরণে বাঘ ছাপ বারান্দায় হেঁটে যেতে কোনোও বাধা ছিল না সেই সময় আমাদের। 


সেই কংগ্রেসের বিধায়ক মুর্শিদাবাদ এর মনোজ চক্রবর্তী খুব সম্ভবত, তাঁর ঘরে গিয়ে তৃণমুল এর দাপুটে নাজেহাল অবস্থা নিয়ে ঘর করবেন কি করে দাদা, বলে বসে পড়া তাঁর সামনে আমাদের এই নানা সাংবাদিকদের। এটা বলে একটু অপেক্ষা করা মন্ত্রী কি বলেন পর্যবেক্ষণ করা আমাদের। আর সেই দপ করে জ্বলে উঠে সেই কংগ্রেসের বিধায়ক তথা মন্ত্রীর মন্তব্য আমি আর নেই এই অবস্থায়। বলেই মন্ত্রীর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়া দ্রুত পায়ে তাঁর। এই খবরের পুরো কৃতিত্ব ছিল তাঁর। কতদিন দেখা হলেই যে সে প্রসঙ্গ এসেছে আমাদের দুজনের মধ্যে। সেই কলেজ স্ট্রিটের বিখ্যাত পূজো মণ্ডপে ওর লাইভ করা। পূজো দেখতে গিয়ে দেখা হওয়া ওর সাথে আমার পরিবারের সবার গাড়ী থেকে নেমে কথা বলা।

হ্যাঁ, আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় সেই আমার আঁকিবুঁকি ব্লগে সেই ২৪ ঘণ্টার দাপুটে রিপোর্টার সেই স্ট্রাগল করে বড়ো হওয়া ব্যারাকপুরের মেয়ে মৌমিতা চক্রবর্তীর কথা। সেই মৌমিতা যে সিপিএম এর যে কোন অনুষ্ঠানে যে এক এবং অদ্বিতীয় হয়েই ঘুরে বেড়ায় যে কোন নেতার কাছে হাসি মুখে সোজা চলে যায় তাঁর কাছে মঞ্চে উঠে। আর বিমান বোস হলে তো কথাই নেই একদম ঘরের মেয়ের মতোই কথা বলা তাঁর সাথে। অন্য যে কোনোও ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সব খবর দ্রুত ধরিয়ে দিতে সমান পারদর্শী সে। হাসিমুখে গোল দিতে ভালোবাসে সে অন্য প্রতিপক্ষকে বুঝতে না গিয়েই। বেশ হাসিখুশি মূখেই ঘুরে বেড়ায় সে। আমার লেখায় তাঁর কমেন্টস দেখেই বুকে বল ভরসা পেলাম আমি একটু আর তাই কলম ধরলাম আমি আজ তাঁকে নিয়ে। 

মৌমিতা, আমি, দেবাঞ্জন দাস বেশ ভালো জুটি ছিল সেই সময় মহাকরণের অন্দরে আমাদের এই সব ত্রয়ী সাংবাদিকদের। হুগলী আর উওর ২৪ পরগণার টিম। নানা মন্ত্রীর ঘরে বিন্দাস হয়ে ঘুরে বেড়ানো। নজরদারি আর ঘেরাটোপে বন্দী হয়ে সাংবাদিকতা করা নয় সেই সময়। একটু খোলা মনে কাজ করা যেনো। সেই সব দিনের কথা মনে পড়ে গেলো আমার আজ মৌমিতার কথা লিখতে বসে এই রাতদুপুরে। 

সেই দূর্গা পূজোর সময় ওর লাইভ করা। ওর মধ্য কলকাতার মন্ডপকে দক্ষিণ কলকাতার মণ্ডপের হারিয়ে দিয়েছে বলে লাইভে অন্য এক রিপোর্টার এর অয়নের গলা ফাটানো। আর সেটা দেখে কোমর বেঁধে ফের ফিল্ডে নেমে পড়া ওর। এই লড়াকু মনোভাব, এই সাহস, ওর এই নাছোড়বান্দা মনোভাব দেখে বেশ ভালো লাগে আমার। যদিও এখন আমি এইসব কথা বলার সাহস দেখানো ঠিক কী না সে কথা জানিনা। তবু বলে ফেললাম আমি আজ এই রাতদুপুরে। বর্তমানে মিডিয়ার কাজ না করেও।

সেই ওর শান্তিনিকেতনের কথা বলা। ওর এইখানে পড়তে আসার দিনের কথা বলা, গল্প করা আমার সাথে। আমার মেয়ে পড়তে আসবে শুনে কত সাহায্য করার কথা বলা আমায়। আবার হঠাৎ করেই কেমন করে যেনো একটু রেগে যাওয়া। সেই সব নানা কথা মনে পড়ে যায় আমার। সেই সব দিনগুলো বেশ কাছে চলে আসে লিখতে বসে। এইভাবেই হাসিমুখে দেখা হয়ে যায় আমাদের। আর সেইসব দিনে পুরোনো ফেলে আসা দিনের কথা মনে করবো আমি। সেদিন দেখা হলো কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটু দূরে বসেছিলাম আমি।

 সেই হৈ হুল্লোড় করে আমাদের কাজ করা, খবর করা এদের সাথে কাজ করা দল বেঁধে বেশ ভালই লাগত কিন্তু আমার। সব বদলে গেলো একটু একটু করে। তারপর ধীরে ধীরে মহাকরণে পুলিশের নজরদারি বাড়লো। কমল সাংবাদিকদের গতিবিধিও। এইভাবেই এগিয়ে গেলো এই আমাদের বাংলা মিডিয়ার আধুনিক যুগের সাংবাদিকতা। যেখানে মৌমিতা, দেবারতি, কমলাক্ষ, সন্দীপ সরকার, সিজার মণ্ডল, তন্ময় প্রামাণিক, কমলিকা, শ্রেয়সী, সুতপা, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, অয়ন, প্রীতম, সেই ভরা সংসার, হৈচৈ করে খবর করা। আরও কতজন যে ছিল সেই সময়। সত্যিই ওর কথা লিখতে বসে এইসব কথা মনে পড়ে গেলো আমার। সাদা আর কালোর মাঝে ভালো উজ্জ্বল কিছু স্মৃতি। ভালো থেকো তুমি মৌমিতা। 

২৪ ঘণ্টার মৌমিতা - অভিজিৎ বসু।
এগারো ফেব্রুয়ারী, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...