একদম কাছে থেকেও দূরে থাকা। একদম এক শহরে বাস করেও কেমন দুজনের যোগাযোগ না থাকা। কাছে থেকেও কেমন করে যেনো দুরে থাকা। সেই নিউজ টাইমের সাংবাদিক শুভদীপ। সেই এন কে বাংলার সাংবাদিক শুভদীপ। সেই বর্তমানের শুভদীপ। সেই বোলপুরের শুভদীপ।সেই বেশি যোগাযোগ না রাখা কথা না বলা কম কথা বলা নিজের চারপাশে ভীড় বাড়তে না দেওয়া শুভদীপ। ওর মনে হয় যোগাযোগ বা কথা রাখলেই কেমন যেনো একটু আলাদা করে রাখা যাবে না একদম নিজেকে অন্য কারুর কাছে।
হয়তো টোটো চালকের জন্য একটা দূরত্ব সৃষ্টি করে চলা ওর। আর তাই সেই চেনা মানুষের কেমন করে যেনো অচেনা হয়ে যাওয়া। আজ সেই শুভদীপ এর কথা মনে পড়লো আমার। সেই মিশন কম্পাউন্ড এর ভাড়া বাড়ী। সেই সৌতিক আর শুভদীপ এর সাথে দেখা হলো একদিন আমার। নতুন আস্তানার খোঁজ দিলো শুভদীপ। ওর বন্ধুর বাড়ী। সেই দেবাশীষ দার বাড়ীতেই বর্তমানে বাস আমার সেই রামকৃষ্ণ রোডে। সেই শুভদীপ এর ঘরে কাঠবিড়ালির খেলা করা। সেই সুন্দর বাগান ওদের। কিন্তু তেমন করে সখ্যতা গড়ে ওঠেনি আমাদের এতদিনেও। কেন কে জানে।
একটা ঘেরাটোপে আবদ্ধ রেখেই ওর বেঁচে থাকা কারুর কাছে বেশি যোগাযোগ না করে। সম্পর্কের এ এক নতুন অভিজ্ঞতা আর সংজ্ঞা। সেই সেক্টর ফাইভের অফিস থেকে ওর এন কে বাংলার লোগো নিয়ে আসা। সেই ওর দাড়ি নিয়ে লাইভ করা যাবে না বলা। সেই নতুন চ্যানেলে ওর জেলা জুড়ে কাজ করার সুযোগ করে না দেওয়া। যার জন্য হয়তো আজও রেগে আছে আমার ওপর ও। আর তাই হয়তো টোটো চালককে কিছুটা হলেও এভয়েড করেই চলে সে বরাবর। আরে তাতে কী সেতো কতজন যে আমায় এড়িয়ে চলে আজকাল তার আর ঠিক নেই যে। এরজন্য রাগ হয় না আমার আজকাল। এটাই তো জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। অভিমান হয়না কারুর ওপর।
তবু বেশ আজকাল ইচ্ছা করে এদের সাথে আমার আড্ডা মারতে। সেই গাছের তলায় বসে গল্প করতে। সেই মাটিতে পা রাখা মনা বিরবংশী, সেই বিখ্যাত একটু সবার সাথে দুরত্ব বজায় রেখে ছোঁয়া বাঁচিয়ে চলা ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। সেই খবরের দুনিয়ায় জিকোর মত গোল করা অভিষেক দত্ত বোধহয়। সেই বিখ্যাত সাংবাদিক প্রসেনজিৎ মালাকার। সেই এক সময় ওর ক্যামেরাম্যান বর্তমানে বিখ্যাত দাপুটে রিপোর্টার অমর দত্ত কি ভুলে গেছি আজকাল।
সেই আরও কতজন এর সাথে যে মিশতে ইচ্ছা করে আমার। সেই শাওনি আর স্নেহময় এর সুখের সংসার। ওদের মেয়েটা বেশ সুন্দর। সেই নিউজ টাইমের সুজিত। কিন্তু একটাই বাধা আমি যে আজ আর এই মিডিয়ায় নেই। কোনো কাজ নেই। কোনোও আক্ষেপ নেই। হতাশাও নেই। শুধু মনে পড়ে যায় এদের কথা। আর তাই আজ এই দুপুর বেলায় শুভদীপ এর কথা লিখে ফেললাম আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায়। ভালো থেকো ভাই তুমি। আমার টোটো চালকের লেখা পড়ে দেখো তুমি।
বোলপুরের শুভদীপ - অভিজিৎ বসু।
আঠাশ মার্চ দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন