অতলে তলিয়ে যাওয়ার সময় হলে, আমাকে বোলো।
অন্তত একটি বার তুমি হাতে হাত ছুঁয়ে বোলো।
দেখবে ঠিক সময়ে আমরা দুজন তলিয়ে যাবো, ওই অন্ধকারের অতল গহ্বরে।
জল পরীর মত ভেসে বেড়াব আমরা দুজন,দুজনকে জড়িয়ে ধরে আশ্লেষে।
মনিমানিক্য না হয় খুঁজে পাবো না আমরা, কোনো দিনই।
কিন্তু ওই যে সবুজ শ্যাওলা পড়া নুড়ির গায়ে,জড়িয়ে থাকা ছোটো মুক্তোর সুখ স্পর্শ পাবো।
দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে বেঁচে থাকবো আমরা অতল গহ্বরে।
অন্ধকারের বুক চিরে ফুটে উঠবে অধিকারের রঙিন উড্ডিন পতাকা।
বিজয়কেতন উড়িয়ে, এদিক ওদিক দৌড়ে বেড়াবে গ্রহানুপুঞ্জ।
রাতের অন্ধকারে আচমকাই ঝড় উঠবে সৌরজগতের কক্ষ পথে।
আমরা একে ওপরের হাতের ওপর হাত রাখবো, নির্ভয়ে।
নিঃসংকোচে ঝড়ের রাতে, তোমার কাছে ভালোবাসার ঠিকানা চাইবো আমি।
তুমি আলগোছে হেসে চোখ তুলে বলবে, এই নাও বলে উপুড় করে দেবে তোমার আঁচল।
অন্ধকারের পথে গ্যালাক্সির মত ছড়িয়ে পড়বে তোমার ভালোবাসার, টুকরো টুকরো ঠিকানা।
ভালোবাসার ঠিকানা - অভিজিৎ বসু।
পাঁচ মার্চ, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন