কর্মহীন, ধর্মহীন হয়ে গেছি আমি অনেক আগেই।
কিন্তু স্মৃতিহীন হতে পারিনি আমি কিছুতেই আজও।
স্মৃতি মেদুরতার উত্তাপে, জ্বলে পুড়ে ছার খার হই, চৈত্রের নিদাঘ দুপুরে।
মাথার ওপর শুন্য আকাশে, ঘুরে বেড়ায় ঈদের নরম চাঁদ।
কালো চিলের দল ডানা ঝাপটায় শুন্য আকাশে।
একফালি চাঁদের মোমের আলোয়, ভেসে যায় মাঠ,পুকুর, জিওল বনের ধার,পাট শাকের ক্ষেত।
হিজলি গাছের ডালে দোল খায় জল ফড়িং, পুকুর পাড়ে ডিম পাড়ে হলুদ ছোপ ছোপ গো সাপ।
চাঁদের আলো গায়ে মেখে ডিমে তা দেয় ওরা দুর থেকে।
নিমগাছের মগডালে বসে, একমনে জরিপ করে কাঠঠোকরা।
বুড়ো নিমগাছে ঠোঁট ডুবিয়ে আওয়াজ তোলে সে।
যে আওয়াজে চুরমার হয়, আমার স্মৃতির জড়োয়া ঘেরা আয়না।
ভেঙে দুমড়ে মুচড়ে যায় আমার অতীত, বাঙময় অতীতের কথা ও কাহিনী।
ধর্মহীন, কর্মহীন আমি একাকী চাঁদের আলো গায়ে মেখে দেখি সব কিছু।
কেমন স্মৃতির ভারে ন্যুব্জ হয়ে গেছি আজ।
তবু কেমন যেন জল ফড়িংয়ের মত ভেসে বেড়াই আমি এ ডাল, ও ডাল।
স্মৃতি হাতড়ে তাড়া খেয়ে বেড়াই আমি আজও।
মাঠের ধারে দোল খায় বাবুই, ঘাসের ডগায় জেগে ওঠে ছোট্ট সাদা ফুল।
আনমনে স্মৃতি আকঁড়ে বলে উঠি আমি, হে অতীত আমায় মুক্তি দাও।
চাঁদের নরম আলো গায়ে মেখে আমি মুক্তি চাই।
মুক্তি - অভিজিৎ বসু।
এগারোই এপ্রিল, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন