মাঝে একটা দেওয়াল, দেওয়ালের এপারে, ওপারে বিস্তর ফারাক।
দেওয়াল ভেদ করে বেরিয়ে আসা, ওই শিকড় সন্ধানী গবেষক, কবেই হারিয়ে গেছে রংপুরের রাস্তায়।
যে কোনো কারণ ছাড়াই শিকড়ের সন্ধানে, এদিক ওদিক দৌড়ে বেড়ায়, আপন মনে বেখেয়ালে।
আচমকাই টান দিত দেওয়াল জুড়ে ছড়িয়ে পড়া, ঈষৎ ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া শিকড় ধরে।
শিকড়ের গায়ে জড়িয়ে থাকা, সরু সরু শিরা, উপশিরায়, টান পড়তো আচমকাই।
চাপ বাড়তো হৃদপিণ্ডের,ধমনীর,
চাপ বাড়ত মনের।
সাপুড়ের মত মাটির গর্ত থেকে বের করে আনতো, সোঁদা মাটির গন্ধ মাখা ভেজা অতীত।
কালো রাতের আকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতো, মেঘবালিকার মৃদু কান্না।
রাস্তার পাশে মোড়ের মাথায় ওই, নিম গাছের ডালে বসে চুপি চুপি দেখত সেই দৃশ্য, একা একা ওই,
কালো দোয়েলটি।
আর মনে মনে ভাবত ভাগ্যিস, তার বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখা অতীত,বর্তমান, ভবিষৎ কিছুই আর, বেঁচে নেই আজ।
নিমের হাওয়া গায়ে মেখে, দোয়েলের শিসের ডাকে ঘুম ভাঙত আমার।
ভোরের আলোয় দেখতাম আমি, আমার অতীত,বর্তমান, ভবিষৎ, সব মিলে মিশে একাকার
হয়ে গেছে।
একদম একা হয়ে বেঁচে আছি আমি।
একা - অভিজিৎ বসু।
পয়লা এপ্রিল, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন