সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

এক খবর পাগল সাংবাদিক

আসলে রাত দুপুরে হঠাৎ করেই এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শুরু ও শেষ এর বাতাবরণে হঠাৎ করেই মিসাইল আক্রমণের যুগে এক খবর পাগল মানুষকে নতুন করে আবিষ্কার করা আমার মত এক টোটো চালকের। কেউ কেউ বলবেন এই আবার এক লোককে নিয়ে আর কতবার কত তেল দিয়ে আপনি লিখবেন দাদা অনেক তো হলো। কত আর তেল দেবেন আপনি ওই বাংলা মিডিয়ার চ্যানেল থেকে বাইরে ভিনরাজ্যে চলে যাওয়া এডিটর থেকে ম্যানেজিং এডিটর হয়ে যাওয়া এই মানুষটিকে। 


তেল দেওয়া ঠিক নয়, এই যুদ্ধের সময়কালে একটি সাধারণ জেলার ছেলের এই যুদ্ধ যুদ্ধ নিয়ে নানা ব্যাখ্যা, ছবি তার খুঁটিনাটি ব্যাখ্যা ফেসবুকে পড়তে পড়তে মনে হলো সত্যিই বেশ শেখার বিষয় এই যে ছোটবেলায় পড়েছিলাম বিষয় সাংবাদিকতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় লেখা বই। তেমন যদি যুদ্ধ নিয়ে এত সহজ সরল করে ভারতের কি শক্তি আর কি ক্ষমতা আছে কি দিয়ে পর্যুদস্ত হলো পাকিস্তান সেটা নিয়ে সহজ সরল ভাবে কিছু জানতে হয় তাহলে ধ্রুবজ্যোতি প্রামাণিক এর এইসব নানা লেখা পড়তে হয় তাঁর ফেসবুক পেজে গিয়ে।

 কেউ কেউ বলেন এই সাংবাদিকতা তো শিক্ষিতদের জন্য। আমার মত মেঠো জেলার পাতি গড়পড়তা অতি সাধারণ মানের ছেলের জন্য একদম নয়। সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই তবু এই ভারী ভারী যুদ্ধের দামামা, এত আয়োজন এত লোকলস্কর জঙ্গি হানা তাদের দুর থেকে মোকাবিলা করে শত্রু পক্ষের ঘরে ঢুকে মেরে শুয়ে কোমর ভেঙে দেওয়া এই সব পড়ে সত্যিই কেমন যেনো দেশপ্রেম আর দেশের প্রতি ভালোবাসা নিজের এই দেশ যে আর আগের মতো যে কেউ বাপি বাড়ি যা বললেই মাঠ ছেড়ে চলে আসে না সেটাই বোঝা যায়। আর মনে মনে বেশ গর্ব হয়। 

এই যুদ্ধের কটি দিন ধ্রবর নানা পোস্ট, নানা ব্যাখ্যা পড়ে মনে হয় ও ধীরে ধীরে নিজেকে এত পরিণত করে ফেলেছে আর বোধহয় এখন খবর মিস করলে চিৎকার করে অফিস মাথায় তুলে ফেলবে না এখন। ওর ভয়ে অফিস এর সবাই কম্পমান সেটা আর বোধহয় দেখতে পাবো না কোনোদিন। যে এখন ব্রম্ভস এর মতই অনেকটা স্থিতধী সাংবাদিক হয়ে নিজেকে লক্ষ্য স্থির রেখে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। 

যিনি নিজেকে জেলা থেকে কলকাতা, কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ, হায়দরাবাদ থেকে ভায়া কলকাতা হয়ে মুম্বই,দিল্লী, উড়িষ্যা ঘুরে বেড়ান আপন ছন্দে। আর আজকাল তাঁকে একটি গাড়ী দুর্ঘটনা বা কলকাতার বামেদের মিছিল নিয়ে পরিকল্পনা করতে খাতা পেন নিয়ে অ্যাসাইনমেন্টের টেবিলে গম্ভীর মুখে বসতে হয় না একদম। এখন শুধুই পড়াশোনা করে তার সুন্দর প্রতিফলন করে এই বাংলার সাংবাদিকদের কাছে দিন দিন একটা আইকন হয়ে যাচ্ছেন তিনি। 

আমার বেশ গর্ব হয় এই টোটো চালক হয়েও। একদিন যাঁর সাথে খবর নিয়ে কত হুল্লোড় করেছি যুক্তি আর তর্ক করেছি সেই খবর পাগল মানুষটি আজ নিজেকে ঘষে মেজে বাংলা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়ে যুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ পাগল এক সাংবাদিক করে ফেলেছে যে এখন যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক। সত্যিই অসাধারণ এই খবর পাগল সাংবাদিক। 

যাঁর কথা আমি বার বার লিখি। কারণ এই বোকা বাক্সের মিডিয়ার যুগে যেখানে চিন্তা ভাবনার দৈন্যতা দিন দিন বড়ই প্রকট সেখানে এমন একজনের পড়াশোনা ভাবনা তাঁর সুন্দর সৃজনশীল ব্যাখ্যামূলক প্রতিবেদন যা আমাদের দেশের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা আর দেশপ্রেম অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। আর তাই সেটার জন্য আমার গর্ব হয় ওর জন্য। 

তেল নয়, তেলবাজি দিয়ে কিছু আদায় করার বাসনা নয়, জীবনে কাউকে ধরে কাজ পাবো বা ওপরে ওঠার তাড়না নয় একজন সাধারণ গড়পড়তা মানুষ যিনি ক্ষিদে পেটে চেপে দুপুরের খাওয়া বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হলে খেতেন নিজের টিফিনের পয়সা বাঁচাতে। তিনি আজ সত্যিই একজন সফল সাংবাদিক। যাঁর রক্তে, মেধায়, মননে, মজ্জায় গেঁথে আছে সাংবাদিকতার আদিম নেশা। যে নেশায় বুঁদ হয়ে এই যুদ্ধের বাজারেও কেমন স্বচ্ছন্দে ব্যাট হাতে কোহলি স্টাইলে ব্যাট করে চলেছেন তিনি। আর দূরে বসে এই লালমাটির রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে আমি সেই চার ছয় দেখে মনে মনে খুশী হই। আর বলি দাদা ভাগ্যিস তুমি এই বিশ্ববাংলা ছেড়ে চলে গেছিলে না হলে কি আর এমন ব্রম্ভস্ এর ব্যাখ্যা পড়ার সৌভাগ্য হতো আমাদের এই বাংলার আমার মত অশিক্ষিত লোক এর। ভালো থেকো তুমি দাদা।

এক খবর পাগল সাংবাদিক - অভিজিৎ বসু।
পনেরো মে, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...