রণয় তিওয়ারি। ২৪ ঘণ্টার রণয়। বেশ ভালো রিপোর্টার। রাতের ডিউটি করতো সে প্রথমের দিকে এই কলকাতা শহরে ঘুরে ঘুরে। পরে ধীরে ধীরে রাত থেকে দিনে চলে আসা ওর ডিউটি করতে। খুব সম্ভব বেহালার দিক থেকে রাতে আসতো ডিউটি করতে মনে হয়। প্রেস ক্লাবে এসে জানিয়ে দিত পৌঁছে গেছে সে ধর্মতলায় ক্যামেরা কতদূর আছে। কম কথা বলে একদম চুপ চাপ কাজ করে দিত সে মুখ বুজে। কিছুদিন আগে ওর সাথে এক অফিসে কাজের সূত্রে আলাপ ছিলো আমার অল্প কিছুদিনের জন্য। দেখা হতো কথা হতো কাজের সূত্রে। খবর নিয়ে আলাপ আলোচনা হতো ওর সাথে মাঝে মাঝেই।
সেই সব আজ বছর পাঁচেক হলো একদমই বন্ধ হয়ে গেছে অনেকদিন। একদিন বোধহয় কলকাতা প্রেস ক্লাবে দেখলাম ওকে দুর থেকেই। খুব কঠিন কঠোর সংগ্রাম করে ওর বেঁচে থাকা এই খবরের দুনিয়ায় অনেক কষ্ট আর লড়াই করে ওর টিকে থাকা এই মিডিয়ায়। অনেক কষ্টে একটা জায়গা করে নেওয়া। সেই যে কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলেই ওর ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যাওয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায়। দিন রাত এক করেই ওর শহরের অলিতে গলিতে দৌড়ে বেড়ানো খবরের সন্ধানে। যে খবর নিয়েই ওর জীবন চলে যে। খবরের দুনিয়ায় এইভাবেই হাসিমুখে দৌড়ে বেড়ানো ওর।
খুব বেশী স্মৃতি গল্প কিছুই নেই আজকাল আর আমার মনে। তবুও ওর কথা লিখতে ইচ্ছা হলো আমার। সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় ওর কথা লিখে ফেলতে ইচ্ছা হলো আমার। আসলে এটা একটা রোগ পুরোনো চেনা লোকদের স্মরণ করে তাঁদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করা একটা বড়ো রোগ আমার। এই রোগকে দ্রুত সারাতে হবে। সেই কত দিন যে ওর সাথে সল্টলেক থেকে ধর্মতলা ফিরেছি ওর গাড়ীতে হাওড়া থেকে ট্রেন ধরবো বলে। ওর নম্বরটা ভুলে গেছি আমি। আগে তো খবর হলেই ওকে ফোন করে বলতাম আমি এটা দেখে নে একটু। ও বলতো আচ্ছা ঠিক আছে দেখছি গম্ভীর গলায়।
সেই রণয় এর কথা মনে পড়ে গেলো আজ। মনে হলো এই মিডিয়ার জীবন যাপন এর অধ্যায়ে সেও তো একজন সৈনিক। যে জীবনে দিনরাত পরিশ্রম করে এই জায়গায় উঠে এসেছে আজ। টিভির পর্দায় ওকে দেখে বেশ ভালোই লাগে আমার। সেই ২৪ এর লোগো নিয়ে ওর দৌড়ে যাওয়া আর খবর করা। ভালো থেকো তুমি রণয়। কলকাতা গেলে দেখা হবে নিশ্চয়ই একদিন। শুভ বিজয়া আর শুভ দীপাবলি জানাই। ভূল লিখলে ক্ষমা করে দিও আমায়।
২৪ ঘণ্টার রণয় - অভিজিৎ বসু।
২৪ অক্টোবর দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন