দীঘার কথা বলতে গেলেই আমার যার কথা মনে পড়ে সে হোলো চন্দন বারিক এর নাম। আর সমুদ্রের ছবি তোলার জন্য আমি যাঁর স্মরণাপন্ন হই সে হলো দীঘার চন্দন বারিক। সেই কতদিন ধরে ওর সমুদ্রের ভেজা নোনা বালির রাস্তা ধরে মোটরবাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ওর। সেই প্রেস লেখা মোটরবাইক নিয়ে খবরের সন্ধানে এদিক ওদিক চষে বেড়ানো ওর। চন্দন এর সাথে বহু দিনের আলাপ সেই ২৪ ঘণ্টার সময় থেকেই। সেই কিরণ মান্না, সেই সুজিত ভৌমিক এদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ও কাজের সাংবাদিক ও। কাঁথি আর দীঘার খবর করে।
ছবি তোলার হাত খুব সুন্দর ওর। সেই ওল্ড দীঘার কাছে বাড়ী ওর অমরাবতী পার্কের কাছে মনে হয়। মোবাইল এর মাধ্যমে ছবি তোলার এতো রমরমা সময় চালু হবার আগে স্টুডিওতে সেই ক্লিক করে ক্যামেরা দিয়েই ছবি তুলতো দীঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকরা। সেই কাজ করে বেশ ভালোই দিন চলতো ওর একটা সময়ে। সাথে সাথে খবরের কাজ করে। কিন্তু মুঠোফোনের মাধ্যমে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে গেলো যে চারিদিকে হঠাৎ করেই। বেশ ভাটা পড়লো এই ছবির ব্যবসায়। সেই এন কে বাংলায় ওকে কাজে নিলাম আমি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সব রিপোর্টার এর পরিচিত ছেলে ও।
জেলায় জেলায় এমন কত যে জন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কে জানে। এন কে ছেড়ে দেবার পরে আমার সাথে যোগাযোগ ছিলো ওর। যে কোনও সময় ছবির দরকার হলেই ওর শরণাপন্ন হয়েছি আমি বহুদিন। আর ও হাসিমুখে সেটা সাপ্লাই করেছে ও। আজ ভোর বেলায় ওর কথা মনে পড়ে গেলো আমার। এই বাংলার মাটিতে এই বাংলার মিডিয়ায় এইভাবেই টিকে আছেন সব জেলার খবর করা লোকজন। খবরকে ভালোবেসে কোনও ভাবে লড়াই করে তাদের টিকে থাকা।
কতদিন ওর সাথে কথা বলা হয়নি আর আমার। সেই দীঘার জগন্নাথের মন্দির উদ্বোধন হবার সময়ে ওর কত কাজ বেড়ে গেলো। সেই ওর পিটিসি দেখে অন্য চ্যানেলে বেশ ভালোই লাগতো আমার। আজ ভোর বেলায় ওর দুর্গাপুরে যাওয়ার ছবি দেখে এইসব নানা কথাই মনে পড়ে গেলো আমার। সেই সমূদ্রের শহরে বাস করে, সেই মন্দির এর শহরে বাস করে খবরের দুনিয়ায় টিকে থাকতে কী কঠিন পরিশ্রম আর চেষ্টা ওর। তবুও হাসিমুখে ওর এই লড়াই করে বেঁচে থাকা আর পরিবার নিয়ে ভালো থাকা এটাই বেশ ভালো লাগে আমার। ভালো থাকিস ভাই চন্দন। সমূদ্রের ঝড় ঝাপটা সামলে নিয়ে হাসি মুখে কাজ করে ভালো থাকিস তুই।
দীঘার চন্দন বারিক - অভিজিৎ বসু।
পঁচিশ অক্টোবর দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন