সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভিখারী অন্তর্ধান রহস্য - প্রথম পর্ব

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ সেই বহু পুরোনো আমাদের স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়া এক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র আন্দোলনের কথা। যে আন্দোলন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য রাজনীতিতে শক্ত ভিত তৈরি করে দিয়েছিল এক সময়। কংগ্রেসের সেই ডাকাবুকো যুবনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্য সরকারের সেই আন্দোলন করে। যিনি আজ রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শুধু এই আন্দোলন আর সরকারের বিরোধিতা করেই।   সেই হারিয়ে যাওয়া এক মানুষের কথা। যাকে নিয়ে একসময় আজকের মতই আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য, গোটা বাংলা। সেই ভিখারী পাসওয়ান এর অন্তর্ধান রহস্য। যা বোধহয় আমাদের মন থেকে একদম মুছেই গেছে। হ্যাঁ প্রায় বত্রিশ বছর আগের ঘটনা। যা আজও অধরা রয়ে গেছে এতদিন পরেও। যদিও সেদিন তৎকালীন রাজ্যের বাম সরকার, মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বিশেষ আমল দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই তীব্র আন্দোলনকে। যা আজ একভাবেই ঘটছে গোটা রাজ্য জুড়ে।   যা তিনি বারবার তাঁর নিজের সেই রাজ্য শাসনের পঁচিশ বছরের সময়ে বাম আমলে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে সরকারের বিরোধিতা করা হলো বিরোধীদের একমাত্র কাজ। আ...

ছাতা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ তো শুধুই আমার ছোট্ট বুটার কথা। না, আজ ওর জন্মদিন নয় কিন্তু। যে যার জন্য ওর কথা আমি বলছি আপনাদের। ওর গল্প বলছি আপনাদের আজ শুধু মাত্র অন্য একটা বিশেষ কারণে। হ্যাঁ জানি কেউ কেউ আবার বলেন ওই পোড়ো বাড়ির ভেঙে পরা শ্যাওলা জমা দেওয়ালে কি রং করলে আর বাড়ির হাল ফেরে। জানি ফেরে না। তবু যে রং করতে সাধ হয় আমার, সাধ্য না হলেও।  কি হবে এসব মৃত দেওয়ালে রং করে। লেখার আঁচড় কেটে। লাভ কি হবে। যারা শুধু ওই শুধু মাত্র নিজের জন্য ওই ফেসবুকের না বলে ফেইকবুকের দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে,বসে, শুয়ে সারাদিন আড়মোড়া ভাঙে তাদের তো কোনো দাম নেই এই সমাজে। আর কাজও নেই কোনও। তাই তো এই দেওয়ালে লিখে আর কি হবে। চরিত্র চিত্রন করেই বা কি হবে। শুধুই ওই দেওয়ালে বমি করা আর কি।  অন্য আর পাঁচটা দিনের মতই আজ ভোরবেলায় বৃষ্টির ছোঁয়া নিয়ে ঘুম ভেঙে গেল আমার সাত সকালেই। রাত জাগা পাখির মতই ঘুম আসেনা কিছুতেই আমার। হয়তো বয়স হচ্ছে বলেই। তার মাঝেই বুটা এসে আমার ঘুম জড়ানো চোখে খবর দিলো সে, যে বিদেশী  ভাষা নিয়ে পড়ছে সেই ভাষার একটা পরীক্ষায় পাশ...

আমাদের সবার ডিডি

সাদা জীবনের কালো কথা যে কেউ পড়ে। কেউ দেখে সেটা আমি জানি না। কিন্তু আমার এই জীবনের নানা ঘটনা, নানা চরিত্রকে দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা একটা বদভ্যাস বলতে পারেন। সেই আগের আমলে জমিদার বা রাজবাড়ীর দেওয়ালে তৈলচিত্র ঝুলিয়ে রাখার মত। যদি কেউ মনে করে দেখতে পারে এক ঝলক সেই চিত্র। এই আর কি, এর বেশি কিছুই নয়।  আমার এই এলোমেলো আর এলেবেলে জীবনে এই সব অক্ষরের আঁকিবুঁকি যে একদম ফালতু যার কোনো দাম নেই হয়তো। তবে সেই লেখার জন্য রাত দুপুরে কোনো ফরমায়েশ পেলে বেশ ভালই লাগে আর কি। সেই লেখার জন্য রাত দুপুরে জেগে কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ কল করে বলেন আমি চাই এমন লেখা আমায় নিয়েও হোক সেটা ভালো আর খারাপ দুই। তখন মনে হয় আমার যে তাহলে সাদা জীবনের কালো কথার এই আঁকিবুঁকি তো সত্যিই বেশ মজার।  ফেলে আসা অতীত দিনের নানা সুখ আর দুঃখের স্মৃতি জড়িয়ে থাকাকে কি আর এই পোড়া জীবনে ভোলা যায় কি বলুন আপনারা। যতই বলি যে স্মৃতি মেদুরতা একটি বিশেষ রোগ আমাদের সবারই। পঞ্চাশ পার করলেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত আমাদের সবার মধ্যে। কিন্তু উপায় কি বাঁচার যে কোনো উপায় নেই আমারও। তাই রাত দুপুরে কলকাতার এক মমতা বন্দ্যো...

রবিবারের দুপুরে তাল তোলা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার এই দৌড়হীন জীবনে আর বৃষ্টিভেজা দুপুরে তাল তুলে সময় কাটানোর কথা। কাল জন্মাষ্টমী। প্রভু শ্রী কৃষ্ণের জন্ম দিন। বাজারে তাল এর ডিমান্ড বেশ চড়া। আসলে প্রভুর ভোগের জন্য যে তাল এখন বেশ উচ্চদামে বাজারে বিকোচ্ছে। তাল এর গন্ধে আমার মেয়ে নাক সিঁটকে বলে আবার এই তাল ঘরে এনেছে। সত্যিই আর পারা যায় না যে।  কিন্তু এমন একটা দিনক্ষণ আমার জীবনে আসবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি বিশ্বাস করুন আপনারা। রাস্তার দুধারে পাকা তালের গন্ধে মাছি ভন ভন করছে। কিন্তু কেউ সেটা দেখেও দেখছে না। হাতে তুলেও নিচ্ছে না। তার ওপর আবার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিনের আগের দিন। বোলপুর থেকে সাইকেলে করে আজ যখন মা কঙ্কালীতলার মন্দিরে আসছিলাম  হাটে বসবো বলে।রাস্তায় বেশ অনেকেই তাল নিয়ে বসে আছেন দেখলাম। তখন ভাবলাম আজ কি আর রাস্তার পাশে পড়ে থাকবে এই তাল এইভাবে এদিক ওদিক। প্রভুর ভক্তরা সব সাফ করে দেবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু না সাফ করার পরেও যে রাস্তার পাশে এইভাবেই তারা পড়ে আছেন মনে হয় আমার জন্যে। তাই কোনো কিছু পরোয়া না করে ব্যাগে নিলাম ওদের পরম যত্নে ঠিক যেভাবে বৃষ্টি ভেজা রাতে মাথায...

আকাশবাণীর মনোজ কর

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ শুধু আকাশবাণীর সেই মনোজদার কথা। হ্যাঁ সেই মনোজ কর এর কথা। কলকাতা অল ইন্ডিয়া রেডিওর বিজ্ঞান বিভাগের মনোজ কর। দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছরের সাংবাদিক জীবনে নানা মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার  নানা রঙের, নানা জীবনের সান্নিধ্যে আসতে পেরেছি আমি। যাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আমার এই জীবনে জড়িয়ে আছেন তাদের আর ভোলা যায়না কিছুতেই।  সেই পুরোনো স্মৃতি, সম্পর্ক, যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেলেও মনে হয় এমন একজন মানুষ যে শুধু সারা জীবন দৌড়ে কাটিয়ে দিলো একটা কাজকে গভীর ভাবে ভালোবেসে। সরকারি গণ মাধ্যমের এমন একজন অস্থায়ী কর্মী হয়েও কেমন করে যে এই ভাবে অস্থায়ী একটা জীবন কাটিয়ে দিলো কে জানে। কি করে যে কোনো দিকে না তাকিয়ে শুধু বিজ্ঞানের ইতিহাস তার নানা জানা অজানার মাঝে নিজের গোটা জীবনটা ডুবিয়ে দিলো কে জানে।  কিছু কিছু মানুষ বোধহয় এমনই হয়। যারা শুধু কাজ ভালোবাসে। মুখ বুজে সব কিছু সহ্য করে হাসি মুখে কাজ করে যায়। সব কিছুর সামাল দেয়। দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত না হলেও সব কিছুর মাঝে তাঁকেই লাগে না হলে যে অচল হয়ে যায় গোটা দপ্তর...