বাংলা মিডিয়ার নানাজনের সাথে দীর্ঘ সময়ে আমার কাজে অকাজে নানা সাংবাদিকের সাথে আলাপ থাকলেও। এই সাংবাদিকের সাথে ঠিক যেনো রোদ আর বৃষ্টির টক ঝাল মিষ্টি সম্পর্ক। এই হাসিঠাট্টা মশকরা করা দুজনের, আবার এই সিরিয়াস হয়ে গিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে যাওয়া একে অপরের সাথে। এই নানা বিষয়ে গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য তাঁর সাথে আলোচনা হওয়া দুই সহজ পুরোনো বন্ধুর মতো। আবার যেনো খুব ক্ষুদ্র কোনো কারনেই মতান্তর আর মনান্তর হয়ে যাওয়া কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া। এই ব্লগ লেখার কথা আমায় বহুদিন আগেই ও বলেছিল একদিন। আজ সেই ব্লগ লেখার পাগলামো কিছুটা তো তাঁর অনুপ্রেরণায় এটা অস্বীকার করা যায় না আজও কিন্তু । যেটা নিয়ে তাঁর সাথে আমার কথাও হয়েছে বহুবার।
বাংলা মিডিয়ার এই শিক্ষিত পড়াশোনা করে সাংবাদিক হতে আসা, এই রিপোর্টার ইন্টারভিউ বোর্ডে পরীক্ষকের জ্ঞান অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হতেও পিছপা হয় না কিছুতেই। কোনও পরোয়া না করে আর ভয় না পেয়ে। সে হায়দরাবাদ এর বিখ্যাত বিরিয়ানী এলাকার বস হোক, কিম্বা কাগজের দাপুটে দাড়িওলা বস হোক। বা যে কেউ বস হোক। আসলে এটাই ওর চিরকালের নেচার। যার থেকে আজও বোধহয় বের হতে পারেনি ও কিছুতেই। আমাদের এলাকার শ্রীরামপুরের জামাই শ্বশুরবাড়ি ওর বেল্টিংক বাজারে শুনেছিলাম একবার। তাই সেই মেঘ বৃষ্টির সম্পর্ক আমাদের বেশিদিন স্থায়ী হয় না দুজনের, ঝলমলে রোদ ওঠে মেঘ কেটে গেলেই।
আজ সাদা জীবনের কালো কথায় সেই আদ্যিকালের ইটিভির বসদের বাগে না আসা দাপুটে হিরোর মত দেখতে বুদ্ধিদীপ্ত বুকফুলিয়ে অফিসে ঘুরে বেড়ানো সেই সাংবাদিক। কখনও হাসি আবার কখনো গম্ভীর, সিরিয়াস সাংবাদিক ঝিলম করঞ্জয়। সেই ইটিভি বাংলা ছেড়ে কাগজে গিয়ে নতুন করে ঘর সংসার করা সেই হেলথ বিটের বিখ্যাত সাংবাদিক হিসেবে কলকাতা শহরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা নিজের কলেজের জোরে। কোনও দাদা বা দিদিকে ধরে বা তেল দিয়ে প্রতিষ্ঠা নয়। কিম্বা হাসপাতালে ভর্তি করেও নয়। বিখ্যাত ডাক্তারের চেম্বারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে দিয়েও নয়।
এটাই আমাদের সবার সেরা সেই রিপোর্টার ঝিলম। যে নিজের চারপাশে একটা বলয় তৈরি করেই ঘুরে বেড়ায় এই শহরে খবরের সন্ধানে হাসিমুখে। কারণ তাঁর খবরে কোনও রিজয়েন্ডার লেটার নেই। আর তাঁর সেই বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়াও নেই অন্য কারুর। একদম তাঁর ঘুর্ণি পিচে টিকে থাকলে ব্যাট করো। আর না হলে সোজা বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যাও মাথা নিচু করে। কতবার যে এমন হয়েছে আমার। সে সব আর আজ বলে কোনও লাভ নেই কি বলেন।
ওকে দেখলেই আমার কেমন মনে পড়ে কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ চলে যাওয়া আমাদের সেই ইটিভির সবার সেই স্যার কাম দাদার কথা। কিন্তু ওর ঝকঝকে সুন্দর বুদ্ধিদ্বীপ্ত চেহারা দেখে মনে হয় সত্যিই অসাধারণ এই পারফরফরমেন্স তো এখনও করে দেখাচ্ছে ও পথে ঘাটে নানা খবর করে বাংলার একনম্বর টিভির পর্দায়। যে দেখো আমি লড়ছি মাম্মি। যা আমায় বারবার নানা কথায় ও নানা সময়ে বলেছে।
ঝিলাম কথায় কথায় বহুবার বলেছে ও হলো বাবু শ্রেণীর প্রতিনিধি নয় একদমই। যেটা আমি পড়ি বাবু শ্রেণীতে ওর অফিসের অন্য সব কর্তারা পড়েন এই বাবু শ্রেণীতে। কত যে এমন কথা হয়েছে ওর সাথে আজ মনে পড়ে যায় আমার সেইসব কথা। সত্যিই সেই নানা খবরের টানেই তো ওর ছুটে চলা। আজও এতদিন পরেও। ওর অন্তর্ভেদী দৃষ্টির সামনে দাঁড়াতে বেশ ভয় করে আমারও। তবু সেই অজানা অচেনা দূরে সরে থাকা এই রিপোর্টার এর কথা লিখে ফেললাম আমি। আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায়।
ভালো থেকো তুমি ঝিলম। ভুল লিখলে ক্ষমা করে দিও আমায়। আর এইভাবেই নিজের খবরের জোরে সবাইকে টেক্কা দিয়ে যাও তুমি হাসিমুখে। আমার এটা দেখতে বেশ ভালই লাগে। চেনা মানুষের বুক ফুলিয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করা আর কঠিন পিচে ছয় মারা। এটা দেখতে বেশ ভালই লাগে। ইচ্ছা হয় ফোন করার সেইসব দেখে। কতদিন যে আড্ডা হয়নি। কথা হয়নি আমাদের। দেখাও হয়নি অনেকদিন। আবার জানাই তুমি ভালো থেকো।
আমাদের চেনা বিখ্যাত ঝিলম - অভিজিৎ বসু
তেইশ ডিসেম্বর, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন