কিছু কিছু মানুষের কাছে আবদার, অনুনয় করে যে কোনো কিছুই চাওয়া যায়। বিশেষ করে ছবি আর খবর। আর সেটা রাতের ছবি হলে তো কথাই নেই। কলকাতা শহরের যে কোনো রাতের ঘটনার ছবি চাই আপনার কোনও চিন্তা নেই ওকে ফোন করলেই হবে। চিন্তা নেই সঙ্গে সঙ্গে মুসকিল আসান করে দেবে ও এক মিনিটেই। হাসিমুখে ও ছবি জোগাড় করে দিয়ে দেবে। আর বলবে দাদা দেখে নাও।
বাংলা মিডিয়ার কলকাতার একমাত্র নাইট ওয়াচ ম্যান রিপোর্টার। যে শুধু রাতের ডিউটি করেই কাটিয়ে দিত বহুদিন ধরেই হাসি মুখে। হ্যাঁ, সেই আমাদের সবার চেনা ভালো ছেলে সুস্মিত দাস মনে হয়। সেই এন ই বাংলার সুস্মিত। সেই সি এন নিউজ এর নাইট রিপোর্টার সুস্মিত। সেই বিরাটির অফিসে গেটের সামনে দেখা হওয়া সুস্মিত। সেই হাসিমুখে ওর দাদা ডাক শুনতে বেশ ভালই লাগে আমার। আর সেই যত কাজ হোক ওর কাটোয়া লোকাল ধরা চাই কিন্তু না হলে যে ঘরে ফেরা হবে না কিছুতেই।
এমন কিছু কিছু সাংবাদিক এর সাথে আলাপ পরিচয় হয়ে বেশ মজা লাগে। সেই জেলার আলাপ থেকে কলকাতার রাস্তায় দেখা হওয়া বেশ ভালই লাগে আমার। সুস্মিত আমায় ভুলে যায়নি এতদিনেও। সেই রাতের ডিউটি থেকে ওকে দিনের ডিউটি করতে নিয়ে আসা। একটা কাজের সুযোগ করে দেওয়া। দিনের বেলায় নানা জায়গায় নানা খবরে ওর হাসি মুখে দৌড়ে বেড়ানো। যে কোনো খবরে ওকে পাঠিয়ে দেওয়া। কোনোদিন কোনো জায়গায় যেতে না বলে নি ও কোনও সময়।
বহুজনকে কাজের সুযোগ দিলেও তারা এই টোটো চালককে ভুলে গেলেও সুস্মিত কিন্তু ভুলে যায়নি আজও। এটা হয়তো নিজের জেলার লোক বলে ও মনে রাখে আমায়। অভিজিৎ দা কি খবর বলে কথা বলে হেসে। যে কোনো জিনিস চাইলে ছবি বা খবর হাসিমুখে সেটা দিতে দ্বিধা করেনা একদম কোনোদিন। ভাবে না যে কি আর লাভ এই টোটো চালকের সাথে সম্পর্ক রেখে। যেমন এখন সবাই সেটাই করে। আসলে এই একে অপরের সাথে সম্পর্ক তো টিকে থাকে দেওয়া আর নেওয়ার মাধ্যমে। অনাবিল সুখের আনন্দের মিষ্টি মধুর সম্পর্ক আর কোথায় টিকে থাকে স্বার্থহীন ভাবে। আজকাল এমন দেখা পাওয়া ভার।
সুস্মিত হয়তো খুব উঁচু মানের রিপোর্টার নয়। সুস্মিত হয়তো ঝাঁ চকচকে সুন্দর দেখতে রিপোর্টার নয়। তবু ওর ভেতরে একটা সুন্দর মন আছে যেটা কলকাতায় গিয়েও এখনও বদলে যায়নি। সেই ভীড় কাটোয়া লোকাল এর চাপে, কলকাতার ভীড়ে সুস্মিত এখনও নিজেকে বদলে ফেলে নি আজও। এটাই বেশ ভালো লাগে আমার। নিজেদের এই ভীড়ের মাঝে বদলে না ফেলা মানুষদের বেশ ভালই লাগে কিন্তু।
ভালো থাকিস ভাই সুস্মিত। এমন মজা করে হাসি মুখে বিন্দাস জীবন নিয়ে ঘুরে ঘুরে হাসিমুখে খবর করে কাটিয়ে দিস তুই। আর যে কোনও দরকার হলে এমন করে সবাইকে হেল্প করিস। তাহলেই ভালো লাগবে আমাদের। অন্য সবার মত তুই অন্তত বদলে যাসনা ভাই। এমন গান করে, যেখানে সেখানে হাসিমুখে ঘুরে বেরিয়ে খবর করে কাটিয়ে দে এই সাংবাদিক এর জীবন। যে জীবনে কোনও প্রত্যাশা নেই, যে জীবনে কোনও জটিলতা নেই, যে জীবনে কোনও সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে খাতা কলমের হিসেব নিকেশ নেই, শুধুই অনাবিল আনন্দের হাসি মাখা মুখে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা আছে। ভালো থাকিস ভাই তুই।
আমাদের সেই সুস্মিত - অভিজিৎ বসু।
বারো জানুয়ারী, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন