সেই কলকাতা টিভির সুদীপ্তা। সেই এন ই বাংলার সুদীপ্তা। সেই আনন্দবাজার অন লাইনের সুদীপ্তা। সেই কখনও বুম হাতে ঘুরে বেড়ানো আবার কখনও সাইকেল চালিয়ে হাসিমুখে অফিস চলে আসা সুদীপ্তা। একদম সব সময় প্রাণবন্ত একটি উচ্ছল মেয়ে। কবে থেকে ও এই বাংলা সংবাদ মাধ্যমে কাজ করছে ও। কতদিন ধরে এদিক ওদিক ঘুরে কাজ করছে ও। বেশ ডানপিটে আর দাপুটে সাংবাদিক বললে একটু কম বলা হয় আর কি।
রাস্তায় খবরের ভীড়ে অনেক জায়গায় ওকে দেখেছি আমি। কোনোও গুমোর নেই, নিজেকে হাইফাই ভাবে না ও কোনওদিন। যে কোনো সময় কারুর সাথে মিশে যেতে কোনোও অসুবিধা হয় না ওর কোনোদিন। দৌড়ে বেরিয়ে খবরের সন্ধানে এদিক ওদিক ছুটে বেড়াতে ওর সমস্যা নেই কোনোও। আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই সুদীপ্তার কথা।
যে সুদীপ্তা কে আমি কর্মসূত্রে পেলাম সেই কলকাতা টিভির অফিসে। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে। দেখেই চিনতে পারলো ও আমায়। একগাল হেসে কথা বললো অভিজিৎ দা ভালো আছো বলে। রাস্তায় কাজ করা আমি তখন ঘরে বসে গেছি সেই অ্যাসাইনমেন্টের টেবিলে। সেই কলকাতা টিভির অফিসে কিছু রিপোর্টার, ডেস্ক এর লোকজন, অ্যাসাইনমেন্টের টেবিলে কয়েকজন কর্মী, সেখানেই কাজের চাপ বেশি। আর তার মাঝে থ্রি টায়ার সিস্টেমের মাথায় বসে থাকা কিছু বাবু শ্রেনীর লোকজন। যেটা সব মিডিয়া অফিসেই থাকেন তারা একদম নিয়ম করে।
সেখানেই কেমন ঘুরে ঘুরে ওর খবর করা। সেই চিফ রিপোর্টার আর নানা বাবুদের মনের মত করে সাবধানে পা ফেলে চলা। যাতে অল্পতে পা পিছলে না যায়। কাজ না করে সব ভুল ধরার আর সমালোচনার লোকের অভাব নেই যে একদম এই মিডিয়ার অফিসে। সেই বাড়িতে রান্না করে মেয়ের স্কুল সামলে সাইকেল চালিয়ে উত্তর কলকাতা থেকে মধ্য কলকাতায় অফিস করতে আসা। আর এসে আজ বাড়ীতে কি কি রান্না করেছে হাসিমুখে তার গল্প করা।
সত্যিই এই মিডিয়ার মহান পেশায় টিকে থাকার জন্য কত যে কসরৎ করা এক একজনের তার ঠিক নেই। তবু নানা ঝড় ঝাপটা সামলে নিয়ে এই জীবনেই হাসিমুখে কাজ করে যাওয়া। সেই কল্লোল, সেই চেনা ক্যামেরাম্যান, সেই নানা চেনা সব মুখ। এদের সাথেই একসাথে মিলে মিশে কাজ করা। আর হঠাৎ করে সেই কলকাতা টিভির পর্দা ছেড়ে সাদা বাড়িতে চলে যাওয়া ওর। বলেছিল একদিন আমার স্ট্রাগেল এর কথা বলবো আমি। না, সেটা আর শোনা হয়নি ওর মুখে।
সত্যিই বেশ ভালো লেগেছিল ওর এই মাঠে নেমে ব্যাট তুলে ছয় মারা। আর গ্যালারিতে বসে অন্যদের হাততালি দেওয়া। সত্যিই অসাধারণ ওর এই দৌড়। খবরের বিষয়সমূহ নিয়ে দৌড়। জীবনের দৌড়। নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে হাসি মুখে লড়াই করে এই দৌড়। যে দৌড় একমাত্র সম্বল এই সাংবাদিকদের। সেটাই ও হাসিমুখে করে চলেছে আজও। ভালো থেকো তুমি সুদীপ্তা। বহুদিন দেখা হয়নি তোমার সাথে। কলকাতা গেলে দেখা হবে নিশ্চয়ই। আড্ডা হবে, চা খাওয়া হবে। আর পুরোনো দিনের স্মৃতি চারণ হবে। ভালো থেকো তুমি।
কলকাতা টিভির সুদীপ্তা - অভিজিৎ বসু।
দশ এপ্রিল, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন