রাত ভোর কোকিলের চিল চিৎকার, ধনুকের পণ ভাঙা ছিলার আওয়াজ, কেনো জানিনা আমি রাত হলেই ওরা এমন আকুল হয়, ব্যাকুল হয়, উদগ্রীব হয়।
ওদের চিৎকারে বিছানায় এই পাশ ওই পাশ করি আমি ছটফট করি একা একাই।
ঝি ঝি ডাকা নৈঃশব্দ্য ঘেরা রাতে ছড়িয়ে পড়ে ওদের মন কেমনের ডাক এদিক, ওদিক আর সেদিক।
আমি চুপটি করে শুয়ে শুয়ে ওর ডাক শুনি।
মন কেমনের বিবাগী বাউল মনা সেই আর্ত ডাক।
যে ডাক আমায় রাতের ক্লান্ত আঁধারে ছটফটিয়ে মারে বারবার।
আমি চুপটি করে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকি টিকটিকির মতো এলোমেলো বিছানায়।
দেওয়াল বেয়ে চলা সাদা ধূসর রঙের পৃথিবীতে ওই টিকটিকির গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে চলা।
দূরে শোনা যায় ট্রেনের কর্ণভেদি আওয়াজ, রেললাইনের ধারে দুলুনি ওঠে, রুখু পাথরে কেমন দোলা লাগে আনমনে।
আর তার মাঝে নানা পাখির মিলেমিশের ডাক, কোকিলের কুহু কুহু বিরহী ডাক, ঘুঘুর কাতর ডাক।আমি চুপটি করে শুয়ে থাকি, রাত কেটে ভোর হয়, এলোমেলো আলো ফোটে এদিক ওদিক।
ধীর পায়ে দেওয়ালে মিলিয়ে যায় টিকটিকির দীর্ঘশ্বাস পূব থেকে পশ্চিমে।
আমি অপেক্ষা করি, রাত শেষে ভোর হয়, পাখি ডাকা শেষ হয়, ট্রেন পথের শেষ হয়,শেষ হয় বিরহী রাতের কুহু কুহু ডাক।
বিরহী রাতের ডাক - অভিজিৎ বসু।
চার মে, দু হাজার পঁচিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন