সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সমীর এর গ্যাঁড়াকলে পা দিয়ে আমি


চারিদিকেই নানা ফাঁদ পাতা ভুবনে। আর আমি যে ফাঁদে পা দিয়েছি বা যে গ্যাঁড়াকলে পা দিয়েছি সেটা আমার এই বন্ধু সমীর এর জন্যেই। আসলে কি জানেন তো প্রেমের ফাঁদে পা দিতে বেশ ভালই লাগে এই বুড়ো বয়সেও। সেই ফাঁদের টানেই তো কেমন করে বদলে যায় আমার জীবন, যৌবন, বার্ধক্য সব কিছুই। 


কিন্তু এই ফাঁদ যে অক্ষরের ফাঁদ, এই ফাঁদ যে শব্দের ফাঁদ, জীবনের আর জীবনের ঘেরা টোপে বাস করা নানা মানুষের অকথিত গল্পের ফাঁদ। যে মানুষকে দেখেই জীবন কাটে আমার। যে জীবনকে দেখেই শিক্ষা লাভ হয় আমার। আর যে জীবনের নেশায় ঘুরে বেড়াই আমি এদিক, সেদিক, ওদিক শহরের আলোকময় রাস্তায়, কখনও গ্রামের মেঠো পথে, কখনও গ্রামের ভেজা আলপথ ধরে, মোরাম রাস্তা ধরে , সবুজ সর্ষে ক্ষেতের গন্ধকে বুকে ভরে নিয়ে, জল ফড়িং এর ডানার ঝাপটা খেতে খেতে হেঁটে বেড়াই আমি একা, একদম একা। 

সত্যিই কেনো যে এই মানুষ দেখার ফাঁদে আটকা পড়ে পা দিলাম আমি এই গ্যাঁড়াকলে কে জানে। কেনো যে সেই কবেকার লেখা দুটো ছোট্ট লাইনের প্রেমে পড়ে গেলাম আমি কে জানে। অভিজিৎ জীবনকে দেখো, জীবনই হলো সবথেকে বড় শিক্ষক। সত্যিই সেই থেকেই কেমন জীবনকে দেখার নেশায় বুঁদ হয়ে গেলাম আমি। যে জীবন শহুরে ঝাঁ ঝাঁ চকচকে উচ্চবিত্তের জীবন। যে জীবন রাজনীতির ময়দানে ঘুরে বেড়ানো হাসিমুখের সুচারু আর সুনিপুণ অর্থময় আর বিত্তময় জীবন। যে জীবন সাধারণ যুবকের ক্যামেরা কাঁধে লড়াই এর জীবন। যে জীবন কলম হাতে খবরের নেশায় ঘুরে বেড়ানোর জীবন। যে জীবন স্ট্রাইকার মংলার খেলার মাঠে গোল করার আর স্বপ্ন দেখার জীবন। যে জীবন এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস সমীর এর জীবন, আর আমার এই পাগলামোর জীবন সব যে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে কবেই। 

সেই জীবনের কথাই লিখতে শুরু করলাম আমি। সেই জীবনের স্বাদকে আস্বাদন করতে শুরু করলাম আমি। চারদিকেই শুধু জীবনের কলরব আর জীবনের নানা রং বেরংয়ের আঁকিবুঁকি অক্ষরের জালবোনা। যে জালের ফাঁদে আটকা পড়ে গেলাম আমি এই বুড়ো বয়সে এসে। সত্যিই অসাধারণ এই জীবনের মায়া, জীবনের ভালোবাসা, টান আর মমতা। সেই কথাই তো লিখি আমি নানা সময়ে, নানা ভাবেই,আমার নানা ধরনের লেখায়।

তাহলে সেই লেখা নিয়ে এত হৈ চৈ হুল্লোড় কেনো। সেই জীবন দেখে লেখার জন্যে আমায় এত বার বার বলা কেনো। এই তেল দেওয়া লেখা, এই কিছু প্রাপ্তির আশায় লেখা, জীবনকে খুঁজে বেড়ানোর লেখা বন্ধ করার আহ্বান কেনো। কে জানে যাঁরা বলেন তাঁরা হয়তো নিশ্চয়ই আমার ভালোর জন্যেই বলেন। আমায় ভালোবেসেই বলেন। কিন্তু আমি তো আর এই আমার পাগলামোর জীবনে জানি আর ভালো নেই কিছুই। যে ভালো নিয়ে আমি বাঁচতে পারি। যে ভালো নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখতে পারি। যে ভালো নিয়ে আমি অন্ধকার পথ থেকে সরে এসে আলোর পথে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারি। 

তবে এতকিছুর পরেও যে কিছু ভালো থেকে যায়। এতো কিছুর পরেও যে কিছু মানুষের কথা থেকে যায়। যে আমায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলে আপনি সেই অভিজিৎ বসু। যার সাদা জীবনের কালো কথা আমি রোজ পড়ি। কোনো লেখাই বাদ যায় না আমার। আপনার দীর্ঘ সাংবাদিক জীবনের নানা কথা, নানা গল্প যা পড়ে আমি সমৃদ্ধ হই। আপনি লিখে যান দাদা। যে নাম না জানা হারিয়ে যাওয়া সেই ফ্যাসিলিটির অনুপদার লেখা পড়ে সেই সুদূর ইংল্যান্ড থেকে দেবযানী আমায় বলে অভিজিৎ দা অনুপদার যোগাযোগের নম্বর থাকলে দাও তুমি। কতদিন পর যে অনুপদাকে দেখলাম কি ভালোই না লাগলো।

সেই লেখা পড়ে ডানকুনির ফুটবল মাঠের পাশে বাস করা কৌশিক ফোনে বলে দাদা আমি তোমার এই লেখার সবটা পড়তে পারিনি। কারণ আমার চোখ ঝাপসা হয়ে গেছে। আর সেই লেখা পড়ে স্টুডিওতে ডিউটি করতে করতে পুষ্প জানায় দাদা মেয়েটা আমার পড়াশোনা করছে ভালই তোমাদের সবার আশীর্বাদে। কোনও কাজের খবর পেলে তোমায় দেবো আমি ঠিক। আর সেই লেখা পড়ে আমার সেই স্বপ্নে দেখা বিদেশের রাজকন্যা বলে তুই বন্ধ কর এমন লেখা কি দরকার এই প্রোফাইল রাইটার হয়ে বেঁচে থাকার কিছুই কি পাবি তুই।

 এই সবের মাঝেই আমি দ্রুত এই শীতের সকালে, নিশুতি রাতের অন্ধকারে, শীতের হিমমাখা সন্ধ্যায় সোনাঝুরির পথে, খোয়াই এর বাঁকে, কোপাই এর শুকনো খটখটে নদীতে চাঁদের নরম আলোর স্পর্শ গায়ে মেখে বেঁচে থাকি। যে বেঁচে থাকার মাঝে হাসি মুখে বেঁচে থাকে এই সব নানা হারিয়ে যাওয়া জীবন, সেই জীবনের গল্প, সেই জীবনের মানুষগুলো। আমার জীবনের আশেপাশে আঁকাবাঁকা অক্ষরে আঁকিবুঁকি হয়ে। যাদেরকে একদিন সত্যিই আমি বড়োই ভালো বাসতাম। যাঁদের সাথে একসময় দৌড়ে বেড়ানোর খেলা খেলতাম। আর সবাই মিলেমিশে হাসিমুখে আয়েশ করে জীবন কাটাতাম। 

সত্যিই অসাধারণ এই জীবন। অসাধারন এই মায়াময় কুয়াশা মাখা জীবনের ভালবাসা। যে ভালবাসা নিয়ে, যে মায়া নিয়ে, যে অজানা অচেনা নানা মানুষের সাহায্য নিয়ে আমি লিখে যাই আমার জীবন দেখার নানা গল্প। যে গল্প আজ এই একমাসে পড়ে ফেলেছেন প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ। আমার সেই ভালোবাসার মানুষ। আমার সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষ। আমার সেই বিখ্যাত থেকে মাটির মানুষ। যে মানুষকে দেখার নেশায় আমি বুঁদ হয়ে আছি এই বুড়ো বয়সেও। জানিনা আমি সেই নেশা কাটিয়ে বেরোতে পারবো কি না। শুধু এটা জানি মানুষের জীবনে মানুষ যে বড়ো সম্পদ।

সমীর এর গ্যাঁড়াকলে পা দিয়ে আমি - অভিজিৎ বসু।
দশ জানুয়ারী, দু হাজার চব্বিশ।
ছবি নিজের মোবাইল ফোনে তোলা।

মন্তব্যসমূহ

  1. অভিজিৎ - এর লেখার একটা আলাদা চলন আছে যা অন্যদের থেকে আলাদা। কেউ কেউ ব্যাপারটা ঠিকঠাক নয় মনে করলেও অনেকেই এই ধারাটা পছন্দ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার এই সময়ে এভাবে নিজের কথা, আশপাশের ঘিরে থাকা মানুষের কথা, যে ঘটনার মধ্যে দিয়ে হাঁটছি তার কথাটা স্বাভাবিক ছন্দে লিখে ফেলাটা কিন্তু সহজ কাজ নয়। মেকআপ হীন এমন লেখায় অভিজিৎ সফল,তাই ওর ফেসবুক,ব্লগের রিচ বাড়ছে। লেখনীর গুনেই তা আপন হয়ে উঠছে পাঠকদের মধ্যে।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আনন্দবাজারের শ্যামল দা

সেই সাদা বাড়ীর অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকের মধ্যে একজন শুধু জেলখানার খবর লিখেই যিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন গোটা সাংবাদিক মহলে, বাংলা সংবাদ পত্রের জগতে। সেই জেল রিপোর্টার বলেই অভিহিত হতেন তিনি মহাকরণের বারান্দায়, অলিন্দে আর রাইটার্সের কাঠের সিঁড়িতে হাসিমুখে। যে কোনোও মন্ত্রীর ঘরে হাসিমুখে যাঁর প্রবেশ ছিল অবারিত দ্বার। যিনি প্রথম জীবনে আনন্দবাজার পত্রিকায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলার রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। পরে জেলা থেকে সোজা কলকাতায় প্রবেশ তাঁর।  সেই একদম ফিটফাট সুন্দর, সুদর্শন,সুপুরুষ, বিয়ে না করেও দিব্যি হাসি মুখে মাকে নিয়ে জীবন কাটিয়ে দিলেন ভাইপো আর সেই বর্ধমানের বড়শুল এর একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের কাছে। আর শনিবার হলেই তাঁর সবাইকে থ্যাংক ইউ বলে কলকাতার সেই বিখ্যাত মেস এর জীবন ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়ী চলে যাওয়া তাঁর হাসি মুখে। বলতেন সবাইকে চলো সবাই মিলে গ্রামের বাড়িতে পুকুরের মাছ ধরে খাওয়া হবে বেশ আনন্দ হবে। আমার নিজের গ্রামের বাড়ীতে গেলে কোনোও অসুবিধা হবে না একদম।  আর নিজের শরীর ফিট রাখতে এই বয়সেও কেমন করে যে দুশো কপালভাতি করতেন তিনি কে জানে। একদম সবার যখ...

জামালপুরের প্রদীপ দা

আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় বর্ধমানের জামালপুরের সেই দাপুটে ঠোঁট কাটা সাংবাদিক প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় এর কথা। সেই বিখ্যাত সুভাষ তালুকদার এর কাগজ সংবাদে মাত্র এক টাকার কাগজে কাজ করা সংবাদ পত্রিকার দাপুটে সাংবাদিক সেই প্রদীপ দা। সেই মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বাঁশের ব্যারিকেডের এপারে দূরে দাঁড়িয়েও যে খবর করা যায় সেটা বড়ো মিডিয়ার সাংবাদিকদের হাসি মুখে দেখিয়ে দিয়ে, আর তাদের খবরের ময়দানে গোল দিয়ে শুধু খবরকে ভালোবেসে ছোটো কাগজে কাজ করে চলা সর্বদা হাসি মুখের সেই আমাদের প্রদীপ চ্যাটার্জী দা।  কোথাও কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে যাওয়া আর এক দৌড়ে বেরিয়ে পড়া ঝোলা কাঁধে সেই খবরের খোঁজে সেই জামালপুরের প্রত্যন্ত গ্রামের সেই প্রদীপ দা। সেই বিখ্যাত পন্ডিত রবিশঙ্কর আর উদয়শঙ্কর এর আপন মাসতুত ভাই এর ছেলে সেই প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় দাদা। সেই বামদের আমলে জামালপুরের এলাকায় দাপিয়ে খবর করে ছুটে বেড়ানো সেই প্রদীপ দা। সেই তৃণমূল আমলেও একভাবেই ছুটে বেরিয়ে কাজ করা আমাদের সদা ব্যস্ত প্রদীপ দা।  সেই বাবার অসুস্থতার কারনে বড়ো সংবাদ মাধ্যমে কাজ না করেও...

আমার স্যার কাজীদা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ আমার স্যার এর কথা। যার লেখা আজ হঠাৎ চোখে পড়লো একটি কাগজে। আর স্যার এর নামটা দেখেই মনে পড়ে গেলো নানান কথা। হ্যাঁ, সেই কাজী গোলাম গাউস সিদ্দিকী। যাঁর সাথে আমার আলাপ আর দেখা হয়েছিল সেই অজিতদার ফ্রিল্যান্স ছকু খানসামা লেনের ফ্রীল্যান্স প্রেস ক্লাবের অফিসে খুব সম্ভবত। হাসিখুশি বেশ অজাতশত্রু এই মানুষটিকে দেখেই আমার মনে হয়েছিল যে রিপোর্টারদের প্রভূত ক্ষমতা থাকে বোধহয়। তাই পকেটে পেন আর সেই ফোনের ছোট্টো নোটবুক দেখেই আমার মনে হয়, যে ক্ষমতার স্বাদ পাবার জন্য সেই সদ্য গ্র্যাজুয়েশন করে আমার কচি মনে সাংবাদিক হবার বাসনা জাগে সেই সময়।  কোনো প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক নয়, কোনো অফিসে মাছি মারা দশটা পাঁচটার লোয়ার ডিভিশন এর কেরানি নয়, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নয়, ল্যাবরেটরিতে টেকনিশিয়ান এর কাজ নয়, এল আই সি বা পোষ্ট অফিস এর এজেন্ট নয়, কোনো মুদি দোকানে হিসেব পত্র লেখার কাজ নয়, স্বাধীন ব্যবসা করা নয়। শুধুই সাংবাদিক হবার স্বাদ।  কাগজে সাদা কালো অক্ষরে নিজের নাম ছাপা হবে, সেই নাম দেখে বুক ফুলে যাবে, পাড়ায় প্রতিবেশীরা সহ স...

কুড়ি থালা দশ টাকা আর রসিক মুলুর জীবন

নাম মুলু হাঁসদা। বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েত এর চর ইচ্ছা রঘুবরপুরের বাসিন্দা মুলু। আজ মুলুর জীবন কথা। গ্রামের নামটা ভারী অদ্ভুত। চর ইচ্ছা রঘুবরপুর। যে গ্রাম অন্য পাঁচটা গ্রামের মতই।সাদামাটা এই গ্রামে দারিদ্র্য, অপুষ্টি আর কর্মহীন জীবনের জলছবি সুস্পষ্ট। আর সেই গ্রামের মহিলারা নিজেদের সংসার রক্ষা করতে গাছের পাতাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে। গাছের পাতা মুলুদের জীবনের জিয়ন কাঠি। যে জিয়ন কাঠিতে তারা ভোর হতেই পেটের টানে চলে যায় জঙ্গলে। খস খস শব্দ করে পায় হেঁটে তারা পাতা তোলে। গাছ থেকে টুপ টাপ করে ঝড়ে পড়া পাতাকে একটা একটা করে নিজের শাড়ির আঁচলে ভরে নেয়। তার পর সব পাতাকে বস্তায় ভরে ঘরে ফেরে।  ঠিক যেভাবে তারা পুকুরে নেমে শামুক গেঁড়ি আর গুগলি তোলে। যে ভাবে তাদের উদর পূর্তি হবে বলে। আর এই পাতাও যে তাদের পেট ভরায়। একটা একটা পাতাকে নিজের সন্তানের মতো আলগোছে ছুঁয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায় মুলু, বলে তোরা না থাকলে কি করতাম কে জানে। মাথার ওপর শাল সেগুনের বিশাল আকারের গাছগুলো চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তারা চুপ করে শোনে মুলুর কথা।  একে অপ...

শুভ মকর সংক্রান্তি

মকর মানেই নতুন জামা কাক ভোরে স্নান, রাত্রি জেগে মিঠে সুরে টুসুমণির গান। মকর মানেই পিঠে - পুলির গন্ধে ম - ম হাওয়া, ডুলুং পাড়ে টুসুর মেলায় দল বেঁধে যাওয়া। মকর মানেই মোরগ লড়াই পাহুড় জেতার সুখ, সন্ধ্যা - রাতে মাংস পিঠের স্বাদে ভরা মুখ। মকর মানেই হাতি - ঘোড়ার পুজো করম তলে, সান্ধ্য হাওয়ায় মন উদাসী দিমির দিমির বোলে। আসলে আজ এই মকর সংক্রান্তির দিন, টুসু মেলার দিন, টুসু গানে নিজেকে মাতিয়ে দেবার দিন। অজয় এর ধারে জয়দেব কেঁদুলির মেলায় ভীড়ের মাঝে নিজেকে হারিয়ে দেবার দিন। অজয় এর জলে ডুব দিয়ে স্নান করে পূণ্য অর্জনের দিন। আর নদীর ধারে মোরগ লড়াই এর দিন। আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর দিন, সুতো লাটাই হাতে আকাশ পানে তাকিয়ে থাকার দিন। কেমন যেনো রাশির একটি স্থান থেকে অন্য রাশিতে স্থান পরিবর্তনের দিন। সূর্যের দেবতাকে সকালে উঠে স্নান সেরে প্রণাম জানিয়ে শক্তি সঞ্চয় এর দিন। সূর্যের উত্তর দিকে চলে যাবার দিন। ধীরে ধীরে শীতকাল চলে যাওয়ার দিন।  এই মকর সংক্রান্তি এর ইতিহাস ও ভারতীয় ঐতিহ্যের গভীর শিকড় রয়েছে। এটি কৃষি চক্র এবং ফসল কাটার মৌসুমের সাথে জড়িত। এই মকর সংক্রান্তি চ...