সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পুলিশ রিপোর্টার রাজীব দত্ত

কতদিন দেখাই হয়নি ওর সাথে। সেই কবেকার পুলিশ বিটের নামজাদা এক বিখ্যাত পুরোনো দিনের সাংবাদিক। সেই খাসখবরের টিভির পর্দায় লেখা রিপোর্টার এর নাম এর জায়গায় রাজীব দত্ত লেখা। সেই বর্ধমানের বাসিন্দা রাজীব দত্ত। সেই নিউজ টাইম এর বিখ্যাত পুরোনো দিনের পুলিশ রিপোর্টার রাজীব দত্ত। সেই কত সব পুরোনো বিখ্যাত লোকদের সাথে কাজ করা সাংবাদিক সেই রাজীব দত্ত। সেই নিউজ টাইম এর পরে ট্রাইব টিভির হয়ে কাজ করা সেই রাজীব দত্ত। সেই মহাকরণে তরুণ মুখোপাধ্যায় আর রাজীব দত্ত জুটি।


একদম সুন্দর দেখতে সুপুরুষ ফিটফাট চেহারা ওর। কলকাতা শহরে রাজপথে ঘুরে বেড়ানো সেই সুন্দর রিপোর্টার রাজীব দত্ত। মহাকরণে ঘুরে বেড়ানো এই ঘর থেকে ওই ঘরে। আর সেই সূত্রেই ওর সাথে আমার আলাপ পরিচয় হয়। পকেট থেকে পেন আর নোটবুক বের করে খবর টুকে নেওয়া তারপর একটু দূরে গিয়ে ফোন ইন দিয়ে চলে এসে আবার চুপ করে বসে থাকা। একদম হৈচৈ হুল্লোড় স্বভাবের রিপোর্টার নয়। পুলিশ রিপোর্টার হয়ে একদম গুঁজে জামা পরে সুন্দর চকচকে জুতো পড়ে ফিটফাট হয়ে ঘুরে বেড়ায় সে এদিক ওদিক এই ঘর আর ওই ঘর না খবরের সন্ধানে।

এইভাবেই তো ভেসে বেড়ানো সাংবাদিকের জীবন। যে জীবনে ওঠা নামা দুই আছে। সেই বিখ্যাত গৌতম কুন্ডুর চ্যানেলে কাজ করা ওর। যিনি এখনও মুক্ত হননি জেল থেকে খুব সম্ভবত ভুবনেশ্বর এর জেলে আছেন তিনি। ভালো অবস্থার উন্নতি করা চ্যানেলে ক্রমেই অবনতি শুরু হয়ে যাওয়া একদিন হঠাৎ করেই। যাক এই সব নিয়েই তো আমাদের এই সাংবাদিকের জীবন। যে জীবনের চারিপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন নানা মানুষজন। সেই ওর সাথে সেক্টর ফাইভ এর চত্বরে দেখা হওয়া আড্ডা দেওয়া দুজন মিলে বসে রাস্তার পাশের চা এর দোকানে। কত দিন যে গল্প করে দিন কেটেছে আমাদের কে জানে। সেই ওর নিউজ টাইম এর শেষের দিকের দিন গুলোও কেমন মনে পড়ে যায়।

কতো দুশ্চিন্তা নিয়ে ঘরে ফেরা কি হবে ভেবে দিন রাত এক করে চিন্তা করা। সত্যিই আজ ওর কিছু সেই ওর ফেসবুকের পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেলো এইসব নানা কথা। সেই ট্রাইব টিভির হোর্ডিং এ ওর ছবি দেখে ভালো লাগা। যাক তাহলে কিছু একটা হবে ভালো কাজ। ওর আর ক্যামেরা পার্সন অপূর্ব মাজির যোগ দেওয়া সেই নতুন টিভিতে। দুজনে খবর করতে বের হওয়া। এইভাবেই তো কেটে গেলো দিন এতগুলো।আমি জানিনা রাজীব দত্ত এখন কোন চ্যানেলে আছে। মাঝে একদিন হঠাৎ করেই ফোন করেছিল আমায়। কিছু কথা হলো অল্প সময়। তবে ওর সেই নানা বিষয়ে কবিতা লেখা বেশ ভালই লাগে কিন্তু। ওর নানা জায়গায় সম্মান পাওয়া দেখে মনটা ভরে যায়। সেই প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ওর বরাবর। আজও একভাবেই জীবন কাটিয়ে দিলো রাজীব দত্ত। প্রতিবাদে মুখর হয়ে। কলকাতার রাস্তায় দেখা হলে ভালো লাগবে আমার। পুরোনো দিনের স্মৃতি আর আড্ডা দেওয়া যাবে। বাড়ীর মত হেলে পড়া নয় ঝুঁকে পড়া নয় একদম সোজা হয়ে জীবন কাটিয়ে দেওয়া। বেশ ভালো ব্যাপার কিন্তু এটা। এইভাবে সোজাসাপ্টা সাংবাদিকের জীবন কাটিয়ে দেওয়া হাসিমুখে। কারুর অনুগ্রহ আর দাক্ষিণ্য না নিয়ে। একদম শিরদাঁড়া সোজা করে।

রাজীব দত্ত - অভিজিৎ বসু।
ঊনত্রিশ জানুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অ্যাঙ্কর মিমির কথা

'আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি কার তাতে কী?' বাহ দারুন সুন্দর এই কথা। স্বপ্ন দেখার কি কোনো সময় হয় নাকি। পঞ্জিকার পাতা উল্টে তিথি নক্ষত্র দেখে কি স্বপ্ন দেখা যায়। যে স্বপ্ন বাঁচার খোরাক জোগায়। যা দেখে এই দৌড় ঝাঁপ করা জীবনে কেমন একটা স্বস্তি মেলে সেই স্বপ্ন সফল হোক বা না হোক। যে কোনোও বয়সে এই স্বপ্ন দেখা যায়। ফেসবুকের পাতায় সেই কথা লেখা দেখে মনে মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করেই এই রাত দুপুরে ভয়ে কম্পমান হয়েই ওকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করা। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই দুর থেকেই অচেনা জগতের সেই খবরের বিখ্যাত সব নানা ধরনের খবর পাঠিকাদের ভীড়ে তাঁকে দুর থেকে দেখা। একদম অন্য এক গ্রহের বাসিন্দা যেনো। সেই কালামের দোকানে হয়তো কোনোও সময় চা খেতে গিয়ে দেখতে পাওয়া। সেই লিফটের কুঠুরিতে একসাথে ওঠা বা নামা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেই। কিন্তু সেই অন্য খবর পড়া অ্যাঙ্কর দের সাথে সহজ সরল ভাবে মিশে যাওয়ার সাহস হয়নি আমার কোনোও দিন তাঁর সাথে। আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই ২৪ ঘণ্টার পোদ্দার কোর্টের অফিসের বিখ্যাত অ্যাঙ্কর মিমির কথা। ...

এলোমেলো , এলেবেলে বিন্দাস জীবন ও জন্মদিন

দেখতে দেখতে বছরের পর বছর গড়িয়ে যায়। আসলে এই অচলাবস্থা আর অকর্মণ্য দিনযাপনের একটা জীবন কাটিয়ে দিতে দিতে বেশ আমি কেমন যেন এডজাস্ট করে নিয়েছি নিজের সাথে নিজেরই এক অদ্ভুত সহাবস্থান। আমার জীবনের সাথে ক্রমেই দ্রুত কমতে থাকে যেনো মৃত্যুর দূরত্ব। দীর্ঘ দিনের জীবনের ঘন্টা ধ্বনিতে কেমন অচেনা সুরের সুর মূর্ছনা বেজে ওঠে ঠিক যেনো ওই গির্জার ঘরে জিঙ্গেল বেল, জিঙ্গেল বেল এর সুরের মতই আচমকা রাত বারোটা বাজলেই এই একত্রিশ মে।  যার তাল, লয় আর ছন্দে আন্দোলিত হয় এই জীবন আর জীবনের নানা জলছবি। যে ছবির কোলাজে ধরা পড়ে হাসি কান্না, সুখ আর দুঃখের নানা অনুভব। যে অনুভূতির জারক রসে আমি জারিত হই প্রতি মুহূর্তে। আর তাই তো বোধহয় সেই ছোটবেলার দিন এর কথা মনে পড়ে গেলেই সেই ঝাপসা হয়ে যাওয়া ধূসর হয়ে যাওয়া সেই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা হয় আমার বড়ো এই আজকের দিনে।  সেই পুরোনো দিনের ভালোবাসার স্পর্শ আর স্মৃতি রোমন্থন করা একটি ছবি। মায়ের নিরাপদ কোলে ঠিক নয় চুপটি করে পাশে বসে আছি আমি একদম ফিট ফাট হয়ে আপন মনে ভদ্র শান্ত ছেলের মতোই যা আমি মোটেও নয়। আজকের সেই এ...

যা দেখি…প্রতিদিন মনে পড়ে কত… স্মৃতির পথ ধরে হাঁটি… লিখি…

ইটিভির অ্যাঙ্কর অঙ্কুর

ভাবা যায় এই ভুবন ভোলানো হাসিমুখের বিখ্যাত অ্যাঙ্করও নকল হতে পারে নাকি কোনোভাবে। হতেই পারে না একদম এটা। কোনোভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না আর বিশ্বাস করাও যায় না। ওর এই পোস্ট দেখে সেটাই মনে হলো আমার সবার প্রথমেই। আসলে এই জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে আসল আর নকলের এই গা ঘেঁষাঘেঁষির ভীড়ে পার্থক্য বোঝাই যে দায়। কে আসল বন্ধু আর কে নকল বন্ধু সেটাই বোঝা মুশকিল। সেটাকে নির্ধারণ করা যে বড়ই দুষ্কর কাজ। সেটাই যে আজকাল আর ঠিক করে ঠাওর করতে পারি না আমি এই বুড়ো বয়সে এসে।  আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমার এই আঁকিবুঁকি ব্লগে তাই সেই যার কোলে চেপে বাসে করে জীবনে প্রথম বার দুরু দুরু বুকে রামোজি ফিল্ম সিটিতে গিয়েছিলাম আমি বেশ ভয়ে আর আতঙ্কে যদি চেয়ারম্যান এর সামনে যেতে হয় আর ইংরাজিতে কথা বলতে হয় এই ভয়ে। সেই ভীড় বাসে বসতে জায়গা না পেয়ে সেই তাঁর কথা। সেই যে সারাদিন অফিস করে হায়দরাবাদ এর বাংলা ডেস্ক থেকে ধ্রুব রাতে ওর বাড়িতে ভাত খাবার জন্য নেমতন্ন করলো আমায় গরম ভাত, ডাল আর আলুভাজা রান্না করলো রূপা ওর শরীর খারাপ নিয়েও সেদিন কত কষ্ট করে। সেই খেতে দেবার সময় ওদের ঘরে খাবা...

বিনোদন রিপোর্টার দেবপ্রিয়

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার। ওর সাথে কোথাও একসাথে কাজ করা হয়নি আমার। ওর খবরের ফিল্ড একদম আলাদা এন্টারটেনমেন্ট। আর আমার শুধুই সাধারণ খবর। কখনও জেলার খবর,আর কলকাতার খবর। রাজনীতির খবর নিয়েই ঘুরে বেড়ানো। তবু কেনো জানিনা ওর শান্তিনিকেতনে আসার খবর শুনেই ওকে সাহস করে আমার নম্বর দিলাম। এমনি কোনোও কারণ ছাড়াই যদি যোগাযোগ হয়। যদি দেখা হয়। কলকাতার গন্ধ আছে। মিডিয়ার একটা বলয় গায়ে জড়িয়ে আছে। আর কি শুধুই যদি দেখা হয়ে যায় এই আশায়।  চমক অপেক্ষা করেছিল আমার জন্য। পরদিন ফোনে যোগাযোগ করলো ও নিজেই। কথা হলো দু চারটে আমাদের। কোথায় থাকো তুমি জিজ্ঞাসা করলো। আর সত্যিই আমি টোটো চালকের কাজ করি কি না যেটা নিয়ে ওর নিজেরও একটা সন্দেহ ছিল মনে মনে সেটা পরিষ্কার করে দিলাম আমি ওকে। কিন্তু যেনো কতদিনের চেনা একজন মানুষ। কত আপন ছন্দে কথা বলা ওর। যেটা আমায় আকর্ষিত করলো বেশ। ওর অনুষ্ঠান যেটা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে সেখানে আমার মতো একজন বাতিল মানূষকে আসতে বললো ও নিমন্ত্রণ জানালো সপরিবারে।  আমি একটু আবেগ প্রবণ মানুষ। আমি চলে গেলাম সেই অনুষ্ঠানে ওর আমন্ত্রণে। যা সচরাচর আমি কো...