সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলা জাগোর রাজাময়

সেই হাতে একসময়ে তাজা খবরের বুম।‌ সেই হাতে কোনোও সময় নিউজ টাইম এর বুম।‌ সেই খবরের ময়দানে ঘুরে বেড়ানো কবে থেকে হাসি মুখে একদম অহংকারহীন হয়ে হাসি মুখে। সেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো কবে থেকে তাঁর সাথেই। তৃণমুল নেতাদের সাথে আলাপ পরিচয় তাঁর কবে থেকেই। মাঠে ময়দানে দৌড়ে বেড়ানো রিপোর্টার জীবন কাটিয়ে এখন একটি চ্যানেলের সর্বময় কর্তা তিনি বেশ বিখ্যাত হয়েছেন তিনি নিজের ক্ষমতায়। 



তাঁকে হাসিমুখে সামাল দিতে হয় গোটা একটা চ্যানেল, ওয়েব পোর্টাল, আর কাগজ। সেই হাসিমুখের চেনা বিখ্যাত সাংবাদিক রাজাময় মুখোপাধ্যায়। সবার প্রিয় রাজাদা। সেই বাংলা জাগো টিভির চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর রাজাময় মুখোপাধ্যায়। যে চ্যানেল একপক্ষ নয়,একদম নিরপেক্ষ একটি চ্যানেল। সেই হাজরা মোড় এর কাছে অফিস। সেই বিখ্যাত সাংবাদিক রাজাময় মুখোপাধ্যায় আজ আমার সাদা জীবনের কালো কথায়। আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় কালো অক্ষরের রেখায়।

একদিন এই হাজরা মোড়ের অফিসেই দেখা হলো তাঁর সাথে আমার। দীর্ঘক্ষণ প্রতীক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অবশেষে অনেক রাতে দেখা হলো সেই দিন। তরুণ দা বলে দিয়েছিলেন ওকে অভিজিৎ যাবে একটু দেখো তুমি। তরুণ দা বহু কেসে এইভাবে সাহায্য করেছেন আমায় যে কোনোও সময় যে কোনোও পরিস্থিতিতেই। আমি গিয়েছিলাম ওর সাথে দেখা করতে। অফিসে না থাকলেও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী বিকাশকে খবর দিয়ে আমায় ওপরে অফিস ঘরে নিয়ে যায় সে। বহুদিন পর দেখা হতেই আমায় বলে আরে অভিজিৎ দা কী খবর কতদিন পর দেখা হলো বলে উচ্ছাস প্রকাশ করে। সবার সামনেই সেই বড়ো পদ এর লোক হয়েও কেমন নিজের আন্তরিকতায় কাছে টেনে নেয়। আমার বেশ ভালোই লাগে ওর এই আতিথেয়তা। যা সবাই মনে রাখে না উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হলে।

সেই কতদিন আগে ওর সাথে কলকাতার পথে নিউজ টাইম এর লোগো হাতে ঘুরতে দেখেছি আমি। সেই কেমন গ্রাম থেকে উঠে আসা একটি সাধারন ছেলে। এদিক ওদিক শহরে জায়গা খুঁজতে দৌড়ে বেড়াচ্ছে এই চ্যানেলে আর ওই চ্যানেলে হাসিমুখে। কি কঠিন সংগ্রাম আর লড়াই করছে তখন সবাই মিলে এক সাথে। সেই লড়াই এর সাক্ষী আমিও। আমিও লড়ছি সেই সময় একটু নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্য। সত্যিই আজ সেই সব কিছুই আজ অতীত। তবু সেই সব দিনগুলো তো আর ভোলা যায় না কিছুতেই। ওর অফিসের এই সরস্বতী পূজোর সময় সেই একটা গ্রুপ ছবি দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার কতদিন পর দেখলাম একসাথে সবাইকে।

সেই ওর অফিসে কাজ করলাম কিছুদিন ওর দৌলতে। বেশ অল্প কিছু দিনের কাজ। সেই দৌড়ে দৌড়ে খবর ধরানো দু তলা আর তিন তলায় সিঁড়ি বেয়ে নেমে হাঁফিয়ে। সেই চেনা মুখ এর অর্পিতা। সেই অচেনা মুখ চয়নিকা আউটপুট এডিটর। যদিও বর্তমানে তিনি অন্য চ্যানেলে কর্মরত। সেই কত জেলার ছেলেরা সব চেনা আমার। বেশ একটা গতিময় জীবন পেলাম আমি। সেই মার্কেটিং এর একজন হুগলী থেকে আসতেন কি নাম যেনো। সেই ক্যামেরার একজন বিখ্যাত চিত্র সাংবাদিক কালো মতন মহাকরণে দেখেছি আমি তাঁকে। সেই ডেস্ক এর অনন্ত দা, সিরাজুল আরও অনেকেই। সেই প্রোডিউসার ইন্দ্র, আর সন্দীপ। সে বর্তমানে রিপাবলিক বাংলা চ্যানেলে কাজ করছে। আর বিখ্যাত সাংবাদিক সেই সুদীপ্ত। যে হাসিমুখে বর্তমানে কাজ করছে সে বুক ফুলিয়ে নদীয়ার শান্তিপুরে।

 সেই চন্দননগর থেকে আসা অঙ্কিতা যে সব কাজ জানতো। আমার মত গবেট নয় আর কি একদমই। সত্যিই সেই সকাল সাড়ে সাতটায় পৌঁছে যাওয়া হাজরা মোড়ের অফিসে সেই হাওড়া থেকে ই ওয়ান ধরে। সেই খাতায় সই করা সবার আগে। খবর শুরু হয়ে যাওয়া।বেশ একটা মজার গতির জীবন পেলাম কিছুদিন এর জন্য ওর দৌলতে। কিন্তু কেনো জানিনা একদিন আমার মনে হলো এই জায়গায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না আর। ছেড়ে দিলাম আমি বারো দিনের পর সেই কাজ কদিনের বেতন নিয়েই। সেই পূজোর সময় আলোক সজ্জা মাখা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কেমন করে যেন ফের অন্ধকার জীবনে পা দিলাম আমি নিজেই। শুধু কিছু কথা শুনেই। 

 কিছুদিন আগেই সাইকেল করে কঙ্কালীতলা থেকে ফেরার পথে দেখা হলো রাহুল এর সাথে বোলপুরে গাড়ীতে বসে আছে সে। ওদের জেলার বিখ্যাত রিপোর্টার সৌতিক চক্রবর্তী ছিল দেখলাম। যে আগে কত ফোন করতো আমায় একসময় আজকাল। মিডিয়াতে নেই বলে কেউ আর যোগাযোগ করতে চায়না আমার সাথে এখন। সবাই ভাবে কি দরকার আর বাতিল লোকের সাথে কথা বলার। এই রাতের বেলায় হঠাৎ করেই আমার সেই বাংলা জাগোর কথা মনে পড়ে গেলো আজ এই গভীর রাতে। একদিন হঠাৎ করেই ওর ফোন পেয়ে অবাক হলাম আমি। তখন আমি এনকে বাংলার গৌহাটির চ্যানেলে লোক নিয়োগ করছি আমি। একে ওকে ফোন করছি। যদি কেউ গৌহাটি যায় লোক খুঁজে বেড়াচ্ছি। সেই সময় পুরোনো সম্পর্কের জোরেই কথা হলো দুজনের খুব অল্প সময়। শুনলাম ওর কথা আমি। তারপর আর কথা হয়নি আমাদের দুজনের কোনওদিন। 

আজ দীর্ঘদিন পর হঠাৎ করেই মনে পড়ে গেলো সেই বিখ্যাত ফেলে আসা দিনের কিছু কথা। সেই ওর চেনা হাসি মুখের কথা। ওর আমায় ডেকে কাজ দেবার কথা। আমার কাজের সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ থাকবো সারাজীবন ওর কাছে। কে আর কাকে সুযোগ দেয় আজকাল। কিছু কথা না হয় দুজনের মধ্যে সীমারেখা টেনে বেঁচে থাক গভীর গোপন হয়েই এই রাতের অন্ধকারে চাঁদনী রাতের আলো গায়ে মেখে। 

ওর এই লড়াই। ওর এই সবাইকে নিয়ে একসাথে কাজ করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা। এতগুলো পরিবারকে বাঁচতে সাহায্য করা দেখে বেশ ভালো লাগে আমার। অনেক উপরে উঠে গেলেও মাটির গন্ধকে না ভুলে হাসিমুখেই বেঁচে আছে ও সবাইকে নিয়ে বিন্দাস হয়ে। এটাই বা কজন পারে ক্ষমতার স্বাদ পেয়েও বদলে না গিয়ে। ভালো থেকো তুমি। এমন একজন বিখ্যাত ক্ষমতার বস হয়েও গম্ভীর না হয়ে হাসিমুখে থেকো তুমি। 

বাংলা জাগোর রাজাময় - অভিজিৎ বসু।
তেরো ফেব্রুয়ারী দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...