কিছু উজ্জ্বল ছবি। কিছু উজ্জ্বল মুখ। কিছু উজ্জ্বল সময়। কিছু উজ্জ্বল ঘটনা সব কেমন মিলে মিশে আর লেপটে থাকে আমাদের জীবনে। একদম ঠিক ঈদের সন্ধ্যায় আর অষ্টমীর অঞ্জলীর সকালে। দুর্গাপুজোর নবমীর মন খারাপের রাতে। আর খুশির ঈদের শ্বেত শুভ্র সকালে নামাজ পাঠের মধ্য দিয়ে। ঢাকের বাদ্য আর আল্লাহ আকবর এর আজানের সুরে।
মিশে যায় জীবন। মিশে যায় একে অপরের সাথে সেই পারিবারিক বন্ধন আর সেই চিরন্তন বন্ধনের কিছু উজ্জ্বল চেনা ছবি। যে ছবি দেখে আমার কেমন এই রাতের বেলায় কিছু লিখতে ইচ্ছা হয়। আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায়। আমার এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবন নিয়ে সেই লেখা। যা কেউ বলেন ভালো আবার কেউ বলেন কি হবে এইসব কথা লিখে।
সেই এক নতুন অভিজ্ঞতার কথা। নতুন মানুষের সাথে কয়েক দিন এর আলাপ আর কাজের কথা। সেই নতুন চ্যানেল আসার স্বপ্ন দেখার কথা, সেই নতুন কাজ পেয়ে নিজের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করার কথা, সেই গাড়ী ড্রাইভ করে সেক্টর ফাইভের রাস্তায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলার কথা। সেই ঝাঁ চকচকে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নিয়ম মেনে। সেই বিশ্ব বাংলা গেটের সামনে ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে পড়া। সেই কফির কাপ হাতে নিয়ে আলাপ আর কথা বলা কিছুক্ষণ এর জন্য। কোনোও মতেই সেই কফির দাম না দিতে দেওয়া আমায়। পরের বার দেওয়া যাবে এই শর্তে। সত্যিই শর্ত মেনে কী আর জীবন চলে। না, আমার আর সেই শর্ত পূরণ করা হয়নি আজও তার সূযোগ হয়নি সেই কফির দাম মিটিয়ে দেবা।
যাকগে আজ সেই সৈয়দ ইলমাজ এর কথা। সেই নিউজ এইট্টিন চ্যানেলের দাপুটে সাংবাদিক আর অ্যাঙ্কর। সেই এন কে বাংলার চ্যানেলের হিরো বা সুপার স্টার সাংবাদিক। বেশ কেমন একটা আলাদা ইমেজ আর ওর সেই গম্ভীর গলায় কথা বলা দেখে বেশ ভালই লাগে আমার। যেখানে আমি একদম বেমানান। সেই খবরের দুনিয়ায় পরিচিত মুখ। ওদের দুজনের ঘরবাঁধার এই জুটি দেখে বেশ ভালো লাগে এই ঈদের দিনে মনটা আমার।
একটু ভারী পদ নিয়ে কাজ করা ওর। আর আমার পদবিহীন কাজবিহীন জীবন কাটিয়ে দেওয়া অগোছালো ভাবে। সেই নানা এলোমেলো জীবন আর কিছু ছবি। যে ছবি মন ভালো করে দেয়। যে ছবি দেখে মনে হয় বাহ দারুন ব্যাপার তো এই ওদের এই দুটি পরিবার ওদের দুটি জীবন কেমন মিলেমিশে এক হয়ে গেছে আজ এই ঈদের আলোকোজ্জ্বল সন্ধ্যায়। ইলমাজ আর দেবস্মিতা। নামটা যদি ভুল হয় সংশোধন করতে হবে।
আর আজ এই ঈদের সন্ধ্যায় সেই ওদের বাড়ীতে নানা জনের আনাগোনা আর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ইলমাজের বাসায় হাসি মুখে সৌম্যর প্রবেশ। যে ছবি দেখে মনে হয় এটাই যে আমাদের চিরচেনা শহরের মন ভালো করা ছবি। যেখানে কোনোও রাজনীতি নেই। যেখানে আমরা আর ওরা নেই। যেখানে রাম আর বাম নেই। যেখানে একে অপরকে গাল দেওয়ার চেষ্টা নেই। যেখানে রাজনীতির ময়দানে ঘুরে বেড়ানো একদল মানুষের চিৎকার চেঁচামেচি নেই। একদম নির্ভেজাল দুটি পরিবার কেমন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে একে অপরের সাথে। ভালো থেকো তুমি ইলমাজ। এই ভাবেই হাসিখুশি জীবন কাটিয়ে দাও। মিলেমিশে এক হয়ে। আর সুযোগ হলো সেই এককাপ কফির দাম মেটানোর সুযোগ দিও আমায়।
বিখ্যাত সাংবাদিক ও অ্যাঙ্কর ইলমাজ- অভিজিৎ বসু।
পয়লা এপ্রিল, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন