কেমন একটা ছন্দহীন গতিময় জীবনে ভেসে যাওয়া এদিক থেকে ওদিক একে অপরকে টেক্কা দিয়ে নির্দ্ধিধায় নিঃশব্দে নিঃশঙ্ক চিত্তে। একটু কেমন যেন আলুনি লাগে আমার। তবু সেই আলুনি শহরে ঘুরে বেড়ালাম আমি বেশ কিছু সময়। বাস ধরলাম। গঙ্গার ওপর দিয়ে পার হয়ে সেই টি বোর্ডের রাস্তা পার হয়ে রাজভবনের গেট পার করে, সেই মহাকরণের পোস্ট অফিস এর গেট পার করে নেমে পড়লাম মেয়ো রোডের উপর। সেই চেনা শহরের চেনা রাস্তায়। যে রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছি আমি একা একাই কতদিন এই বোশেখের সন্ধ্যায় বা শীতের দুপুরে।
যেখানে শুধু গণতন্ত্রের প্রহরীদের আনাগোনা হয় সন্ধ্যা হলেই। যাঁরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো আগলে রাখে এই বাংলার দূর্জয় ঘাঁটি বলে খ্যাত সোনার বাংলাকে। মা মাটি আর মানুষের সরকারকে বুক দিয়ে আগলে রাখে সবাই মিলে বেশ ভালই। বেশ ভালো ব্যাপার কিন্তু এটা। দেখা হলো আসাবুল হোসেন এর সাথে, দেখা হলো ক্যামেরার বিখ্যাত সেই ভাদুড়ী দার সাথে, সেই পান্ডুয়ার শুভ, সেই কাজী দা গোলাম গাউস সিদ্দিকী, দেবাশীষ দা, সেই আরও কতজন যে ছিল। যাঁদের সাথে একসাথে কাজ করেছি আমি একসাথে দিনের পর দিন। আজ যদিও আমি কাজ করিনা আর।
সেই চেনা কাঁচের গেলাস, চেনা মুখ এর সাথে বসে গল্প করা সুখ আর দুঃখের। সেই আমলকী গাছের গন্ধ ছেড়ে দূরে বহু দূরে। শহরের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক। আর এই সবের মাঝেই দেখা হলো আমার অনেকের সাথে। সেই প্রেস ক্লাবের মধ্যে। যেখানে গণতন্ত্র রক্ষার চেষ্টায় কত যে অক্লান্ত পরিশ্রম সকলের। সত্যিই অসাধারণ এই মিডিয়ার জীবন। যে জীবন কখনও দিলীপময়। কখনও মমতাময়। আবার যে মিডিয়ার জীবন যাপন কখনও অন্ধকারময়। সেই মিডিয়ার রুপোলি পর্দায় দেখা সেই জগতের লোকদের খুব কাছ থেকে দেখে আমার বেশ ভালোই লাগলো। মনে মনে তাঁদের প্রনাম জানিয়ে ফিরে এলাম বাড়ী। কিছু ছবি আর স্মৃতি বুকে নিয়ে।
গ্রাম থেকে শহরে আসা - অভিজিৎ বসু।
উনিশ এপ্রিল, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য নিজের মোবাইল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন