পুরোনো দিনের কথা ভুলে নতুনকে আবাহন।
বৈশাখের প্রথম প্রভাতে রক্তরাগে রঞ্জিত তৃষিত সূর্য।
সূর্যের প্রখর তাপে ধরিত্রীর মাটি ফেটে ফুটি ফাটা।
শাল শিমুলের ডালে কচি পাতার নরম ওম মাখা হাতছানি।
ওই গাছেদের শিরা-উপশিরায় নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন।
নতুন সূর্যের আলো মাখা সকাল হাজির আজ ঘরের দাওয়ায়।
ঢেউ খেলানো রাস্তায় ন্যাংটা খোকার টলমল পায়ে ছুটে চলা।
শিশুটির কোমরের ঘুনশির মন কেমন করা দোল খাওয়া দেখে, মনে পড়ে যায় কত কথা।
চৈত্রের সাঁঝবেলায় আমার এলোমেলো হয় সব কিছু।
ঢাকের বাদ্যি, শুকনো বাতাসের স্পর্শ, মন কেমন করা সন্ধ্যা, বাঁশ গাছের ফাঁকে উঁকি মারা চাঁদ।
সন্ধ্যা প্রদীপ হাতে মায়ের তুলসী তলায় দাঁড়িয়ে থাকা।
কেমন যেনো থমকে গেলো ওই কচি পায়ের তালে, ছায়াময় সময়।
যে সময় পুরোনোকে বাসর ঘরে বন্দি করে রাখে অক্লেশে, নিশ্চিন্তে, নিরাপদে।
সিন্দুকের আড়ালে আবডালে জমে থাকে ধুলোর পুরু আস্তরণ।
সর সর করে দেওয়াল বেয়ে এগিয়ে চলে নিঃশব্দে, ওই পাখনা ছাড়া লাল পিঁপড়ের দল।
ওরা সবাই একে অপরকে জড়িয়ে, ভালোবেসে, বেঁচে থাকে ওরা।
পুরোনোকে ঠেলে ফেলে দিয়ে, সকলকে জড়িয়ে ধরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে ওরা।
নতুন বছরের প্রথম দিনে, আলোমাখা সকালকে বুকে আগলে আমিও স্বপ্ন দেখি।
এগিয়ে চলার স্বপ্ন, বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
যে স্বপ্নের রঙ গায়ে মেখে আমিও এগিয়ে চলি।
নতুন স্বপ্ন - অভিজিৎ বসু।
চোদ্দ এপ্রিল, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন