সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শুভ জন্মদিন সোমা

আরও একটা বছরকে পিছু ফেলে লক্ষে স্থির কাণ্ডারী................ সত্যিই জন্মদিন মানেই তো একটা বছরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া আমাদের। কিছু ভালো আর কিছু মন্দ। কিছু সুখ আর কিছু দুঃখ। কিছু সুখের নির্যাস আর কিছু দুঃখের মেঠো পথের মর্মর ধ্বনি। জীবনকে তো এইভাবেই অনুভব করতে হয় আমাদের পরতে পরতে। যে জীবন শুধুই নিজের জন্য বাঁচা নয়। যে জীবন শুধুই স্বার্থপর হয়ে নিজের কথা ভেবেই বেঁচে থাকার চেষ্টা করা নয়। যে জীবন অনেকের জন্য বাঁচে। যে জীবন অনেকের কথা ভাবে। যে জীবন শুধুই নিজে একা একাই এগিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উচ্চ শিখরে পৌঁছে হাত নেড়ে টাটা করে না অন্যদের। যে জীবন মনে করে এটা তো আর বাঁচা নয়। এই বাঁচা যে মরার মতই বাঁচা। যে বাঁচার সুখ এর থেকে অসুখ বেশি। সেই হাসিমুখে কালো রোদ চশমা পড়ে বাঁচা একটি মেয়ে। যে আর পাঁচটা সাধারণ বহু মানুষদের সংসার বাঁচানো এক মহিলা সাংবাদিক এর জন্মদিন আজ। যাঁকে নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছা হলো আমার একটু ভয়ে ভয়ে আর দ্বিধা নিয়ে একটু জড়তা নিয়ে বলতে পারি আমি। একজন টোটো চালকের লেখা উচ্চশিখরে ওঠা নাগাল না পাওয়া এক লেডি সাংবাদিক কে নিয়ে।


আজ তাই বিখ্যাত সাংবাদিক বললে হয়তো রেগেই যাবে সে দুম করে। আসলে আমার এই আঁকিবুঁকি ব্লগ আমার সাদা জীবনের কালো কথায় তাঁকে নিয়ে কিছু লিখতেই বেশ ভয় করে আমার আজকাল। একে তো মহিলা সাংবাদিক তারওপর আবার যে সে সাংবাদিক নয় একেবারে মুর্শিদাবাদের মুর্শিদ কুলি খাঁর এলাকার বাসিন্দা বলে কথা। সেই একেবারে টানটান নানা উত্তেজনার মাঝে যিনি স্থিরচিত্তে অকুতোভয় হয়ে লাইভ করেন টিভির পর্দায় কোনোদিকে না তাকিয়ে। দিনরাত এক করে দৌড়ে বেড়ান তিনি আপন ছন্দে খবরের খোঁজে। কাউকে তোয়াক্কা না করেই কেয়ার না করেই। সে কোলকাতার দাপুটে সাংবাদিককূল হোক বা নিজের জেলার বিভিন্ন ছোটো, বড়ো, মেজো, সেজো সাংবাদিক হোক। নিজের স্টাইলে তাঁর বেঁচে থাকা। খবরের সন্ধানে আর খবরের দুনিয়ায়।


 শুধু তাই নয় খবর বাদেও নানা কাজের মাঝে নিজেকে ব্যাপৃত রেখে এগিয়ে চলা। যে এগিয়ে চলার মাঝে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা জনকে সাহায্য করা। কাজের সুযোগ করে দিয়ে। আর তাদের ঘরে ভাতের বন্দোবস্ত করে দিয়ে।

আসলে নিজে নিজেই বাঁচার স্বপ্ন দেখে উপরে উঠতে উঠতে একটু নিচু তলার মানুষদের দিন আনা দিন খাওয়া ছেলেমেয়েদের পাশে দাঁড়িয়ে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সাহায্য করা। এটাই বা আজকাল কজন আর করে বলুন তো। আত্মস্বার্থের যুগে এটা দেখাই যায়না আজকাল। 


তবু সেই মুর্শিদাবাদের সোমা মাইতি। সেই ২৪ ঘণ্টার সুপার স্টার অভিনেত্রী যাঁকে পূজো এলেই বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে মা দূর্গার মতো এই জেলা থেকে ওই জেলায় লাইভ করতে যেতে হয়। দিনক্ষণ নির্ধারণ করে পঞ্জিকা দেখে এই জেলা থেকে ওই জেলায় ঘুরে বেড়াতে হয় হাসিমুখে মুখে মেকআপ করে। সেই আমাদের সোমার আজ জন্মদিন। আসলে আমার ঘরে সোমা আর বাইরে সোমা। চারিদিক যেনো সোমাময় হয়ে আছে। তাই ভয়ে ভয়েই এই সোমাকে নিয়ে লেখা আমার আজ।

যে ঘরের সোমার জন্য আমি আজও টোটো চালকের জীবন বলে দিব্যি সুখেই কাটিয়ে দিলাম এই এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবনটা। আর এই মুর্শিদাবাদের সোমা মাইতির জন্য আমি বেঁচে আছি ওর সাহায্য নিয়ে, ওর কাজের সুযোগ নিয়ে। ওর হেল্প নিয়ে। ওর দাক্ষিণ্য নিয়ে। যাঁর জন্য আমার মেয়ের পড়া হয় এই ভাবে কোনোও চিন্তা ছাড়াই। বিপদে আপদে যাঁর কাছে হাত পাততে আমার লজ্জা হয় না আমার। আসলে আজকাল এমন লোকজনকে যে পাওয়াই যায় না সমাজে। যা বলতে লিখতে আমার লজ্জা নেই কোনো। ও না থাকলে ওর দেওয়া কাজ না পেলে আমার পরিবার যে ভেসে যেতো সেটা বলতে লজ্জা কিসের। তবু আজ ওর জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মনে হলো আমার সেটার উল্লেখ করা দরকার। না হলে যে বারবার আমার নিজেকে অকৃতজ্ঞ মনে হয় যেনো নিজের কাছে। 

শুধু এটাই মনে হয় আমার এই একজন জেলার রিপোর্টার সাধারণ একটি মেয়ে যে নিজের জোরে আর ক্ষমতায় নিজের কারিশমায় যে নানা ভাবে নিজেকে গড়ে পিঠে নিতে পারে। অভিযোজিত হতে পারে। রিপোর্টার না থাকলেও তাঁর নিজের জগতে বেঁচে থাকতে পারে। যা আমি পারিনা। সত্যিই লজ্জা হয় আমার। তাই কিছুটা দূরত্ব রেখে মনে মনে ওকে বলতে ইচ্ছা হয় আমার সত্যিই তোমার এই জার্নিটা বেশ ভালো সোমা। একদিকে সাংবাদিক এর জীবন। নিজেকে প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করে অন্যদের কাজের সুযোগ দিয়ে বেঁচে থাকার জীবন। 

এই দুই জীবনের মাঝে নিজেকে কেমন মানিয়ে নেওয়ার জীবন তোমার। যেটা বোধহয় এই টোটো চালক ঠিক করতে পারে নি। তাই আমি আজ তোমাদের সবার কাছে সাহায্য চেয়ে আর কিছু সাহায্য নিয়ে বেঁচে আছি মাথা নিচু করে। আর তুমি মাথা উঁচু করেই হাসি মুখে বেঁচে আছো। ভালো থেকো তুমি সোমা। জীবনের এই বিশেষ দিনে তুমি তোমার লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে চলো। যেখানে তোমার জন্য বেঁচে থাকে অনেক পরিবার, অনেক সংসার, অনেক ছেলে মেয়ে। যাঁদের কাছে তুমি আশা আর বড় ভরসার জন। যাঁদের কাছে তুমি সবার দিদি। ভালো থেকো তুমি দিদি। হ্যাপি বার্থডে। শুভ জন্মদিন।

শুভ জন্মদিন সোমা - অভিজিৎ বসু।
২৮ মে, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অ্যাঙ্কর মিমির কথা

'আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি কার তাতে কী?' বাহ দারুন সুন্দর এই কথা। স্বপ্ন দেখার কি কোনো সময় হয় নাকি। পঞ্জিকার পাতা উল্টে তিথি নক্ষত্র দেখে কি স্বপ্ন দেখা যায়। যে স্বপ্ন বাঁচার খোরাক জোগায়। যা দেখে এই দৌড় ঝাঁপ করা জীবনে কেমন একটা স্বস্তি মেলে সেই স্বপ্ন সফল হোক বা না হোক। যে কোনোও বয়সে এই স্বপ্ন দেখা যায়। ফেসবুকের পাতায় সেই কথা লেখা দেখে মনে মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করেই এই রাত দুপুরে ভয়ে কম্পমান হয়েই ওকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করা। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই দুর থেকেই অচেনা জগতের সেই খবরের বিখ্যাত সব নানা ধরনের খবর পাঠিকাদের ভীড়ে তাঁকে দুর থেকে দেখা। একদম অন্য এক গ্রহের বাসিন্দা যেনো। সেই কালামের দোকানে হয়তো কোনোও সময় চা খেতে গিয়ে দেখতে পাওয়া। সেই লিফটের কুঠুরিতে একসাথে ওঠা বা নামা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেই। কিন্তু সেই অন্য খবর পড়া অ্যাঙ্কর দের সাথে সহজ সরল ভাবে মিশে যাওয়ার সাহস হয়নি আমার কোনোও দিন তাঁর সাথে। আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই ২৪ ঘণ্টার পোদ্দার কোর্টের অফিসের বিখ্যাত অ্যাঙ্কর মিমির কথা। ...

এলোমেলো , এলেবেলে বিন্দাস জীবন ও জন্মদিন

দেখতে দেখতে বছরের পর বছর গড়িয়ে যায়। আসলে এই অচলাবস্থা আর অকর্মণ্য দিনযাপনের একটা জীবন কাটিয়ে দিতে দিতে বেশ আমি কেমন যেন এডজাস্ট করে নিয়েছি নিজের সাথে নিজেরই এক অদ্ভুত সহাবস্থান। আমার জীবনের সাথে ক্রমেই দ্রুত কমতে থাকে যেনো মৃত্যুর দূরত্ব। দীর্ঘ দিনের জীবনের ঘন্টা ধ্বনিতে কেমন অচেনা সুরের সুর মূর্ছনা বেজে ওঠে ঠিক যেনো ওই গির্জার ঘরে জিঙ্গেল বেল, জিঙ্গেল বেল এর সুরের মতই আচমকা রাত বারোটা বাজলেই এই একত্রিশ মে।  যার তাল, লয় আর ছন্দে আন্দোলিত হয় এই জীবন আর জীবনের নানা জলছবি। যে ছবির কোলাজে ধরা পড়ে হাসি কান্না, সুখ আর দুঃখের নানা অনুভব। যে অনুভূতির জারক রসে আমি জারিত হই প্রতি মুহূর্তে। আর তাই তো বোধহয় সেই ছোটবেলার দিন এর কথা মনে পড়ে গেলেই সেই ঝাপসা হয়ে যাওয়া ধূসর হয়ে যাওয়া সেই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা হয় আমার বড়ো এই আজকের দিনে।  সেই পুরোনো দিনের ভালোবাসার স্পর্শ আর স্মৃতি রোমন্থন করা একটি ছবি। মায়ের নিরাপদ কোলে ঠিক নয় চুপটি করে পাশে বসে আছি আমি একদম ফিট ফাট হয়ে আপন মনে ভদ্র শান্ত ছেলের মতোই যা আমি মোটেও নয়। আজকের সেই এ...

যা দেখি…প্রতিদিন মনে পড়ে কত… স্মৃতির পথ ধরে হাঁটি… লিখি…

ইটিভির অ্যাঙ্কর অঙ্কুর

ভাবা যায় এই ভুবন ভোলানো হাসিমুখের বিখ্যাত অ্যাঙ্করও নকল হতে পারে নাকি কোনোভাবে। হতেই পারে না একদম এটা। কোনোভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না আর বিশ্বাস করাও যায় না। ওর এই পোস্ট দেখে সেটাই মনে হলো আমার সবার প্রথমেই। আসলে এই জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে আসল আর নকলের এই গা ঘেঁষাঘেঁষির ভীড়ে পার্থক্য বোঝাই যে দায়। কে আসল বন্ধু আর কে নকল বন্ধু সেটাই বোঝা মুশকিল। সেটাকে নির্ধারণ করা যে বড়ই দুষ্কর কাজ। সেটাই যে আজকাল আর ঠিক করে ঠাওর করতে পারি না আমি এই বুড়ো বয়সে এসে।  আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমার এই আঁকিবুঁকি ব্লগে তাই সেই যার কোলে চেপে বাসে করে জীবনে প্রথম বার দুরু দুরু বুকে রামোজি ফিল্ম সিটিতে গিয়েছিলাম আমি বেশ ভয়ে আর আতঙ্কে যদি চেয়ারম্যান এর সামনে যেতে হয় আর ইংরাজিতে কথা বলতে হয় এই ভয়ে। সেই ভীড় বাসে বসতে জায়গা না পেয়ে সেই তাঁর কথা। সেই যে সারাদিন অফিস করে হায়দরাবাদ এর বাংলা ডেস্ক থেকে ধ্রুব রাতে ওর বাড়িতে ভাত খাবার জন্য নেমতন্ন করলো আমায় গরম ভাত, ডাল আর আলুভাজা রান্না করলো রূপা ওর শরীর খারাপ নিয়েও সেদিন কত কষ্ট করে। সেই খেতে দেবার সময় ওদের ঘরে খাবা...

বিনোদন রিপোর্টার দেবপ্রিয়

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার। ওর সাথে কোথাও একসাথে কাজ করা হয়নি আমার। ওর খবরের ফিল্ড একদম আলাদা এন্টারটেনমেন্ট। আর আমার শুধুই সাধারণ খবর। কখনও জেলার খবর,আর কলকাতার খবর। রাজনীতির খবর নিয়েই ঘুরে বেড়ানো। তবু কেনো জানিনা ওর শান্তিনিকেতনে আসার খবর শুনেই ওকে সাহস করে আমার নম্বর দিলাম। এমনি কোনোও কারণ ছাড়াই যদি যোগাযোগ হয়। যদি দেখা হয়। কলকাতার গন্ধ আছে। মিডিয়ার একটা বলয় গায়ে জড়িয়ে আছে। আর কি শুধুই যদি দেখা হয়ে যায় এই আশায়।  চমক অপেক্ষা করেছিল আমার জন্য। পরদিন ফোনে যোগাযোগ করলো ও নিজেই। কথা হলো দু চারটে আমাদের। কোথায় থাকো তুমি জিজ্ঞাসা করলো। আর সত্যিই আমি টোটো চালকের কাজ করি কি না যেটা নিয়ে ওর নিজেরও একটা সন্দেহ ছিল মনে মনে সেটা পরিষ্কার করে দিলাম আমি ওকে। কিন্তু যেনো কতদিনের চেনা একজন মানুষ। কত আপন ছন্দে কথা বলা ওর। যেটা আমায় আকর্ষিত করলো বেশ। ওর অনুষ্ঠান যেটা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে সেখানে আমার মতো একজন বাতিল মানূষকে আসতে বললো ও নিমন্ত্রণ জানালো সপরিবারে।  আমি একটু আবেগ প্রবণ মানুষ। আমি চলে গেলাম সেই অনুষ্ঠানে ওর আমন্ত্রণে। যা সচরাচর আমি কো...