'আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি
কার তাতে কী?' বাহ দারুন সুন্দর এই কথা। স্বপ্ন দেখার কি কোনো সময় হয় নাকি। পঞ্জিকার পাতা উল্টে তিথি নক্ষত্র দেখে কি স্বপ্ন দেখা যায়। যে স্বপ্ন বাঁচার খোরাক জোগায়। যা দেখে এই দৌড় ঝাঁপ করা জীবনে কেমন একটা স্বস্তি মেলে সেই স্বপ্ন সফল হোক বা না হোক। যে কোনোও বয়সে এই স্বপ্ন দেখা যায়। ফেসবুকের পাতায় সেই কথা লেখা দেখে মনে মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করেই এই রাত দুপুরে ভয়ে কম্পমান হয়েই ওকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করা।
সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই দুর থেকেই অচেনা জগতের সেই খবরের বিখ্যাত সব নানা ধরনের খবর পাঠিকাদের ভীড়ে তাঁকে দুর থেকে দেখা। একদম অন্য এক গ্রহের বাসিন্দা যেনো। সেই কালামের দোকানে হয়তো কোনোও সময় চা খেতে গিয়ে দেখতে পাওয়া। সেই লিফটের কুঠুরিতে একসাথে ওঠা বা নামা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেই। কিন্তু সেই অন্য খবর পড়া অ্যাঙ্কর দের সাথে সহজ সরল ভাবে মিশে যাওয়ার সাহস হয়নি আমার কোনোও দিন তাঁর সাথে। আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই ২৪ ঘণ্টার পোদ্দার কোর্টের অফিসের বিখ্যাত অ্যাঙ্কর মিমির কথা।
যদিও কোনো কাজ করার অভিজ্ঞতা, কোনো ভালো স্মৃতির কথা নেই আমার এই সাদা কালো ডায়রিতে। তবু তো সেই যে স্বপ্নের কথা ভাবতে পারে যে মনে করে যে কোনোও সময় স্বপ্ন দেখা যায় সে আকাল হোক না সময়। মনে হলো সেই ওর কথা দু চার লাইন লেখা যেতে পারে এই রাতের বেলায়। সেই অর্পিতা, মিমি আর কোয়েল এর ২৪ ঘণ্টার বিখ্যাত জুটি। সেই সঞ্চিতা আর নেতাজী নিয়ে আলোচনা করা শো করা বিখ্যাত পুরুষ অ্যাঙ্কর কি নাম বেশ। সেই বিখ্যাত টিভি নাইন এর চেনা সংসারের জুটি। সেই পোদ্দার কোর্টের দুজন মিলে বসে খবর পড়ে তার ছবি হাসি মুখে মুঠো ফোনে তুলে রাখা। যা দেখে আমার নিজেরও যে কেমন ভালো লাগে বেশ। সেই ফেলে আসা দিনকে স্মরণ করেই।
আজ সত্যিই মিমির এই কথা দেখে বেশ ভালো লাগলো আমার। বাতিল হয়ে যাওয়া এক সাংবাদিক বলা যায়না আর আমায়, যে ঠিক ভালো করে ভাবতে পারে না আর। গড়পড়তা মিডিয়ার কর্মীদের মতই যার মেধাহীন জীবন আর অশিক্ষার ছাপ স্পষ্ট উল্লেখ যার জীবনের সাদা কালো জীবনের পাতায় পাতায় স্বপ্ন দেখতে সেও কেমন করে যেন বড্ড ভালোবাসে আজও। যে ভালোবাসে অতীতের এই সব রঙিন ছবির মাঝে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে। সেই সব আকাশ পানে উড়ে বেড়ানো ঘুরে বেড়ানো ছুটে বেড়ানো দৌড়ের জীবনের মাঝে। হোকনা আমার নিজের দৌড়হীন জীবন।
সেই হাসি মুখের কোয়েলকে মাঝে রেখে অর্পিতা আর মিমির চেনা উজ্জ্বল ছবি। সেই স্বপ্ন দেখা স্বর্ণ যুগের বিখ্যাত সব সাংবাদিক ভরা সব নানা রং এর জীবন। যে জীবনে সুখ দুঃখের মেল বন্ধন ছিল গভীর ভাবে জড়িয়ে। যে জীবনকে আমরা আজ নানা ভাবেই মিস করি যেনো। তবু তো আজ ওর সেই আকালে স্বপ্ন দেখার ইচ্ছা হওয়ার কথা লেখার জন্য তাকে ধন্যবাদ। যে এই মাঝে রাতে আমাকেও লিখতে সাহায্য করলো। ভালো থেকো তুমি দিদি। ভুল লিখলে ক্ষমা করে দিও তুমি। মনে হলো আমার এমন একটা মিমিকে নিয়ে লিখলে কেমন হয়। আমার ব্লগের পাতায় তাই জন্য লিখে ফেললাম আমি।
অ্যাঙ্কর মিমির কথা - অভিজিৎ বসু।
১৮ জুন, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য ফেসবুক।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন