সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

শুভ জন্মদিন অর্পিতা

কখনও দূরদর্শনের পর্দায় আবার কোনো সময় ২৪ ঘণ্টার চেনা মুখ হয়ে ওর খবর পড়া। সেই সব চেনা জুটির হাসি মুখের ছবি ওদের। আবার সেই হাজরা মোড়ের বাংলা জাগোর অফিসে হঠাৎ করেই আমার সাথে স্টুডিওতে একদিন ওর দেখা হয়ে যাওয়া বিকেল বেলায়। কি খবর তোমার বলে সেই ওর পরিচিত চেনা হাসি ওর। যাক তাহলে ভালো যে ভুলে যায়নি আমায়।


 জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ওর কথা মনে পড়ে গেলো আমার। সেই কোয়েল, অর্পিতা, মিমি, সঞ্চিতা, অনুসুয়া, এদের সব চেনা জুটির মিস্টি মধুর সুখের ভালোবাসার সংসার। যে সংসার এক সময় জোড়া ছিল একসাথে এদের কাজ করা ছিল। টিফিন বক্স থেকে টিফিন ভাগ করে খাওয়া ছিল। পোদ্দার কোর্টের অফিসে কালাম এর দোকানে লাইন দিয়ে ওদের চা খেতে যাওয়া ছিল। পুজোয় সেই সব একসাথে প্ল্যান করে সেজে গুজে লাইভ করা ছিল। সাথে যে আরও কত কিছুই যে ছিল সে সব আর মনে পড়ে না কিছুতেই আজ।

তবু আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় আমার। সেই বিখ্যাত অ্যাঙ্কর অর্পিতার কথা। সেই ধীরে ধীরে ওর স্টুডিওতে প্রবেশ করা। চিৎকার না করেই কেমন সুন্দর করে খবর পড়া। একদম যেনো নিজের স্টাইলে। আর সেই বহুদিন পরে ওকে দেখলাম সেই হাজরা মোড়ের কাছের এক অফিসে। আসলে জীবনের বিভিন্ন সময়ে এইভাবেই তো ঘুরে ঘুরে কাজ করা। সেই কোয়েলের সাথে দেখা হলেই হাসি মুখে ওদের ছবি দেওয়া। একসাথে কোনোও জায়গায় খেতে যাওয়া দুজনে মিলে বা তার বেশি জনকে নিয়ে। 

সেই ২৪ ঘণ্টার শুরু থেকেই এদেরকে নিয়ে একসাথে পথ চলা চ্যানেলের। ধীরে ধীরে চ্যানেল নিজের মতো করেই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। যাঁদের হাত ধরে সেই উত্তরণ চ্যানেলের ধীরে ধীরে তাঁরা সবাই এদিক ওদিক ছিটকে দূরে সরে গেছেন তাঁরা। কেউ কলকাতা ছেড়ে অনেক দূরে চলে গেছেন কিন্তু সেই অটুট বন্ধুত্ব যেনো রক্ষা হয়। কেউ কোলকাতায় থেকেও এদিক ওদিক অন্য চ্যানেলে কাজ করে বেড়াচ্ছেন। আমার সাথে অর্পিতার তেমন কোন কাজের সুযোগ বা অভিজ্ঞতা নেই। তবু তো কিছুদিন একসাথেই কাজ করতাম আমরা এক অফিসে। সেই সুবাদেই বুকে সাহস নিয়েই লিখে ফেললাম আমি। জানি হয়তো কিছু মনে করবে না অর্পিতা। 

সেই বিখ্যাত পোদ্দার কোর্টের অফিস। সেই দীপ, অধীরদা সহ আরও নানা জনের স্পোর্টসের বিখ্যাত সাংবাদিকদের সুখের সংসার, সেই খবর পড়া সুন্দরীদের ভীড় মেকআপ এর ঘরে কল কল কলরব। সেই অঞ্জন বন্দোপাধ্যায় আর নীলদার বা অরিন্দম চক্রবর্তী ঘুরে বেড়াচ্ছেন ২৪ এর অফিসে। অঞ্জন দা তো আজ আর নেই আমাদের মাঝে। এই সবের মাঝেই তো অর্পিতার জন্মদিন পালন করা হয়ে গেলো। সেই বাংলা মিডিয়ার চেনা মুখ। শুভ জন্মদিন দিদি। ভালো থাকবেন আপনি। সাহস করে লিখে ফেললাম আমি। ভুল হলে মাফ করবেন আপনি। সেই শুভ্রনীল, শৌনক, দিব্যেন্দু, আরও কতজন যে ছিল সেই সময়। সত্যিই অসাধারণ এই জীবন। যে জীবনে অতীত ঘেঁটে বেঁচে থাকতে হয় আমাদের। 

শুভ জন্মদিন অর্পিতা - অভিজিৎ বসু।
এগারো জুন, দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্যে ফেসবুক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অ্যাঙ্কর মিমির কথা

'আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি কার তাতে কী?' বাহ দারুন সুন্দর এই কথা। স্বপ্ন দেখার কি কোনো সময় হয় নাকি। পঞ্জিকার পাতা উল্টে তিথি নক্ষত্র দেখে কি স্বপ্ন দেখা যায়। যে স্বপ্ন বাঁচার খোরাক জোগায়। যা দেখে এই দৌড় ঝাঁপ করা জীবনে কেমন একটা স্বস্তি মেলে সেই স্বপ্ন সফল হোক বা না হোক। যে কোনোও বয়সে এই স্বপ্ন দেখা যায়। ফেসবুকের পাতায় সেই কথা লেখা দেখে মনে মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করেই এই রাত দুপুরে ভয়ে কম্পমান হয়েই ওকে নিয়ে লেখার চেষ্টা করা। সেই পোদ্দার কোর্টের অফিসে সেই দুর থেকেই অচেনা জগতের সেই খবরের বিখ্যাত সব নানা ধরনের খবর পাঠিকাদের ভীড়ে তাঁকে দুর থেকে দেখা। একদম অন্য এক গ্রহের বাসিন্দা যেনো। সেই কালামের দোকানে হয়তো কোনোও সময় চা খেতে গিয়ে দেখতে পাওয়া। সেই লিফটের কুঠুরিতে একসাথে ওঠা বা নামা কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখেই। কিন্তু সেই অন্য খবর পড়া অ্যাঙ্কর দের সাথে সহজ সরল ভাবে মিশে যাওয়ার সাহস হয়নি আমার কোনোও দিন তাঁর সাথে। আজ আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই ২৪ ঘণ্টার পোদ্দার কোর্টের অফিসের বিখ্যাত অ্যাঙ্কর মিমির কথা। ...

এলোমেলো , এলেবেলে বিন্দাস জীবন ও জন্মদিন

দেখতে দেখতে বছরের পর বছর গড়িয়ে যায়। আসলে এই অচলাবস্থা আর অকর্মণ্য দিনযাপনের একটা জীবন কাটিয়ে দিতে দিতে বেশ আমি কেমন যেন এডজাস্ট করে নিয়েছি নিজের সাথে নিজেরই এক অদ্ভুত সহাবস্থান। আমার জীবনের সাথে ক্রমেই দ্রুত কমতে থাকে যেনো মৃত্যুর দূরত্ব। দীর্ঘ দিনের জীবনের ঘন্টা ধ্বনিতে কেমন অচেনা সুরের সুর মূর্ছনা বেজে ওঠে ঠিক যেনো ওই গির্জার ঘরে জিঙ্গেল বেল, জিঙ্গেল বেল এর সুরের মতই আচমকা রাত বারোটা বাজলেই এই একত্রিশ মে।  যার তাল, লয় আর ছন্দে আন্দোলিত হয় এই জীবন আর জীবনের নানা জলছবি। যে ছবির কোলাজে ধরা পড়ে হাসি কান্না, সুখ আর দুঃখের নানা অনুভব। যে অনুভূতির জারক রসে আমি জারিত হই প্রতি মুহূর্তে। আর তাই তো বোধহয় সেই ছোটবেলার দিন এর কথা মনে পড়ে গেলেই সেই ঝাপসা হয়ে যাওয়া ধূসর হয়ে যাওয়া সেই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা হয় আমার বড়ো এই আজকের দিনে।  সেই পুরোনো দিনের ভালোবাসার স্পর্শ আর স্মৃতি রোমন্থন করা একটি ছবি। মায়ের নিরাপদ কোলে ঠিক নয় চুপটি করে পাশে বসে আছি আমি একদম ফিট ফাট হয়ে আপন মনে ভদ্র শান্ত ছেলের মতোই যা আমি মোটেও নয়। আজকের সেই এ...

যা দেখি…প্রতিদিন মনে পড়ে কত… স্মৃতির পথ ধরে হাঁটি… লিখি…

ইটিভির অ্যাঙ্কর অঙ্কুর

ভাবা যায় এই ভুবন ভোলানো হাসিমুখের বিখ্যাত অ্যাঙ্করও নকল হতে পারে নাকি কোনোভাবে। হতেই পারে না একদম এটা। কোনোভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না আর বিশ্বাস করাও যায় না। ওর এই পোস্ট দেখে সেটাই মনে হলো আমার সবার প্রথমেই। আসলে এই জীবনের পথে হাঁটতে হাঁটতে আসল আর নকলের এই গা ঘেঁষাঘেঁষির ভীড়ে পার্থক্য বোঝাই যে দায়। কে আসল বন্ধু আর কে নকল বন্ধু সেটাই বোঝা মুশকিল। সেটাকে নির্ধারণ করা যে বড়ই দুষ্কর কাজ। সেটাই যে আজকাল আর ঠিক করে ঠাওর করতে পারি না আমি এই বুড়ো বয়সে এসে।  আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমার এই আঁকিবুঁকি ব্লগে তাই সেই যার কোলে চেপে বাসে করে জীবনে প্রথম বার দুরু দুরু বুকে রামোজি ফিল্ম সিটিতে গিয়েছিলাম আমি বেশ ভয়ে আর আতঙ্কে যদি চেয়ারম্যান এর সামনে যেতে হয় আর ইংরাজিতে কথা বলতে হয় এই ভয়ে। সেই ভীড় বাসে বসতে জায়গা না পেয়ে সেই তাঁর কথা। সেই যে সারাদিন অফিস করে হায়দরাবাদ এর বাংলা ডেস্ক থেকে ধ্রুব রাতে ওর বাড়িতে ভাত খাবার জন্য নেমতন্ন করলো আমায় গরম ভাত, ডাল আর আলুভাজা রান্না করলো রূপা ওর শরীর খারাপ নিয়েও সেদিন কত কষ্ট করে। সেই খেতে দেবার সময় ওদের ঘরে খাবা...

বিনোদন রিপোর্টার দেবপ্রিয়

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার। ওর সাথে কোথাও একসাথে কাজ করা হয়নি আমার। ওর খবরের ফিল্ড একদম আলাদা এন্টারটেনমেন্ট। আর আমার শুধুই সাধারণ খবর। কখনও জেলার খবর,আর কলকাতার খবর। রাজনীতির খবর নিয়েই ঘুরে বেড়ানো। তবু কেনো জানিনা ওর শান্তিনিকেতনে আসার খবর শুনেই ওকে সাহস করে আমার নম্বর দিলাম। এমনি কোনোও কারণ ছাড়াই যদি যোগাযোগ হয়। যদি দেখা হয়। কলকাতার গন্ধ আছে। মিডিয়ার একটা বলয় গায়ে জড়িয়ে আছে। আর কি শুধুই যদি দেখা হয়ে যায় এই আশায়।  চমক অপেক্ষা করেছিল আমার জন্য। পরদিন ফোনে যোগাযোগ করলো ও নিজেই। কথা হলো দু চারটে আমাদের। কোথায় থাকো তুমি জিজ্ঞাসা করলো। আর সত্যিই আমি টোটো চালকের কাজ করি কি না যেটা নিয়ে ওর নিজেরও একটা সন্দেহ ছিল মনে মনে সেটা পরিষ্কার করে দিলাম আমি ওকে। কিন্তু যেনো কতদিনের চেনা একজন মানুষ। কত আপন ছন্দে কথা বলা ওর। যেটা আমায় আকর্ষিত করলো বেশ। ওর অনুষ্ঠান যেটা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে সেখানে আমার মতো একজন বাতিল মানূষকে আসতে বললো ও নিমন্ত্রণ জানালো সপরিবারে।  আমি একটু আবেগ প্রবণ মানুষ। আমি চলে গেলাম সেই অনুষ্ঠানে ওর আমন্ত্রণে। যা সচরাচর আমি কো...