গুবরে পোকার মতো অন্তরীণ হয়ে বেঁচে আছি আমি আলগোছে, অতি সন্তপর্নে।
মাটির বিবর্ণ দেওয়ালে কাচ পোকার মতো, অবরুদ্ধ হয়ে টিকে থাকার নিরন্তর প্রয়াস।
ঝোপে, জঙ্গলে, জন অরণ্যের মাঝে লুকিয়ে বাঁচা একাকী, নিঃশব্দে।
জীবনের ফুলকাটা নৌকায়, এখন স্তিমিত জলের, আলতো ঠোঁটের পেলব ছোঁয়া।
রাতের অন্ধকারে দ্রিমি দ্রিমি, দ্রিম দ্রিম আওয়াজে আচমকাই ঘুম ভেঙে যায়, আমার যখন,তখন।
বুকের মাঝে লুকিয়ে থাকে হাজার মান, অভিমান, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তির নানা রঙের ছোপ ছোপ দাগ।
আকাশে তখন মেঘমল্লার রাগ, বাতাসে ভাসে ভৈরবীর তান।
উদাসী বাউল আব্দুল গানের আসর বসিয়েছে নদীর তীরে অসময়ে।
মাটির গন্ধ গায়ে মেখে জীবনের গান গায় আব্দুল চাচা একতারায় সুর তুলে।
গানের সুরে ভেসে যায় মাঠ, ঘাট, নদী, নালা,প্রান্তর।
শুকিয়ে যাওয়া নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালাতে চায়, উদাসী বাউল তার গানের মন কেমন করা সুর নিয়ে, দূরে অনেক দূরে, সবার অগোচরে।
গুবরে পোকার খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ি আমিও।
মন কেমন করা গান, মাটির গন্ধ, নদীর পাড়ের টানে আমিও কেমন নড়ে চড়ে উঠি।
আমার অবরুদ্ধ জীবন কেমন করে নড়ে চড়ে ওঠে।
লুকিয়ে থাকা আমি কেমন করে খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ি এদিক থেকে ওদিক।
খোলস - অভিজিৎ বসু।
এগারো জুন, দু হাজার চব্বিশ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন