সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বদলে যাওয়ার তালিকায় সবাই

ভেবেছিলাম আট থেকে আশির এই নিজেকে বদলে নেওয়ার দলে ও নাম লেখাবে না একদম কিছুতেই। গুরুগম্ভীর আর সেই অর্থপূর্ণ ভাব বিনিময় করে বেঁচে থাকা আর উচ্চপদে কর্মরত এই ব্যক্তি কী আর নিজেকে খোলস ছেড়ে বদলে নেবে হঠাৎ করেই। কেমন দেখতে লাগে এই নতুন চেহারায় ,সেটা দেখার বাসনা হবে তাঁর। কিন্তু না আমি দেখলাম এই বদলে নেওয়ার আর নিজেকে একটু উল্টেপাল্টে দেখে নেবার লোভ বড়ো ছোঁয়াচে। ঠিক বসন্তের বাতাসে উড়ে বেড়ানো পলাশের শুকনো হাসির মতই।   জানি আমায় কেউ কেউ বলবেন আবার ওকে নিয়ে লেখা। এই লেখা কত নম্বর ভাই। এই ছবি দেখে আর লেখার কি দরকার বাবা তোমার। তিনকাল গিয়ে এককাল ঠেকেছে তোমার। ওকে তেল দিয়ে আর লাভ নেই,চাকরির আশা নেই আর কোনোও তোমার। যেমন আছো তুমি তেমনি থাকো বাবা এই টোটো চালকের বেশ ধরে ঘুরে বেড়িয়ে এই এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবন নিয়ে। আর কতবার এই মুর্শিদাবাদের ভেঙে পড়া সাম্রাজ্যের এক ব্যক্তিকে নিয়ে বার বার লিখবে আর তাঁকে প্রজেক্ট করবে তুমি এইবার তো থামো বাবা। একটু এই শেষ বেলায় হিসেব করে মেপে পা ফেলো মাঠে। না হলে যে গর্তে পড়ে বেঘোরে হাত পা ভাঙবে তোমার। আমি মনে মনে এই সব শুনে অস্ফুটে ...

বিখ্যাত সাংবাদিক ও অ্যাঙ্কর ইলমাজ

কিছু উজ্জ্বল ছবি। কিছু উজ্জ্বল মুখ। কিছু উজ্জ্বল সময়। কিছু উজ্জ্বল ঘটনা সব কেমন মিলে মিশে আর লেপটে থাকে আমাদের জীবনে। একদম ঠিক ঈদের সন্ধ্যায় আর অষ্টমীর অঞ্জলীর সকালে। দুর্গাপুজোর নবমীর মন খারাপের রাতে। আর খুশির ঈদের শ্বেত শুভ্র সকালে নামাজ পাঠের মধ্য দিয়ে। ঢাকের বাদ্য আর আল্লাহ আকবর এর আজানের সুরে। মিশে যায় জীবন। মিশে যায় একে অপরের সাথে সেই পারিবারিক বন্ধন আর সেই চিরন্তন বন্ধনের কিছু উজ্জ্বল চেনা ছবি। যে ছবি দেখে আমার কেমন এই রাতের বেলায় কিছু লিখতে ইচ্ছা হয়। আমার সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায়। আমার এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবন নিয়ে সেই লেখা। যা কেউ বলেন ভালো আবার কেউ বলেন কি হবে এইসব কথা লিখে।  সেই এক নতুন অভিজ্ঞতার কথা। নতুন মানুষের সাথে কয়েক দিন এর আলাপ আর কাজের কথা। সেই নতুন চ্যানেল আসার স্বপ্ন দেখার কথা, সেই নতুন কাজ পেয়ে নিজের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করার কথা, সেই গাড়ী ড্রাইভ করে সেক্টর ফাইভের রাস্তায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলার কথা। সেই ঝাঁ চকচকে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলা একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নি...

ঈদের চাঁদের আলো

ঈদের আকাশে শুধু এক ফালি চাঁদের অপেক্ষা। তারপর কত শত মানুষের মুখের, মলিন হাসি মাখা উজ্জ্বল সব আনন্দের মুখ।  ঘরে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গোনা, সব মানুষ জন। বাজিতপুর ঘাট থেকে স্টিমারের ভোঁ ভোঁ আওয়াজ। স্টিমারের গায়ে জলের ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখা একরাশ চাপা, নিশুতি রাতের গভীর গোপন ভালোবাসা। ঠিক যেনো জুঁই ফুলের সুবাস ছড়ায় গরম কালে, সেই ভালোবাসার ধাক্কা লাগে স্টিমারের গায়ে। জলের ওপর ছড়িয়ে পড়া চাঁদের টুকরো টুকরো আলো গায়ে মেখে, দুলে ওঠে স্টিমার। জুঁই এর গন্ধ মাখা আলোর টুকরো ভেসে যায় নদীর পাড় ধরে।  সব মিলিয়ে আজ যে আমাদের খুশীর ঈদ। এই তো কিছু দিন আগেও এই ঈদের দিন শবনম এসেছিল। যে সেমাই এর পায়েস নিয়ে হাজির হয়েছিল, সুজাতার মতই আমার টালির ঘরে। যার চোখের পানিতে ভিজে গেছিলো, উঠোন, দাওয়া সব কিছুই। কেমন যেনো সুখের পরশ পেয়ে খুশি হয়ে ছিলাম আমরা দুজনেই। আজ আর চাঁদের টুকরো আলোয়, চক চক করে না শবনমের মুখ। হাজারো চড়াই উৎরাই পেরিয়ে, খুশির জোয়ার আসে না কিছুতেই, এই খুশীর দিনেও। শবনমের হাতের মুঠোয় ধরা থাকে না পায়েসের বাটি। শবনমের শুকনো বুকে মুখ লুকিয়ে খাবার...

ভার্চুয়াল বিশ্ব গিবলি ট্রেন্ড ও আমার আপনার বদলে যাওয়া

চারিদিকেই এখন বদলে যাওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে গোটা বিশ্ব জুড়েই। আট থেকে আশি সবাই এখন গিবলি জ্বরে আক্রান্ত। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন শুধুই বদলে যাওয়ার ছবি থিক থিক করছে আর গিজ গিজ করছে চারিদিকে। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পল্টু বদলে যাচ্ছে এক নিমিষে ঝাঁ করে কাউকে কিছু না বলেই। পাশের বাড়ির লো কাট ব্লাউজ পড়া, মুখে স্নো পাউডার মাখা কল্পনা বৌদি যে বয়স লুকিয়ে প্রেম করার চেষ্টা করছে এই পড়ন্ত যৌবনেও, সেও কেমন ঝাঁ করে বদলে নিচ্ছে এক লহমায় নিজেকে এই ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। সদ্য কলেজে প্রেমে পড়া সুদেষ্ণা আর সুদর্শন যুবক কৃষ্ণ এক লহমায় বদলে যাচ্ছে কেমন করে ম্যাজিক এর মতোই। সত্যিই এই বদলে যাওয়াটা বেশ ভালোই।  আমাদের জীবনের দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা আর পরশ্রী কাতরতার মাঝে বদলে যাওয়া হাসি হাসি মুখের ছবি ভেসে উঠছে ফেসবুকের পর্দায়। আসলে এটা একটা বেশ ভালো ব্যাপার চলছে গোটা বিশ্ব জুড়েই। পুঁজিবাদের জমানায় এই দ্রুত হারে নিজেকে বদলে ফেলার চেষ্টা করা। সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখা একদা যে পৃথিবী এখন দ্রুত গতিতে ছুটছে পুঁজিবাদের তালে তাল মিলিয়ে। টোকিও থেকে ম্যানহাটন, জার্মান থেকে...

বিখ্যাত পুলিশ রিপোর্টার জয়ন্ত দা

সেই কলকাতা শহরে একটি ধর্ষণ এর ঘটনা যে বাংলার বিখ্যাত এক সাংবাদিক প্রথম কাগজে লিখে হৈচৈ ফেলে দিলেন।সেই সুজেট জর্ডান ২০১২ সালে গণধর্ষণের শিকার হন যিনি। ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১২ তারিখে সন্ধ্যায়, জর্ডান পার্ক স্ট্রিটের একটি নাইটক্লাবে প্রথমবারের মতো পাঁচজন যুবকের (কাদের খান, মোঃ আলী, নাসির খান, রুমান খান এবং সুমিত বাজাজ) সাথে দেখা করে , যারা তাকে যাওয়ার সময় বাড়িতে নামিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই, পাঁচজন তাকে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ করে এবং পরে কলকাতা ক্লাবের বিপরীতে এক্সাইড ক্রসিংয়ের কাছে ফেলে দেয়। ভোর ৩.৩০ টার দিকে, সে বেহালায় তার বাসভবনে একটি ট্যাক্সিতে ওঠে ।  যদিও মিডিয়া এবং পুলিশ প্রথমে ভুক্তভোগীর নাম গোপন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল, যেমনটি ভারতে প্রচলিত , পরে তিনি জনসমক্ষে ৩৭ বছর বয়সী এবং দুই সন্তানের মা হিসেবে তার পরিচয় প্রকাশ করেন, যাতে অন্যান্য জীবিতদের কথা বলতে উৎসাহিত করা যায়। আরে এই খবর সবার প্রথম তাঁর কাগজের প্রথম পাতায় লিখে যে সাংবাদিক হৈ চৈ হুল্লোড় ফেলে দিলেন সেই বিখ্যাত দাপুটে পুলিশ রিপোর্টার জয়ন্ত মজুমদার এর কথা আজ আমার সাদা জীবনের কা...

সেই ২৪ ঘণ্টার ইন্টার্ন রোশনী

'এবার হয়েছে সন্ধ্যা। সারাদিন ভেঙেছো পাথর পাহাড়ের কোলে আষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলে তোমারও তো শ্রান্ত হলো মুঠি অন্যায় হবে না – নাও ছুটি বিদেশেই চলো যে কথা বলোনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো।'.....  শক্তি চট্টোপাধ্যায়  এই কবিতার লাইন লিখে পোস্ট করেছিল ও একদিন। সেই কতদিন আগের সেই পোস্ট ফিরে এলো হঠাৎ করেই আজ ফেসবুকের দেওয়ালে হেলান দিয়ে অপেক্ষা করছে যেনো কারুর জন্য। ওর সাথে আমার দেখা হয়েছিল সেই পোদ্দার কোর্টের ২৪ ঘণ্টার অফিসে। ইন্টার্নশিপ করতে এলো ও একঝাঁক উজ্জ্বল ছেলেমেয়ের সাথে।  সেই ওর মিষ্টি হাসি। মিষ্টি ব্যবহার। সুন্দর ঝাঁ চকচকে একটা মিডিয়ার জীবন তৈরি করতে আসা ওর। সেই ২৪ ঘণ্টার বাংলার সেই আমলে বিখ্যাত দু নম্বর চ্যানেলে কাজ শিখে সার্টিফিকেট নিয়ে কাজের দরজা খুলে রাখা। আর জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানো। আর তার জন্য বিনা বেতনে কাজ শিখতে আসা এই নানা বাংলা মিডিয়ায় ইন্টার্নদের। আর কাজের সুত্রে যোগাযোগ হয়ে যাওয়া সেই হাউসের নানা সাংবাদিক এর সাথে।  কেমন একটা স্বপ্নের জগতে বিচরণ করা যেনো। হাত বাড়ালে স...

বর্তমানের পুলকেশ দা ও পল্লীডাক প্রেস

সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় আজ সেই এক সময়ের বিখ্যাত সাংবাদিক পুলকেশ ঘোষদার কথা। সেই আমাদের সবার পুলকেশ দা। আজও যিনি কেমন হাসি মুখে ঠিক কঠিন পিচে ব্যাট করছেন সেই অংশুমান গায়কোয়াড় এর মতো এক স্টাইলে ধরে ধরে। সেই কবে এক সন্ধ্যায় হুগলীর শ্রীরামপুরে পল্লীডাক পত্রিকার অফিসে দেখা হলো ওনার সাথে আমার। চোখে চশমা পড়া, লম্বা বেশ, মুখে মিষ্টি হাসিটা লেগে আছে। প্রবীরদা আমায় ডেকে বললেন এই শোন পুলকেশ রিষড়াতে যাবে। তোদের ওদিকে ও থাকবে। ওর ফ্ল্যাট আছে। যাবার সময় খেয়ে বাড়ী যাবে। তুই ওকে একটু দেখিয়ে দিস বাড়ী যাওয়ার পথে কোথায় দোকান আছে।  আর সেটা শুনে আমার তখন হাতে চাঁদ পাওয়ার অবস্থা। বর্তমান কাগজ, সেই ভগবানকে ছাড়া আর কাউকে ভয় না পাওয়া কাগজ সেই কাগজে যাঁর লেখা পড়ি আমি তাকে নিয়ে যেতে হবে, দেখাতে হবে খাবার এর জায়গা। এর থেকে কোনোও বড়ো কাজ হতে পারে নাকি জীবনে। তারপর তিনি সেই চার নম্বর গেটের কাছে চলে যাবেন নিজের আবাসনের ফ্ল্যাটে। সেই রিষড়া হাউজিং বলে যার নাম সেই জায়গায়। এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে আমি খালি ভাবছি কখন যাবো আমরা ট্রেন ধরে নিজের এল...

ভূত ধরার অভিযান ও রাজনীতি

ভূতের ভবিষ্যৎ এর পর এখন ভোটের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় আছে শাসক দল তৃণমূল। যদিও এতে আমার মনে হয় ভূতেরাও বেশ বিরক্ত হয়ে পড়েছে একটু। বেশ সুখেই দিন কাটছিল তাঁদের হঠাৎ করেই কেনো যে এই ভূত ধরার অভিযান শুরু হলো রাজ্যে জুড়ে কে জানে। তবে না দিদির নির্দেশ বলে কথা। ভূত ধরতে তাই সকলের নেমে পড়া মাঠে ময়দানে। দলের ছোটো , বড়ো, মেজো, সেজো, এমনকি কোলের বাচ্চারও জরুরী ভিত্তিতে ভূত ধরার অভিযানে অংশ গ্রহণ করা।  জেলায় জেলায় এখন ভূত ধরার কাজ চলছে জোর কদমে। তবে শুধু ভূত ধরলেই হবে না কত ভূত ধরা হলো। কেমন ধরনের ভূত ধরা হলো তার হিসেব পেশ করতে হবে সপ্তাহে সপ্তাহে দলীয় কার্যালয়ে। মামদো না শাকচুন্নি তারা। শুধু হিসেব পেশ করলেই হবে না ভূত ধরার কাজে সত্যিই পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায়, জেলায় জেলায়, লোক রাস্তায় সব বাড়িতে বাড়িতে গেছে কি না তার ছবিও প্রকাশ করতে হবে। সেই ছবি আপলোড করে জানাতে হবে, হ্যাঁ ভূত ধরার অভিযানে তাঁরা সামিল হয়েছেন সত্যিই সত্যিই। কেউ ফাঁকি মারেনি একদম কাজে। কেউ কাজ না করে ঘরে বসে থাকলেই সে কিন্তু বাদ পড়ে যাবে। একদম কড়া নির্দেশ দলের নেত্রীর।  ক...

পঞ্চ কন্যার আর এক কন্যা মন্দিরা

আমার পঞ্চ কন্যার সিরিজে আর এক কন্যার নাম মন্দিরা। কখনও কখনও পাহাড়ে ঘেরা প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে তার বেশ। আবার কখনও খোলা আকাশের নিচে সে ঘুরে বেড়ায় আপনমনে আর আপনছন্দে তার এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবন নিয়ে। কখনও আবার দু হাত তুলে মোটর সাইকেল চেপে ছুটে বেড়ায় সে এদিক থেকে ওদিক কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য না রেখেই। কখনও এদিক ওদিক হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করে তার প্রকৃতির মাঝে একা একাই। মনে মনে গুনগুন করে গান গেয়ে বলে সে, 'কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা'।  প্রাণবন্ত উচ্ছল তাজা একটি মেয়ে সে। আবার সেই রাতের বেলায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বহু পথ অতিক্রম করেও যে ক্লান্ত হয় না কিছুতেই অন্যদের মতো। রাস্তায় বসে পড়ে না একদমই সে। সবাই হেরে গেলেও সে কিছুতেই হারতে জানে না একদম। সেই ক্রিকেট খেলার মাঠে ডাকসাইটে সুন্দরী মন্দিরা বেদী নয় কিন্তু সে হলো মন্দিরা দে। মল্লারপুর এর গ্রামের মেয়ে মন্দিরা। সেই ছটফটে মেয়েটি কেমন যেন একটু থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো একদিন। হোঁচট খেল রাস্তায় হঠাৎ করেই।  ওর নিজের জীবনের ছন্দ পতন হলো তার হঠাৎ করেই। সেই ওর হাসিখুশি দৌড...

বিনোদন রিপোর্টার দেবপ্রিয়

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার। ওর সাথে কোথাও একসাথে কাজ করা হয়নি আমার। ওর খবরের ফিল্ড একদম আলাদা এন্টারটেনমেন্ট। আর আমার শুধুই সাধারণ খবর। কখনও জেলার খবর,আর কলকাতার খবর। রাজনীতির খবর নিয়েই ঘুরে বেড়ানো। তবু কেনো জানিনা ওর শান্তিনিকেতনে আসার খবর শুনেই ওকে সাহস করে আমার নম্বর দিলাম। এমনি কোনোও কারণ ছাড়াই যদি যোগাযোগ হয়। যদি দেখা হয়। কলকাতার গন্ধ আছে। মিডিয়ার একটা বলয় গায়ে জড়িয়ে আছে। আর কি শুধুই যদি দেখা হয়ে যায় এই আশায়।  চমক অপেক্ষা করেছিল আমার জন্য। পরদিন ফোনে যোগাযোগ করলো ও নিজেই। কথা হলো দু চারটে আমাদের। কোথায় থাকো তুমি জিজ্ঞাসা করলো। আর সত্যিই আমি টোটো চালকের কাজ করি কি না যেটা নিয়ে ওর নিজেরও একটা সন্দেহ ছিল মনে মনে সেটা পরিষ্কার করে দিলাম আমি ওকে। কিন্তু যেনো কতদিনের চেনা একজন মানুষ। কত আপন ছন্দে কথা বলা ওর। যেটা আমায় আকর্ষিত করলো বেশ। ওর অনুষ্ঠান যেটা হচ্ছে শান্তিনিকেতনে সেখানে আমার মতো একজন বাতিল মানূষকে আসতে বললো ও নিমন্ত্রণ জানালো সপরিবারে।  আমি একটু আবেগ প্রবণ মানুষ। আমি চলে গেলাম সেই অনুষ্ঠানে ওর আমন্ত্রণে। যা সচরাচর আমি কো...