সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায়

এই বাংলার রাজনীতি। বিরোধী দল। বিরোধী দল নেতা। সেই আমলে সিপিএমের দোর্দণ্ড প্রতাপ দাপট। সেই দাপটেও একা কুম্ভ রক্ষা করে নকল বুঁদি গড়।‌ আর একটা পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক এর সন্ধান পাওয়া। যিনি সেই দলের ক্রাইসিসে, দলের দুর্দিনে যখন খুব খারাপ অবস্হা। আশংকাজনক অবস্থায় দল যখন এ পজিটিভ রক্তের এর অভাবে ভুগছে রক্তল্পতায়। দৌড় ঝাঁপ করছে, এদিক ওদিক ঘুরছে সেই অবস্থায় কেমন একাই সব সামলে দিয়েছেন তিনি দলকে নানা বিপদ থেকে উৎরে দিয়েছেন হাসিমুখেই। কাউকে কিছু টের না পেতে দিয়ে।

 আর আবার তিনিই যখন সারারাত জেগে গোবিন্দপুর বস্তি আগুনে জ্বলে পুড়ে ছারখার হচ্ছে সবাই যখন দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সঙ্গে রাত জাগছেন আর গলা ছেড়ে কেউ কেউ গান ধরছেন দিদিকে খুশী করতে। সেই সময় দিব্যি তিনি নিজের মোবাইল ফোন বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েছেন। আর সত্যিই রাত জেগে অন্দোলন হচ্ছে কী না সত্যি না মিথ্যে কথা সেটা দেখতে বর্তমান তৃণমুলের এক বর্ষীয়ান সাংসদের স্ত্রী যিনি আজ আর বেঁচে নেই তিনি দেখতে ছুটে এসেছিলেন তাঁর অধ্যাপক স্বামীকে সেই রাতে গোবিন্দপুর বস্তির এলাকায়। আর এতো ঘটনা ঘটলেও তিনি ফোন বন্ধ করে গভীর নিদ্রায়। 

এটাই তাঁর অভ্যাস বরাবরের। রাত নটার পর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো নয় স্বয়ং ভগবানও তাঁকে আর পাবেন না কোনোওভাবেই। তাঁর ফোন সুইচ অফ। এই নিয়মেই কাটিয়ে দিলেন তিনি তাঁর রাজনীতির একটা পরিচ্ছন্ন সুন্দর জীবন। যে জীবনে শুধু আজ্ঞাবহ দাস হয়ে জো হুজুর করে হাতজোড় করে বাঁচা নয় কিছুটা নিজের কর্মকৃতিত্বে দলের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে রক্ষা করে চললেন তিনি। নিজের স্বার্থের কথা আর ধান্দার কথা না ভেবেই কাটিয়ে দিলেন তিনি নিজের জীবন। আর একদিন হঠাৎ করেই সব ছেড়েও দিলেন তিনি দলের খারাপ সময়ে থাকলেও ভালো সময়ে আর থাকলেন না তিনি। বুঝতে পারলেন তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে দলে। 

আজ সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের পাতায় সেই হারিয়ে যাওয়া বিরোধী দলের এক নেতার কথা। সেই পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায় এর কথা। যিনি সেই পুরশুড়া থানায় গেলেন কোনোও আন্দোলন করতে সিপিএমের লাগাতার সন্ত্রাস এর প্রতিবাদ জানাতে। তৃণমূলের তখন সেই আন্দোলন হচ্ছে দিকে দিকে। পুরশুড়া থানার ওসির টেবিল উল্টে গেলো আন্দোলন এর জেরে। সেই সময় তো তারকেশ্বর বিধানসভার এলাকা পার করে চাঁপাডাঙ্গার মোড় পার হয়ে আর এগোনো যায়না কিছুতেই। না সাংবাদিক এগোতে পারে, রাজ্যে তখন টিম টিম করে জ্বলা তৃণমূল কংগ্রেস দলের কোনো নেতাও এগোতে পারে না। সেই আমলে পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায় নিজেই আন্দোলন করতেন নানা রকম ভাবেই। সেই কালীঘাটের বাড়ীতে তখন এতো ভীড়, লোক লস্কর পুলিশ পেয়াদা কিছুই নেই সেই সময়। বিকেল বেলায় এত সাংবাদিকের দল তখন দলে দলে দিদির বাড়ী ভীড় করতেন না। নিজের পয়েন্ট বাড়াতে আর নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে আর চা সিঙারা খেতে। সত্যিই বেশ স্বপ্নের মতো দিন ছিল সেই সময়। 

 দু হাজার দুই বা তার পরের সময় হবে আর কি। দু হাজার এক সালে বিধানসভা ভোটে জয়ের পর লাল পার্টির তখন রমরমা অবস্থা গোটা রাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস তখন রিকেট রুগীর মত অবস্থা। এন ডি এ জোট ছেড়ে ফের দলের গভীর সংকটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয় বার এন ডি এ জোটে ফেরার রাস্তা খুঁজতে ব্যস্ত। সেই আমলেও কেমন বিধানসভায় সকাল বেলা এগারটার সময় পৌঁছে গেছেন পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায়। কোনোও এক সেশনে বিরোধী দলনেতা হয়ে দাঁড়িয়ে পঙ্কজ বাবু নিজের বক্তব্য তুলে ধরছেন তিনি হাসিমুখে। বিধানসভায় কোনও হৈ চৈ হুল্লোড়, গণ্ডগোল , কাগজ ছিঁড়ে উড়িয়ে দেওয়া, মার্শাল ডেকে বিধায়ককে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া ছাড়াই।

 আজকালের মতো অবস্থা নয় আর কি। আজকাল তো বিধানসভার বিজেপি দলের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার অন্দরের থেকে বাইরেই রাস্তায় বেশি থাকেন তিনি। তাঁকে বিধানসভার অন্দরে আক্রমণ করা হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে চিঠি দিতে হয় বিরোধী দলের নেতাকে। আর বিরোধী দলের নেতা বেশিরভাগ সময় সাসপেন্ড হয়ে বাইরেই থাকেন তিনি রাস্তায় থাকেন বিধানসভার অন্দরে নয়। কিন্তু সেই লাল সন্ত্রাসে ভরপুর গোটা রাজ্যে, কৃষি আমাদের ভিত্তি আর শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ এর স্লোগান দেওয়া সেই সিপিএমের আমলে তো দিব্যি পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায় এর মত নেতা হাসিমুখে কাজ চালিয়ে গেছেন বিধানসভায়। আবার দলের প্রয়োজনে অন্দোলনও করেছেন তিনি। 

তাহলে কেন এই অবস্থা এখন বিধানসভার অন্দরে। রাজনীতির ময়দানে এত হৈ চৈ হুল্লোড় কেনো। কে জানে দিন বদলে গেছে যে অনেক আগের থেকে অনেক। আদিগঙ্গা দিয়ে জল গড়িয়েছে অনেক। সেই লাল পার্টির বদলে এখন ঘাস ফুলের রমরমা রাজ্য জুড়ে। সেই রক্তাল্পতায় ভোগা টিম টিম করা দল এখন নধর শরীর নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে এদিক থেকে ওদিক। আর তার মাঝে গেরুয়া বাহিনীর লোকরাও চেষ্টা করছে একটু এই সুজলা সুফলা জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে জমিতে ফসল ফলাতে। যাতে যে কোনোভাবেই ক্ষমতা দখল করা যায়। 

আর এই নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই সেই হারিয়ে যাওয়া নেতা পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায়কে মনে পড়ে যায় আমার। যিনি সেই ব্যক্তি নিজের স্বার্থ রক্ষা না করেই দলের দুর্দিনে ছাতার মতই দলকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন নিজের কর্মকৃতিত্বে আর নিজের রাজনৈতিক বুদ্ধিতে আর বিচক্ষণতায়। সে কথা আজ আর কেউই মনে রাখেনি আজ। দলের নেত্রী আর দলের অন্য কেউই। 


আজ পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায় তিনি আর নেই। আজ সেই দোর্দন্ড প্রতাপ লাল পার্টির সিপিএমও সরকারে নেই। কিন্তু সেই বিধানসভার অন্দরে সেই রাজনীতির সৌজন্যের দিনগুলো। সেই বিরোধী দলনেতার রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও তাঁকে বিধানসভায় বলতে দেওয়া। কোনোও হৈ চৈ হুল্লোড় ছাড়াই বিধানসভার কাজ হতে দেওয়া, দলের ভেতরের খবর সাংবাদিকের কাছে বলে দেওয়া সেই বিরোধী দলের নেতার হাসিমুখে কাউকে ভয় না পেয়েই। এগুলো কেমন যেনো একটা অন্য সৌজন্যের ছবি, অন্য বাংলার রাজনীতির ছবি অন্য সাংবাদিকতার ছবি তুলে ধরে আমাদের কাছে। যে ছবির আঁকিবুঁকি সাদা কালো রেখায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতই ভেসে থাকেন সেই হাসি মুখের এক পরিচ্ছন্ন নেতা পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায়। 

বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দোপাধ্যায় - অভিজিৎ বসু।
তেরো মার্চ দু হাজার পঁচিশ।
ছবি সৌজন্য গুগল।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ইটিভির পিনাকপাণি ঘোষ

কিছু মানুষ কত কাছে থেকেও পাশাপাশি এক জায়গায় বাস করেও একসাথে একসময় কাজ করেও যে কত দূরে রয়ে যান নিজের হাসিমুখ নিয়ে আর সেই চেনা ছন্দ নিয়ে সত্যিই বেশ ভালো মজার ব্যাপার কিন্তু এটা জীবনের মেঠো পথে। সেই ইটিভির বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে ঘুরে ঘুরে স্ট্রীট ফুডের ছবি তোলা আর নানা খবর করে খাওয়া দাওয়ার এপিসোড করে একসময়ে বিখ্যাত সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইটিভি নিউজে। আর আমাদের জেলায় বসে সেইসব হাঁ করে দেখা আর কেমন মনের ভেতর অস্থিরতা তৈরি হওয়া। একেই বলে কলকাতার রাজপথের সাংবাদিক বলে কথা।  সেই যে বার রাষ্ট্রপতি এলেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে সেই অনুষ্ঠানের বিশেষ কার্ড জোগাড় করে দেওয়ার অনুরোধ করা ইটিভির চাকরি করার সুবাদে। কোনো রকমে সেই কার্ড জোগাড় করে এনে দেওয়া তাঁকে আর তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্য। আর সেই একদিন দুপুর বেলায় খুব সম্ভবত করোনা শেষ পর্বে বালিঘাট স্টেশন থেকে অফিস যাওয়ার সময় এসি পঞ্চাশ এর বাস এর ভিতরে দেখা হওয়ায় কত গল্প করা দুজন মিলে পুরনো দিনের। আবার উত্তরপাড়ার সেই বিখ্যাত চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে গিয়ে হাসি মুখে দেখা হয়ে যাওয়া রাতের বেলায় কাঁঠালবা...

আমাদের সবার মৃনাল দা

সাদা জীবনের কালো কথায় আজ এক বাবা আর ছেলের লড়াই এর গভীর গোপন কাহিনী। এই সাংবাদিকতার পেশায় এসে কত লড়াই, কত অসম যুদ্ধ, করে যে কেউ সংসার টিকিয়ে রাখতে পারে হাসি মুখে কাউকে কিছুই বুঝতে না দিয়ে। এমন করে কেউ টিকে থাকার চেষ্টা করেন সেটা বোধহয় আমার জানা হয়ে উঠত না কিছুতেই। যদি না এই পেশায় আমি গা ভাসাতাম এমন করে। জীবনের এই নানা টুকরো টুকরো ছবির কোলাজ ভেসে ওঠে এই রাতের অন্ধকারে আচমকা আমার মনের মাঝে। আর আমি চমকে উঠি কেমন করে তাদের সেই কোলাজ দেখে।  এমন এক চরিত্র, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হয়ে কেমন আলগোছে, হাসিমুখে, নির্মোহ ভাবে, শুধু নিজের কাঁচা পাকা দাড়িতে হাত বুলিয়ে জীবনটা কাটিয়ে দিলো সে শুধুই আকাশ পানে তাকিয়ে। যে নীল আকাশের গা ঘেঁষে উড়ে যাওয়া সাদা বকের ডানায় লেগে থাকে মেঘের হালকা টুকরো। একদম যেনো সিনেমার পর্দার হিরোর মতোই। দেখে বোঝার উপায় নেই একদম। পেটে খাবার না থাকলেও মুখের হাসিটা অমলিন হয়েই বেঁচে আছে আজও এতোদিন পরেও। আর সেই বিখ্যাত সাদা পাকা নাসিরউদ্দিন স্টাইলের দাড়ি, কালো চুল, আর সব সময় ধোপদুরস্ত ফিটফাট একজন মানুষ। রাত নটা বাজলেই যাকে শ্রীরামপুরে...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

ভীড়ের মাঝে একা

জীবন জুড়ে শুধুই ভীড় আর ভীড়। নানা ধরনের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় মানুষের গন্ধে, বর্ণে , স্বাদের ভীড়ে আমি একদম একা হয়ে যেতে চাই। যে ভীড় উপচে পড়া রাস্তায় শুধুই হেমন্তের ভোরে শিশিরের ফিসফিস শব্দ, পাখির কিচির মিচির আওয়াজ,ধানসিড়ি ওই নদীটির তীর ধরে ঘুঘুর আকুল মন কেমন করা ডাক, উদাসী শালিকের ঝাঁক বেঁধে উড়ে যাওয়া ওই হেমন্তের হলুদ ধানের মাঠ এর পাশ দিয়ে, হলুদ বসন্ত বৌরীর সেই আমলকীর গাছের পাতায়,আড়ালে আবডালে বসে কেমন যেন আমায় দেখে লজ্জা পাওয়া, আর তারপর চোখ নামিয়ে হঠাৎ করেই তার উড়ে চলে যাওয়া। আর মেঘের কোল ঘেঁষে সেই সাদা বকের, বুনো হাঁসের, আর সেই পানকৌড়ির জলে ভেজা ডানা মেলে উড়ে যাওয়া আকাশ জুড়ে। সত্যিই ওরাও যে ভিড়ের মাঝেই বড়ো একা। একা একাই ওদের যে এই বেঁচে থাকা। কেমন নিপাট হৈ চৈ হুল্লোড়হীন একটা জীবন নিয়ে বেশ মজা করে, আনন্দ করে। আর সেই ভোরের আলোয় আলোকিত হয়ে রাস্তার একপাশে গুটি শুটি মেরে শুয়ে থাকা ওই সাদা কালো ভুলো নামের কুকুরের। যে অন্তত এই সব মানুষদের ভীড়ে ঠাসা রাস্তায় একটু যেনো আলাদা , একটু যেনো অন্য রকমের। একটু একা একাই যেনো ওর এই আলগোছে জীবন কাটিয়...

গৌড় প্রাঙ্গণে আনন্দবাজার

গৌরপ্রাঙ্গনে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যের আনন্দের মেলা আনন্দবাজার। মহালয়ার ভোরবেলায় ঢাকের বাদ্যি আর সানাইয়ের মন কেমন করা সুরে মেতে উঠলো শান্তিনিকেতনের গৌড়প্রাঙ্গণ। প্রতি বছরের মতো এই বছরও যে হবে আনন্দমেলা আনন্দবাজার। হ্যাঁ সত্যিই যেনো আনন্দের এই হাটে বেচাকেনার পসরা নিয়ে একদিনের জন্য বসে পড়া মন প্রাণ খুলে হৈ হুল্লোড় করে। এই মেলা শুরু হয় 1915 সালের 15 এপ্রিল নববর্ষের দিনে। কিন্তু আগে এই মেলাকে একসময় বলা হতো বৌঠাকুরাণীর হাট। সেই সময় আশ্রমের মহিলারা নিজেদের হাতের তৈরি জিনিস নিয়ে মেলায় বসতেন। মেলার আয়োজন করতেন তারা। আনন্দ করে বেচাকেনা হতো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময় একবার গরমের ছুটির আগে এমন মেলা নাকি হয়েছিল। যার নাম ছিল আনন্দবাজার। পরে এই মেলার নামে হয়ে যায় আনন্দমেলা। সত্যিই আনন্দের এই মিলন মেলা।  প্রথমদিকে পাঠভবন ও শিক্ষাসত্রের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়। পরে ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর সব বিভাগের পড়ুয়ারা এই মেলায় যোগদান করে। এই মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের বেচা কেনার লাভের টাকার কিছু অংশ জমা পরে বিশ্বভারতীর সেবা বিভাগে। সেখান থেকে এ...