সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দৌড়হীন জীবন

আমার সাত সকালে ঘুম ভেঙে উঠে দৌড়ে যাওয়ার কোনো তাড়া নেই। ট্রেন ধরারও কোনো তাড়া নেই। অফিস যাওয়ার কোনোও তাড়া নেই। প্লেনে করে অফিস ট্যুরে যাওয়ার তাড়া নেই। বাজারে যাওয়ার তাড়া নেই। এটা বেশ ভালই লাগে আমার। এই দৌড়হীন জীবন। যদিও এরজন্য ঘরে আর বাইরে লোকের কম কথা শুনতে হয় না আমায় উঠতে বসতে দিনরাত।  সকালে উঠেই শুধুই দৌড়, দৌড় আর দৌড়। কোনি সিনেমার দৃশ্যে অভিনয় করা মেয়েটির সেই দাঁতে দাঁত চেপে শুধুই দৌড়। যে করেই হোক আমাকে জিততে হবে। যে কোনোও মূল্য প্রমাণ করতে হবে আমি পারছি এই দৌড়ের খেলায় অন্যদের সাথে সমান তালে তাল মিলিয়ে। কেনো জানি না ভুল করেই দু একজন আজ জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেলেছেন আমায় ভুল করে হয়তো। সেই শুভেচ্ছা দেখে মনে হলো আরে আমার তো কোনো তাড়াহুড়ো নেই তাহলে আর এতো শুভেচ্ছা কেনো।  এই দ্রুতগামী বন্দেভারতের মতো রেল লাইন ধরা জীবনে কোনো ব্যস্ততাও নেই আর আজ আমার। যে রেললাইনে অনেক আগেই ঘাস,পাতা, জঙ্গল হয়ে গেছে। যে ঝোপঝাড় আর জঙ্গলে ফড়িং উড়ে বেড়ায় আনমনে একা একাই কেমন নিশ্চিন্তে। সেও জানে হঠাৎ করেই দুদ্দাড় করে এই পথে কেউ আর চলে আসবে না ...

ইলামবাজার এর জঙ্গলে

বীরভূমের ইলামবাজার ব্লকের বেশ কিছু এলাকা। বসন্তের আকাশে ঢলে পড়া সূর্য, লাল পলাশের হাসি মেখে কেমন অস্তাচলে যায় আপনমনে। সূর্যের নরম আলো পলাশের গায়ে মেখে লুটোপুটি খায় এদিক ওদিক। আর সেটা দেখে সেই ফিঙের আনন্দের নাচন বোগেনভেলিয়ার ডালে ঝোপে ঝাড়ে লুকিয়ে চুপটি করে। বেশ এই লাল মাটির রুখুসুখু রাস্তা, দুরে দিকচক্রবালে ঢলে পড়া আকাশ, পাতা ঝরার সময় এসে গেছে চারিদিকে।  বাতাসে শীতের কামড় নেই আর। প্রকৃতি বুঝিয়ে দিচ্ছে সেকথা আমাদের। তার মাঝেই ঘুরে বেড়ানো দ্বারান্দা গ্রামে। ঘুরে বেড়ানো নানা জঙ্গলে ঘেরা ছোটো ছোটো গ্রামে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে মসৃণ রাস্তা ধরে। শাল, পিয়াল, সোনাঝুড়ি আর নানা গাছের সারি দিয়ে ঘেরা এই জঙ্গল এই বনাঞ্চল। যে বনকে বাঁচাতে এলাকার যুবকরা সব এক হয়ে একজোট হয়ে দল বেঁধেছে একসাথেই। যাতে বন জঙ্গল নষ্ট না হয় কিছুতেই। যাতে কাঠ পাচার এর জন্য জঙ্গল এর গাছ কাটা না হয়। যাতে কোনোভাবেই এইসব এলাকায় বহুতল আবাসন প্রকল্প না হয়।  সে কথাই বলছিলেন সদা প্রাণবন্ত হাস্যময় দেবাশীষ বাবু। এই এলাকার বাসিন্দা যিনি দীর্ঘদিন ধরেই জঙ্গল কে ভালোবেসে আর এই...

ভালবাসার অতীত

লতিয়ে চলা জীবনে ফিরে যাওয়া, অতীতের কাছে  বার বার।  ঠিক যেনো শঙ্খবেলার তটে সমুদ্রের নোনা জল গায়ে মেখে, হারিয়ে যাওয়া একা একা। যেভাবে তোমার ভেজা চুলের ঝাপটায়, আমার শরীরে অনুঘটকের অনুরণন হতো।  শামুকের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতো আমার লতানে ভালোবাসার জীবন, গুটি গুটি পায়ে। যে জীবনের শাখা প্রশাখায় জড়িয়ে থাকে শুকনো গোলাপের কাঁটা, নখ দাঁত বের করে হায়নার মত। যে জীবনের শাখা বেয়ে নেমে আসে গভীর ভালোবাসা, ধীরে ধীরে চুপি সাড়ে কাঠবিড়ালির মত। যেমন করে বসন্তের দুপুরে জেগে ওঠে ডাহুক,  আকুল স্বরে ডেকে ওঠে সে তোমায়। বুকের মাঝে চেপে বসে ভালোবাসার  অতীত, বর্তমান, ভবিষৎ। গোলাপের কাঁটায় রক্ত ঝরে, ভালোবাসার লতানো জীবনের রাস্তায়, লাল পলাশের  ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। ছোপ পড়া দাগ মুছে অতীতকে কবর থেকে খুঁড়ে,  টেনে হিঁচড়ে বের করি আমি সন্তর্পনে। ভালোবাসার হারিয়ে যাওয়া অতীতকে খুঁজে পেতে, বড়ো কষ্ট হয় আমার। তবুও অতীতের টানে জীবনের জলছবিতে, একটুকরো ভালোবাসার রঙের প্রলেপ পড়ে। যে ভালোবাসার পুকুরের জলে, পা ভিজিয়ে স্নান করি আমি, বসন্তের দুপুরে ডাহুকের মন কেমন করা ...

কালিকাপুর এর রাজবাড়ি দর্শন

কিছু কিছু ভেঙে পড়া বাড়ী আর সেই বাড়ির বিবর্ণ স্মৃতির উত্তাপ গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে আমার। এই সব বাড়ির ৪০০ বছরের বিস্মৃত ইতিহাস আর তার নীরব অতীত স্মৃতি রোমন্থন করতে ভালই লাগে আমার। তাই শিবরাত্রির দিন বেরিয়ে পড়লাম আমি গাড়ি নিয়ে বোলপুর থেকে। সেই বিখ্যাত ইলামবাজার এর জঙ্গল পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলার কালিকাপুর গ্রামে। সেই বিখ্যাত কালিকাপুর এর মৌখিরার রাজবাড়ি দেখতে। যে বাড়িতে একসময় বহু পুরোনো দিনে সিনেমার শুটিং হয়েছে। কলকাতা থেকে এই বাড়ির দূরত্ব প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার। বোলপুর থেকে মেরে কেটে ত্রিশ বা পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার হবে প্রায়।  এই বিখ্যাত বাড়িতেই  মৃণাল সেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ, সন্দীপ রায়, অনিক দত্ত, বাপ্পাদিত্য বন্দোপাধ্যায়, ও ধ্রুব ব্যানার্জী এই বাড়িকে শুটিং এর স্থান হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এই কালিকাপুর এর বাড়িতেই মৃণাল সেনের খন্ডার ছবির একটি দৃশ্য আছে। যেখানে অভিনয় করেন নাসিরউদ্দিন শাহ ও শাবানা আজমি। এছাড়াও বহুরূপী, রং মিলান্তি, তাসের দেশ, বাস্তুসাপ, গয়নার বাক্স, কাজলের মা, এই সব শুটিং হয়েছে এই বাড়িতেই। যে বাড়ীর বিবর্ণ দেওয়...

ফিরে এলো সেই গ্রাম

সবুজ গ্রাম, সবুজ বাংলা,বেশ চোখের দৃষ্টিতে আরাম এনে দেয় আমাদের। শহুরে জীবনের ছোঁয়া ছেড়ে গ্রামের সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে গভীর ভালোবাসা, মমত্ব বোধ। চেনা মানুষদের থেকেও অচেনা অজানা মানুষরা কত অল্প সময়ে কাছের মানুষ হয়ে ওঠে। আসলে শহুরে স্বার্থপর জীবনের মোরাম রাস্তায় দিন যাপন করে ক্লান্ত আমি, শেষ জীবনে তাই গ্রামেই ফিরতে চাই আমি। মিশতে চাই সহজ সরল করে গ্রামের মানুষের সাথে।  যে মানুষদের সাথে জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়ে। কর্ম জীবনের বহু বছর কাটিয়েও তাদের বুঝে উঠতে পারলাম না, ঠিক করে চিনতে পারলাম না আজও। সেই সব মানুষদের থেকে দূরে, অনেক দূরে সরে গিয়ে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে চাই। যে স্বপ্ন দেখে আচমকা মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে উঠে বসতে হবে না আর আমায়। বেশ সুখ নিদ্রা দিয়ে সকালে ঘুম থেকে আড়মোড়া ভেঙে উঠে আলু ক্ষেত দেখা যাবে মাথা ঘুরিয়ে। মাঠের মাঝে সর্ষে ফুল এর মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে থাকা দেখে সকাল গড়িয়ে দুপুর হবে। আদিগন্ত বিস্তৃত ধানের সবুজ ক্ষেতকে দেখে ভালবেসে সন্ধ্যার মেঘমালাকে বুকে চেপে রেখে আবার ঘুমোতে যাওয়ার কথা ভাবতে পারবো আমি নিশ...

চেনা শহরে অচেনার ভীড়ে

দেওয়াল ভেদ করে, জানলা ভেদ করে সাদা কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে শহুরে কোকিলের কুহু কুহু সুরে ঘুম ভেঙে যায় আমার হঠাৎ করেই।  বিছানায় গা এলিয়ে পড়ে থাকি আমি নিঝুম নিঃস্তব্ধ সকালে।  যে সকাল মন খারাপের মেঘ কাটিয়ে, লাল পলাশের দেখা মেলে না আর।  শহরের ভীড় রাজপথে বহুতলের ভীড়ে পলাশ, শিমুল তো হারিয়ে গেছে কবেই। কবেই হারিয়ে গেছে আটলান্টিকের অতলে আমার ভালবাসা আর ভালোবাসার স্পর্শ মাখা জীবন,  আর জীবনের চেনা ছন্দের গভীর গোপন নিঃশব্দ অভিসার। যে জীবনে জড়িয়ে ছিল নানা সুখের আবেশ,  যে সংসারে ছিল ঘড়ি ধরে বেঁচে থাকার নির্যাস।  সেই ঘড়ি কবেই টিকটিক করা থামিয়ে দিয়েছে আচমকাই।  কেমন যেনো বসন্তের ঝিম ধরা রং চটা বিবর্ণ দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সে একা একাই ক্রুশবিদ্ধ যীশুর মতো। একদম ঠিক স্থবির এই বেনাপোল জীবনে কেমন নোনা সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ে বারবার। আমি দুর থেকে শুনতে পাই দেওয়াল ভেদ করে,  মন কেমন করা বিরহী কোকিলের আকুল করা ডাক।  দুর থেকে ভেসে আসে ট্রেন পথের চেনা আওয়াজ, পায়রার অভিমানী বকবকম, আরও কত কী। এই শহুরে বসন্তের আলসেমির ভোরে ঘুম ভে...

মাঘী পূর্ণিমার দিন

মাঘী পূর্ণিমার দিন সত্য নারায়ন পূজো করলাম বোলপুরের বাড়িতে। শান্তি স্বস্তি কামনায় সত্য নারায়ন পূজো। মা চলে যাবার পর এক বছর কোনো পূজো করা যায়নি। এক বছরের কাল অশৌচ কেটে যাবার পরে বোলপুরের বাড়িতে পূজো করলাম।  ছোটো বেলায় শ্রীরামপুরের মামাবাড়িতে এই পূর্ণিমার দিন সত্য নারায়ন পূজোর প্রসাদ আসতো গুরু বাড়ী থেকে। যে গুরু বাড়ী রাজা রামমোহন রায় এর মামার বাড়ি। সেই প্রসাদ বিতরণ করা হতো লাইন দিয়ে গুরু বাড়িতে। ছোটো বেলায় সেই লাইনে দাঁড়িয়ে প্রসাদ নিতাম আমার আজ ও মনে পড়ে। গুরু বাড়িতে দোল পূর্ণিমার দিন আর মাঘী পূর্ণিমার দিন ভীড় জমত অনেক। দুর দুর থেকে লোকরা আসতো এই প্রসাদ নিতে। সেই সত্য নারায়ন এর প্রসাদ এর স্বাদ আজও ছোটো বেলার স্মৃতির মতই উজ্জ্বল আমার কাছে।  প্রতি শনিবার বারের ঠাকুরের পূজো দিয়ে প্রসাদ নিয়ে আসত নেরুর পিসিমা। এঁদো পুকুরের বাড়ির সামনের কানু মামাদের, ভিজে মামাদের রকে সেই প্রসাদ বিলি করা হতো। শনিবার তাই সন্ধ্যা থেকেই পড়তে বসে মনটা কেমন কেমন করতো।কখন ডাক পড়বে কই গো সব। দৌড়ে এসে দাঁড়িয়ে পড়তাম আমি। আমার দিদু বেশি করে প্রসাদ দিত আমায়। ...

দাদু সরে বসবেন

প্রথমে কাকু। তারপর একটু আমার মুখের দিকে তাকিয়ে সরি বলেই দাদু একটু সরে বসবেন। না, মাঝখানে শুধু জেঠামশাই বলেনি আমায় এটাই যা রক্ষে আর কি। স্থান রিষড়া স্টেশন। সোমবার বিকেল পাঁচটা বাজে তখন। যিনি বলছেন মেরে কেটে তার বছর কুড়ি বয়স হবে আর যাকে বলছেন সে মেরে কেটে পঞ্চান্ন বছরের বৃদ্ধ কি বলা যায় তাকে কে জানে। সিনিয়র সিটিজেন মুভমেন্ট থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত আর কি তার এই জীবনের সাধের ফুটো নৌকা।  আমি দাদু শুনে একটু কেমন সেই লক্ষণের বুকে শক্তিশেল লাগার মতোই থম মেরে গেলাম যেনো। একটু সরে বসে আলগোছে চোখ তুলে দেখলাম তাকে একবার। আমার মেয়ের মতোই হবে কোনো এক কোম্পানিতে কাজ করে ফিরছে দুজনে। সঙ্গে পুরুষ সঙ্গী আছে তার জন্য জায়গা রাখতেই আমায় সরে বসার আহবান জানানো মিষ্টি গলায়। আমিও সরে বসে ভাবলাম মনে মনে সত্যিই তো জীবনের এই দীর্ঘ সময়ে দিন শেষ প্রায় আমার। হলুদ ছোপ ছোপ দাগ পড়া জীবনে এখন মরচে পড়ার লাল রঙের জং পড়া আস্তরণ জমতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই।  কেমন যেনো একটা এলোমেলো এলেবেলে বিন্দাস জীবনকে আঁকড়ে ধরে ধীর পায়ে এগিয়ে চলা লাল পলাশের পদাবলীর গান শুনতে শ...

স্নিগেন্ধুর কথা

ওর দু কানে দুটো ফোন। একবার সিঙ্গুরের মাঠে তো। আবার কখনও লালগড় এর ঘন জঙ্গলে। আর কিছু দিন পরেই অযোধ্যা পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে এদিক ওদিক শুধুই খবরের সন্ধানে নাওয়া খাওয়া ভুলে উষ্কখুষ্ক চুল নিয়ে আর মুখে হাসি নিয়ে আর একপেট ক্ষিদে নিয়ে। শুধুই জল, জঙ্গল, পাহাড় পর্বত পেরিয়ে আদিবাসীদের গ্রামে হাসি মুখে খবর খুঁজে বেড়ানোর নেশায় বুঁদ হয়ে ছুটে বেড়ায় ও দিনরাত। আমার সাথে সিঙ্গুরে প্রতিদিন দেখা হতো ওর সেই সময় সেই ২০০৬ সালে সেই টাটাদের সিঙ্গুরে কারখানা তৈরির সময়। সেই চাষীদের জোর করে জমি অধিগ্রহণ এর সময়।  সেই যেদিন থেকে টাটার গাড়ি আটকে দিলো গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে বাজেমেলিয়া উজ্জ্বল সংঘের সামনে সেদিন থেকেই আমার আর ওর ঘুরে বেড়ানো সিঙ্গুরের মাঠে এদিক ওদিক খবরের খোঁজে আর খবর করে আনন্দ পাওয়ার আশায়। তারপর সেই তাপসী মালিকের মৃত্যু, সুহৃদ দত্ত আর দেবু মালিকের এক সাথে গ্রেফতার হওয়া, সিঙ্গুরে চাষের জমিতে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে জমি ঘিরে ফেলা। সেই সিঙ্গুর কৃষি জমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া মেধা পাটেকর এর। জমির জন্য, জমি রক্ষার জন্য। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ...

অপেক্ষার প্রহর গোনা

কিছু কিছু মানুষের এই ছবি দেখে কিছু না লিখে আর থাকা যায়না কিছুতেই। সেই কাকদ্বীপ থেকে যাত্রা শুরু বেঙ্গালুরুর পথে। বাবার দৌড়ে যাওয়া নতুন চাকরি পাওয়া সেই ছোট্টো ছেলের কাছে। তার আগে কত উত্তেজনা, কত প্ল্যান করা, কত কথা বলা ছেলের কাছে যাওয়া হবে বলে একে ওকে, ঘরে বাইরে হাসিমুখে। এক বুক টাটকা বাতাস নিয়ে দৌড়ে চলে যাওয়া ছেলের কাছে। সেই কত ছোটো থেকে মা হারা ছেলেকে বুকে পিঠে কোলে করে মানুষ করা। সেই ছোটো ছেলের ঘর বাড়ী ছেড়ে, ঠাকুমাকে ছেড়ে, বাবাকে ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে নতুন কাজের জগতে ডুবে যাওয়া।  মাত্র তিন রাত দু দিন এর এই অভিজ্ঞতা এই কটি দিন এর এই একসাথে থাকার পর আবার ফের ছেলেকে ছেড়ে ঘরে ফিরে আসা। বাবা আর ছেলের এই সুন্দর অমলিন জুটি দেখে মনটা কেমন যেনো খারাপ হয়ে গেলো আমার। সেই একসাথে বেঁধে থাকার দিন আমাদের শেষ। সেই একসাথে জুড়ে থাকার দিন শেষ। সেই কোল ঘেঁষে বাবা ছেলের সাইকেল চালিয়ে নদীর ধারে ঘুরে বেড়ানোর দিন কবেই শেষ হয়েছে। এখন শুধুই অপেক্ষা আর অপেক্ষার পালা শুধুই প্রহর গোনা। সত্যিই ছেলে মেয়েরা বড়ো হলে বোধহয় এমনই হয়।  আজ উৎপলদা ছেলেকে ছেড...