সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এলোমেলো , এলেবেলে বিন্দাস জীবন ও জন্মদিন

দেখতে দেখতে বছরের পর বছর গড়িয়ে যায়। আসলে এই অচলাবস্থা আর অকর্মণ্য দিনযাপনের একটা জীবন কাটিয়ে দিতে দিতে বেশ আমি কেমন যেন এডজাস্ট করে নিয়েছি নিজের সাথে নিজেরই এক অদ্ভুত সহাবস্থান। আমার জীবনের সাথে ক্রমেই দ্রুত কমতে থাকে যেনো মৃত্যুর দূরত্ব। দীর্ঘ দিনের জীবনের ঘন্টা ধ্বনিতে কেমন অচেনা সুরের সুর মূর্ছনা বেজে ওঠে ঠিক যেনো ওই গির্জার ঘরে জিঙ্গেল বেল, জিঙ্গেল বেল এর সুরের মতই আচমকা রাত বারোটা বাজলেই এই একত্রিশ মে।  যার তাল, লয় আর ছন্দে আন্দোলিত হয় এই জীবন আর জীবনের নানা জলছবি। যে ছবির কোলাজে ধরা পড়ে হাসি কান্না, সুখ আর দুঃখের নানা অনুভব। যে অনুভূতির জারক রসে আমি জারিত হই প্রতি মুহূর্তে। আর তাই তো বোধহয় সেই ছোটবেলার দিন এর কথা মনে পড়ে গেলেই সেই ঝাপসা হয়ে যাওয়া ধূসর হয়ে যাওয়া সেই ছবির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছা হয় আমার বড়ো এই আজকের দিনে।  সেই পুরোনো দিনের ভালোবাসার স্পর্শ আর স্মৃতি রোমন্থন করা একটি ছবি। মায়ের নিরাপদ কোলে ঠিক নয় চুপটি করে পাশে বসে আছি আমি একদম ফিট ফাট হয়ে আপন মনে ভদ্র শান্ত ছেলের মতোই যা আমি মোটেও নয়। আজকের সেই এ...

শুভ জন্মদিন সোমা

আরও একটা বছরকে পিছু ফেলে লক্ষে স্থির কাণ্ডারী................ সত্যিই জন্মদিন মানেই তো একটা বছরকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া আমাদের। কিছু ভালো আর কিছু মন্দ। কিছু সুখ আর কিছু দুঃখ। কিছু সুখের নির্যাস আর কিছু দুঃখের মেঠো পথের মর্মর ধ্বনি। জীবনকে তো এইভাবেই অনুভব করতে হয় আমাদের পরতে পরতে। যে জীবন শুধুই নিজের জন্য বাঁচা নয়। যে জীবন শুধুই স্বার্থপর হয়ে নিজের কথা ভেবেই বেঁচে থাকার চেষ্টা করা নয়। যে জীবন অনেকের জন্য বাঁচে। যে জীবন অনেকের কথা ভাবে। যে জীবন শুধুই নিজে একা একাই এগিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উচ্চ শিখরে পৌঁছে হাত নেড়ে টাটা করে না অন্যদের। যে জীবন মনে করে এটা তো আর বাঁচা নয়। এই বাঁচা যে মরার মতই বাঁচা। যে বাঁচার সুখ এর থেকে অসুখ বেশি। সেই হাসিমুখে কালো রোদ চশমা পড়ে বাঁচা একটি মেয়ে। যে আর পাঁচটা সাধারণ বহু মানুষদের সংসার বাঁচানো এক মহিলা সাংবাদিক এর জন্মদিন আজ। যাঁকে নিয়ে কিছু লিখতে ইচ্ছা হলো আমার একটু ভয়ে ভয়ে আর দ্বিধা নিয়ে একটু জড়তা নিয়ে বলতে পারি আমি। একজন টোটো চালকের লেখা উচ্চশিখরে ওঠা নাগাল না পাওয়া এক লেডি সাংবাদিক কে নিয়ে। আজ তাই বিখ্যাত সাংবাদিক বল...

শপিং মলের উদ্বোধনে সিঙ্গুর আন্দোলনের দাপুটে মন্ত্রী

নালিকুল স্টেশন বাজারে একটি শপিং মলের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বেচারাম মান্না হাজির। একসময় যাঁর অন্দোলনের ঠেলায় পড়ে দৌড়ে একপ্রকার পালিয়ে চলে যেতে হয়েছিল সিঙ্গুর থেকে টাটা কোম্পানিকে। যে আন্দোলনের দগদগে ঘা আর সেই স্মৃতি ধীরে ধীরে আজ প্রায় মিলিয়ে যেতে বসেছে আমাদের কাছ থেকে। আজ সেই চাষার ঘরের মানুষ না হলেও সেই কৃষক আর শ্রমিকের ন্যূনতম অধিকার নিয়ে যে আন্দোলন শুরু করে সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন সেই মানুষটাকেই কেমন যেন আজ শপিং মলের উদ্বোধনে দেখে বেশ ভালই লাগলো আমার।  একদম নালিকুল স্টেশনের কাছে ঝাঁ চকচকে শপিং মল। দোকানে সাজানো জিনিস পত্র। আর সেখানেই আমাদের মাননীয় মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একদম কেমন একটু আমার অচেনা লাগলো যেন। সেই মুড়ি খেয়ে আলুর তরকারি বা শশা খেয়ে আন্দোলন শুরু করা জমি আন্দোলন এর অন্যতম পথিকৃৎ নেতা আজ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাহলে টাটা কোম্পানির বিরুদ্ধে যে জমি দখল নিয়ে আন্দোলন সেই আন্দোলন এর মধ্যে ছিল জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা। যদিও সেখানেও সেই সময়ের শাসকদলের কর্মসংস্থানের যুক্তি।তবে এই নতুন শপিং মলের উদ্বোধনে তো আর ...

টিভি সাংবাদিক অনির্বাণ

বাংলা সংবাদপত্র জগতে যেমন উত্তম কুমার হিসেবে গণ্য হতো একসময় তার নাম। আর ঠিক সংবাদপত্র জগৎ ছেড়ে টিভি চ্যানেলের জগতেও তিনি উত্তম কুমার হিসেবেই কাজ করেন। আসলে কেউ কেউ বোধহয় এইভাবেই হাসি মুখেই দাপটে কাজ করে যান যে কোনো জায়গায়। সে কাগজ বা টিভি যে কোনো মিডিয়ায় হোক। তার সাথে যে খুব বেশি কাজ করেছি আমি সেটা নয়। খুব বেশি যে ঘনিষ্টতা ছিল তাঁর সাথে সেটা নয়।  কিন্তু আমার এই সাদা জীবনের কালো কথায় আমার আঁকিবুঁকি ব্লগের ছন্দময় পাতায় আজ ভোর বেলায় ঘুম ভেঙে হঠাৎ করেই মনে হলো তার কথা। সেই কাগজের লেখার জগৎ ছেড়ে একেবারে এগিয়ে চলা একটি চ্যানেলে যোগ দেওয়া। যদিও তার আগে তাঁর চ্যানেল টেন এ কাজ করা তার। বেশ মিতভাষী, স্মিত হেসে মেপে কম কথা বলা একজন শুভদ্র সাংবাদিক সে। সেই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় লাইভ করতে দেখে ওকে দেখে দাঁড়িয়ে পড়া আমার। চিনতে পেরে এগিয়ে এসে কথা বলা। যা সাধারনত সচরাচর ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হলে বা বড়ো চ্যানেলের বিখ্যাত সাংবাদিক হলে একটা ঘেরা টোপে বন্দী হয়ে যায় সবাই কিছুতেই আর চিনতে চায় না কাউকেই। সেটা অবশ্য ওর ক্ষেত্রে দেখিনি আমি।  ...

শুভ জন্মদিন ওমঙজি

দাদা এই মাসে একটু বেড়ে গেলো যে। আমি বললাম দাদা কি করবো পূজোর মাস একটু তো বিল বেড়েই যাবে দাদা এই বলে একপ্রকার ভয়ে ভয়ে হাত জোড় করে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছি আমি। দাদা এটা আমি বলেছি বস কে বা এডিটরকে। এটা শুনে একটু চুপ করে গেলেও ওর মনটা ঠিক খুশী হতো না কিছুতেই। জেলার মাসের বিলে টাকার পরিমাণ যে বেড়ে গেছে আগের মাসের থেকে সেটাই হলো আসল কথা। সে বস বা মালিক যাঁকেই বলা হোক কিছুতেই খুশী হতেন না তিনি। আর তাতেই মাথা খারাপ হয়ে গেছে আমাদের সবার চেনা প্রিয় ওমঙজির। সেই ওমঙ ঝুনঝুনওলা। সেই জি ২৪ ঘণ্টার লক্ষীর ভাণ্ডার এর মূল কারিগর আমাদের সেই ঝুনঝুনওয়ালা। যাঁর আজ দেখলাম জন্মদিন।  সেই ধীরে সুস্থে হেঁটে হাতে কাগজ নিয়ে স্ট্রিঙ্গারদের কত বিল হলো সেটা বলতে যাওয়া কাঁচের ঘরে এডিটর এর কাছে। তারপর ধীরে ধীরে নিজের ঘরে ফিরে যাওয়া আমায় দেখতে দেখতে। আর বলা, দাদা দেখিয়ে সামনের মাসে একটু কম করে দেবেন দাদা। সেই মিষ্টি কথাবার্তায় আর মধুর সম্পর্ক কাটিয়ে ছিলাম একসময় আমি তাঁদের সাথে। বেশ ভালই সম্পর্ক কিন্তু ছিল ওদের সাথে। সেই মুন্না, মহাদেব, আর ওমঙজির তিন জনের সুখের সংসা...

শুভ জন্মদিন প্রবীরদা

সকাল সকাল দেখলাম আজ প্রবীরদার জন্মদিন বলে নানা জনের শুভেচ্ছার বন্যা বইছে সমাজ মাধ্যমের রঙিন দেওয়াল জুড়ে। এই এক ভালো গ্যাঁড়াকল হয়েছে কি বলেন আপনারা। সেই মানুষটার সঙ্গে যোগাযোগ থাক বা না থাক। সম্পর্ক থাক বা না থাক। বন্ধুত্ব থাক বা না থাক। কথা হোক বা না হোক। শত্রু হোক বা মিত্র জন্মদিন দেখলেই আর সেটা জানতে পারলেই একেবারেই ঝাঁপিয়ে পড়া। একেবারে ঘাড়ের উপর লটকে পড়া। হ্যাপি বার্থডে বলে আদেখলেপনা করা। আজকাল তো এটাই এখন ট্রেন্ড। এই ট্রেন্ড ধরেই এগিয়ে চলা আমাদের বর্তমানে।  আজ থেকে পঞ্চাশ বা চল্লিশ বা নিদেনপক্ষে ত্রিশ বছর আগে এমন জন্মদিন উপলক্ষে দিন যাপনের হুল্লোড়, মাতামাতি, কেক কাটাকাটি, ফেসবুক আর টুইটারে শুভেচ্ছার বন্যা খুব কম দেখা দিত মনে হয়। আর রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে এমন জন্মদিন পালনের হিড়িক কম পড়তো সেই সময়। এমনকি শুধু তাই নয় মানুষের জন্মদিন ছেড়ে এখন বাড়ীর পোষ্যর জন্মদিন পালন নিয়ে জোর তৎপরতা আর ধুমধাম। এইসবের মাঝেই আমিও নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েই হ্যাপি বার্থডে জানিয়ে দিলাম স্রোতের টানে। আর সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পেলাম, 'আশি হতে আর পাঁচ বছর ,মনে হচ্ছে তার আগেই ফুটে যাব...

মধুদার স্মরণ সভা

ফুলে, মালায়, গানের মূর্ছনায় নানা গুণী জনের স্মৃতিচারণায় তাঁর দুই সন্তানের উপস্থিতিতে খোলা শান্তিনিকেতনের আকাশের নিচে মধুদার শোকসভার এক সাদামাটা অনুষ্ঠান হয়ে গেলো। যে সাদামাটা জীবন তাঁর খুব প্রিয় ছিল। হৈ চৈ হুল্লোড় এর জীবন নয় একদম সাদামাটা একটা নিস্তরঙ্গ জীবন কাটিয়ে যাওয়া। যে শান্তিনিকেতন তাঁর খুব প্রিয় জায়গা ছিল সেখানেই এই রতনপল্লীতে হলো এই অনুষ্ঠান। যে অন্তরঙ্গ স্কুলে তিনি শিশুদের সাথে শিশুর মতই অন্তরঙ্গ হয়ে মিশে যেতেন, পড়াতেন ওদের ভালোবেসে ফেলেছিলেন সেই স্কুলের চত্বরে হলো মধুদার এই স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান।  আসলে এই শোকসভার অনুষ্ঠান তো স্মৃতির সরণী বেয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলার অনুষ্ঠান। সেই চলে যাওয়া মানুষকে মনে মনে বিদায় জানিয়ে যাওয়া আমাদের সবার নিজের মত করেই। তাঁর নির্জন দ্বীপে বিদায় নেবার কথা জেনেও তাঁকে তর্পণ করা। তাঁর যে গুণমুগ্ধ ভক্তকূল বা এত অনুসরণকারী মধুদা তৈরি করেছিলেন এই জায়গায় এই কম সময়ে সে কথাই ভাবতে ভালো লাগছিল আমার বললেন অনিমেষ দা। সত্যিই দেখুন আমার সাথে এই মধুদার জার্নির সময়কাল খুব বেশিদিন এর নয়। তবুও মধুদার স্মরণ সভায় হাজ...

মধুদার স্মরণে

মাইনফিল্ড পেরিয়ে মধুদার নির্জন দ্বীপে বিদায় হয়েছে বেশ কিছু দিন আগেই। সেই নির্জন বিদায় কে স্মরণে রাখতেই আজ মধুদার স্মরণ সভা শান্তিনিকেতনের রতনপল্লীতে। আসলে যে মানুষটার সাথে আলাপ, পরিচয়, সখ্যতা, বন্ধুত্ব কি বলা যায় মনে হয় না কিন্তু ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করার সময়কাল আমার খুব কম সময়ের জন্য। তাঁর নির্জন বিদায়ে কেনো যে বারবার আমার মন খারাপ হয় কে জানে। মনের আর দোষ কি।  এই ভোরের বেলায় হঠাৎ করেই ঘুম ভেঙে যায়। প্রহর গোনা শুরু হয় আর ক ঘন্টা পরেই সেই তাঁর নানা গুণগ্রাহী আর আপনজনদের নিয়ে হবে মধুদার স্মরণ সভা। যিনি বোধহয় চিরকাল নিভৃতে নির্জনে একাকি বেঁচে থাকার চেষ্টা করতেন। একটু কাউকে ধরা না দিয়ে আলগোছে বেঁচে থাকা সেই তাঁর মত করেই বাঁচা। যে বাঁচার মধ্য তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন এক অনাবিল আনন্দ। কাউকে বিরক্ত বা বিব্রত নয় পরিবার, সমাজকে, বন্ধুকে কোনোও ভাবেই বিপদে ফেলে নয়। এই মাইনফিল্ড ধরে তাঁর একা একাই হাঁটা। ধীরে ধীরে তাঁর হাঁটার শেষ হলো আচমকাই হঠাৎ করেই। যা বোধহয় আমরা কেউই বুঝতে পারিনি। সেই সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন মধুদা ধীরে ধীরে কাঁধে ঝোলা নিয়ে। ক্লান্ত অবসন...

আঁকাবাঁকা পথ ধরে এগিয়ে চলা

আঁকাবাঁকা পথ ধরে আমার এগিয়ে চলা। এলোমেলো এলেবেলে জীবন নিয়ে এগিয়ে চলা। যে জীবনে আবাহন আর বিসর্জন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই কোনোদিন। যে জীবনে জড়িয়ে থাকে সুখ আবার দুঃখও। যে জীবনে জড়িয়ে থাকে নতুন কিছু পাওয়ার আশায় আনন্দে উদ্বেলিত হওয়া। আবার আমার এই সাদা জীবনের কালো কথা বা কালো জীবনের সাদা কথার ছোপ ছোপ দাগ। সেই বাঘের গায়ে ডোরা কাটা দাগ নিয়ে বেঁচে থাকা আমার। একদম নিজের মতো করেই যেখানে কারুর কাছে কোনোভাবেই তাঁর বশ্যতা মেনে নিয়ে নয় যেটা আমি পারলাম না কোনোভাবেই কোনওদিন।  তবুও জীবন যাপন তো করতেই হয় আমাদের। যে জীবনের বাঁশবনের ছায়ায় বসে দেখতে হয় বাঁশপাতার মাঝে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে ফিঙের নাচন। সেই ঝিরিঝিরি পাতার ফাঁকে মিষ্টি রোদের নরম আলো ছায়ার খেলা। যে খেলা দেখতে আমার বেশ ভালই লাগে আজকাল। যে খেলায় কত চেনা মুখের অচেনা ছবি যে ধরা পরে যায় হঠাৎ করেই কে জানে। আমি সেই ছবির ভীড়ের মাঝে কেমন বেঁহুশ হয়ে নিজেই হারিয়ে যাই এদিক, ওদিক, সেদিক। চেনা অচেনার পথ ধরে বাঁশবনের ছায়া মেখে হারিয়ে যাওয়া সেই জীবন। যে জীবনে সাদা কালো কত কিছুই না থেকে যায় দাগ র...